বৃক্ষরোপণ-উপযোগিতা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর ।

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 01/26/2022 - 10:47

প্রশ্ন : বৃক্ষরোপণ-উপযোগিতা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর

 উত্তর:- 

অনল  : দেখলি, আমাদের স্কুলের সামনে এত বড়ো একটা বকুল গাছ কেটে ফেলা হল । শুনলাম ওখানে ফ্ল্যাট বানানো হবে ।

কমল  : আর বলিস না ! মনটা এত খারাপ লাগছে, যে ওদিকে আর তাকাতেই পারছি না । সেই কোন ছোটবেলায় প্রথম স্কুলে আসার দিনটা থেকে গাছটার সঙ্গে বন্ধুত্ব, চেনাশোনা । মনে আছে, ছুটির পরে ওই বিশাল গাছটার নীচে বাঁধানো বেদিটায় চড়ে কত খেলেছি ।

অনল : সভ্যতার গর্বে উন্মত্ত মানুষ যেন ভুলেই গিয়েছে গাছের অবদান । নগরায়ণের এই হামলে পড়া নেশায় তরাই থেকে সুন্দরবন— সর্বত্রই চলেছে অরণ্যনিধনের এই যজ্ঞ ।

কমল : কেউ একবার অন্তত এটাও ভেবে দেখবে যে, এতে ক্ষতি আখেরে নিজেদেরই । এই ভয়ানক লোভে তো মানুষের নিজের সভ্যতাকেই ধ্বংস করছে । পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর জল স্তর, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য— গাছপালা কমে যাওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মিও নির্বিরোধে প্রভাব ফেলছে পরিবেশের ওপরে । সব মিলিয়ে নানান অসুখবিসুখের প্রকোপও বেড়েই চলেছে ।

অনল : শুধু তাই নয়, তুই কি জানিস, বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো দেশের আয়তনের তুলনায় ভূভাগের পরিমাণ যখন ৩৫ শতাংশের নীচে নেমে যাবে, তখনই সেই দেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে । ভারত-সহ পৃথিবীর বহু দেশই এখন এই সমস্যার সম্মুখীন ।

কমল :  আসলে কী বল তো, 'একটি গাছ একটি প্রাণ'— এই বাক্যটিকে নিছক স্লোগান নয়, জীবনযাপনের অনিবার্য শর্ত করে তুলতে হবে । না ইলে এই ভয়ানক ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না ।

*****

Comments

Related Items

বহুরূপী

হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম, শুনেছেন, হরিদা কী কাণ্ড হয়েছে ? উনানের মুখে ফুঁ দিয়ে আর অনেক ধোঁয়া উড়িয়ে নিয়ে হরিদা এইবার আমাদের কথার জবাব দিলেন — না, কিছুই শুনিনি । — জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? হরিদা — না রে ভাই, বড়ো মানুষের কাণ্ডের খবর আমি কেমন করে শুনব ? আমাকে বলবেই বা কে ?

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

কথায় বলে— কালি কলম মন, লেখে তিন জন । কিন্তু কলম কোথায় ? আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস । সবাই এখানে লেখক । কিন্তু আমি ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই । সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা । আর তার নীচে টাইপরাইটারদের মতো একটা কি-বোর্ড ।

অভিষেক

কনক-আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ, প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে, কহিলা, — "কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে ? কহ দাসে লঙ্কার কুশল ।"

আফ্রিকা

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

আমাদের ডান পাশে ধ্বস / আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ / আমাদের মাথায় বোমারু /পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ