অমাবস্যার জোয়ার পূর্ণিমার জোয়ারের তুলনায় অনেক তেজী হয় কেন ?

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 10/28/2013 - 17:27

প্রশ্ন:- অমাবস্যার জোয়ার পূর্ণিমার জোয়ারের তুলনায় অনেক তেজী হয় কেন ?

অমাবস্যা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর একই দিকে একই সরল রেখায় থাকে বলে পৃথিবীর একই স্থানে একই সঙ্গে চন্দ্র ও সূর্যের যৌথ আকর্ষণ কার্যকারী হয় । চন্দ্র ও সূর্যের এই মিলিত আকর্ষণে একই সঙ্গে মুখ্য চান্দ্র জোয়ার এবং মুখ্য সৌর জোয়ার হয় এবং তার বিপরীত বা প্রতিপাদ স্থানে একই সঙ্গে গৌণ চান্দ্র জোয়ার এবং গৌণ সৌর জোয়ার হয় । চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে সৃষ্টি হওয়ার জন্য অমাবস্যার জোয়ার পূর্ণিমার জোয়ারের চেয়ে অনেক বেশি জোরদার হয় এবং সমুদ্রতলে অত্যধিক জলস্ফীতি ঘটে । এই জন্য অমাবস্যার জোয়ার পূর্ণিমার জোয়ারের চেয়ে অনেক বেশি তেজী হয় ।

*****

Related Items

সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ (Causes of Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ (Causes of Ocean Currents) : সমুদ্রস্রোত বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে । এই কারণগুলি হল— (১) পৃথিবীর আবর্তন, (২) নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, (৩) সমুদ্রজলের উষ্ণতা, (৪) সমুদ্রজলের ও লবণত্ব ও ঘনত্বের তারতম্য, (৫) বরফের গলন , (৬) উপকূলের আ

সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents) : সমুদ্রের জলরাশি নিয়মিতভাবে, নির্দিষ্ট দিকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয় । সমুদ্রজলের এই প্রবাহকে সমুদ্রস্রোত বলে । সমুদ্রস্রোত সাধারণত একমুখী হয় । বায়ুপ্রবাহ দ্বারা তাড়িত হয়ে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয় বলে এর গতিব

বারিমন্ডল (Hydrosphere)

বারিমন্ডল (Hydrosphere) : সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত জ্বলন্ত মণ্ডল । ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে তরল অবস্থায় আসে এবং অবিরাম তাপ বিকিরণ করে পৃথিবী ক্রমশ শীতল ও সংকুচিত হয় । আর সংকোচনের ফলে ভূপৃষ্ঠের গায়ে উঁচুনীচু আবরণের সৃষ্টি হয় । এই সম

পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চল (Major climatic regions of the world)

পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চল (Major climatic regions of the world) : পৃথিবীর যে সকল অঞ্চলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মোটামুটি একই ধরনের বা সমধর্মী জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেই সকল অঞ্চলকে এক-একটি জলবায়ু অঞ্চল বলা হয় । পৃথিবীর মুখ্য জলবায়ু অঞ্চলগুলি হল —

বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত (Types of Rainfall)

বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত (Types of Rainfall) : উৎপত্তির কারণ ও বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য অনুসারে বৃষ্টিপাতকে সাধারণত তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা:- (১) পরিচলন বৃষ্টিপাত, (২) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত এবং (৩) ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত ।