কারকের প্রশ্নোত্তর :—
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর :-
১.১ তির্যক বিভক্তি হল —
(ক) শূন্য বিভক্তির অপর নাম
(খ) একাধিক কারকে ব্যবহৃত বিভক্তি
(গ) একসঙ্গে সব রকমের বিভক্তি
(ঘ) একসঙ্গে বিভক্তি ও অনুসর্গ
১.২ দারোগার ভয়ে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায় । — নিম্নরেখ অংশটি হল —
(ক) সহযোগী কর্তা (খ) ব্যতিহার কর্তা (গ) একই ক্রিয়ার বহু কর্তা (ঘ) প্রযোজক কর্তা
১.৩ খানি, খানা এগুলি হল —
(ক) নির্দেশক (খ) উপসর্গ (গ) অনুসর্গ (ঘ) বিভক্তি
১.৪ তির্যক বিভক্তির উদাহরণ —
(ক) দ্বারা (খ) এ (গ) তে (ঘ) থেকে
১.৫ শুধালেম জনে-জনে । — নিম্নরেখ পদটি হল —
(ক) কর্মের বীপ্সা (খ) কর্তার বীপ্সা (গ) করণের বিপ্সা (ঘ) উপবাক্যীয় কর্ম ।
১.৬ কী বাঁধনে বাঁধলে আমায় । উদাহরণটি হল —
(ক) হেতুময় করণ (খ) কালাত্মক করণ (গ) নিমিত্ত কারক (ঘ) যন্ত্রাত্মক করণ ।
১.৭ একই ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ ও কর্মপদ নিষ্পন্ন হলে কর্মটিকে বলা হয় —
(ক) উদ্দেশ্য কর্ম (খ) বিধেয় কর্ম (গ) সমধাতুজ কর্ম (ঘ) গৌণ কর্ম
১.৮ দিয়া, দ্বারা, কর্তৃক অব্যয়গুলি হল —
(ক) ক্রিয়াজাত অনুসর্গ (খ) শব্দজাত অনুসর্গ (গ) উপসর্গ (ঘ) বিভক্তি
১.৯ কর্তা যাকে দিয়ে কাজ করায় তাকে বলা হয় —
(ক) প্রযোজ্য কর্তা (খ) উহ্য কর্তা (গ) অনুক্ত কর্তা (ঘ) প্রযোজক কর্তা ।
১.১০ বাক্যের প্রাণীবাচক কর্মটিকে বলা হয় —
(ক) গৌণ কর্ম (খ) মুখ্য কর্ম (গ) উদ্দেশ্য কর্ম (ঘ) বিধেয় কর্ম ।
১.১১ বিভক্তি —
(ক) সর্বদা শব্দের পূর্বে বসে
(খ) সর্বদা শব্দের শেষে যুক্ত হয়
(গ) শব্দের পরে আলাদাভাবে বসে
(ঘ) শব্দের পূর্বে আলাদাভাবে বসে ।
১.১২ আমার বইটা আমায় ফেরত দাও । বাক্যে অ-কারকটি হল —
(ক) আমার (খ) আমায় (গ) দাও (ঘ) বইটা ।
১.১৩ হে পিতৃব্য, তব ইচ্ছি মরিবারে । — নিম্নরেখ পদটি হল —
(ক) ক্রিয়া পদ (খ) সম্বোধন পদ (গ) সম্বন্ধ পদ (ঘ) কর্তৃপদ
১..১৪ ওরে, আগুন লেগেছে বনে বনে ।লাইনটিতে অ-কারক হল —
(ক) ওরে (খ) আগুন (গ) লেগেছে (ঘ) বনে বনে ।
১.১৫ অনুসর্গের অপর নাম হল —
(ক) উপসর্গ (খ) পরসর্গ (গ) অব্যয় (ঘ) বিভক্তি ।
২. নিম্নরেখ পদগুলির কারক ও অ-কারক ও বিভক্তি নির্ণয় কর ।
২.১ কি হে গিরিশ, আমাকে চিনতে পারো ? — উঃ- সম্বোধন পদ — অ-কারক
২.২ ঘুচাবো ও অপবাদ বধি রিপুকুলে । — উঃ- কর্মকারক — শূন্য বিভক্তি
২.৩ সেসব বই নাকি ছাপা হয় । — উঃ- কর্ম কারক —শূন্য বিভক্তি
২.৪ ঘাস জন্মালো রাস্তায় । — উঃ- কর্তৃকারক —শূন্য বিভক্তি
২.৫ আয় আরো হাতে হাত রাখি । — উঃ- অধিকরণ —এ বিভক্তি
২.৬ বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায় । — উঃ- করণ কারকে — য় বিভক্তি
২.৭ কালি কলম মন, লেখে তিনজন । — উঃ- কর্তৃকারক —শূন্য বিভক্তি
২.৮ কেউ কেউ অবশ্য চুলেও কলম ধারণ করে । — উঃ- কর্তৃকারক —শূন্য বিভক্তি
২.৯ হরিদার উনানের আগুন তখন বেশ গনগনে হয়ে জ্বলছে । — উঃ- কর্মকারক —শূন্য বিভক্তি
২.১০ তোমাদের কাছে আমি লাঞ্ছিত । — উঃ- অ-কারক — সম্বন্ধ পদ
২.১১ প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে । — উঃ- অ-কারক —সম্বন্ধ পদ
২.১২ বিধি বাম মম প্রতি । — উঃ- কর্তৃ কারক — শূন্য বিভক্তি
২.১৩ নদের চাঁদ গর্ব অনুভব করে — উঃ- কর্ম কারকে —শূন্য বিভক্তি
২.১৪ জ্বলে গেল আগুনে । — উঃ- করণ কারকে — এ বিভক্তি ।
******
৩. 'অনুক্ত কর্তা'— বলতে কী বোঝো ?
উ:- কর্তা যেখানে প্রধান ভাবে উক্ত হয় না, সেই কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে । যেমন— আমার লেখা হয়েছে । ডাক্তারের রোগী দেখা হয়েছে । বেলার খাওয়া হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ভাব বাচ্যের এবং কর্মবাচ্যের কর্তাই অনুক্ত কর্তা ।
৪. অ-কারক পদ কয় প্রকার ও কী কী ?
উ :- অ-কারক পদ দুই প্রকার— (১) সম্বন্ধ পদ ও (২) সম্মোধন পদ ।
(১) সম্বন্ধ পদ — বাক্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সরাসরি কোনো সম্পর্ক থাকে না বরং বিশেষ্য পদ ও সর্বনাম পদের সম্পর্ক থাকে তাকে সম্বন্ধ পদ বলে । যেমন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ । হাতের কাজটি খুব ভালো । রান্নার গ্যাস শেষ, প্রভৃতি ।
(২) সম্বোধন পদ— যে পদের দ্বারা কাউকে আহবান করা বা সম্বোধন করা বোঝায় তাকে সম্বোধন পদ বলে । যেমন- মেয়েরা এদিক এসো\ । 'মাগো, আমায় ছুটি দিতে বল ।' হে ভগবান ! আমাকে রক্ষা কর, ইত্যাদি ।
৫. তির্যক বিভক্তি কাকে বলে ?
উ:- যে বিভক্তি সমস্ত কারকে যুক্ত হতে পারে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে । যেমন-
এ বিভক্ত কর্তৃকারকে —পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায় ।
কর্মকারকে— কেশরী কি কভু ক্ষুদ্র শশকে বধে ?
করণকারকে — স্রোতে নৌকায় কোথায় ভেসে যায় ।
নিমিত্ত কারকে — তিনি শিকারে গেছেন ।
অপাদান কারকে —তিলে তেল হয় ।
অধিকরণ কারকে— তিনি অঙ্কে পন্ডিত ।
*****