'সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে'— কবিতাটি অনুসরণে পরিস্থিতিটির বিবরণ দাও ।

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 08/26/2021 - 22:45

প্রশ্ন:- 'সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে'— কবিতাটি অনুসরণে পরিস্থিতিটির বিবরণ দাও ।

উত্তর:-  প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা রচিত 'অসুখী একজন' কবিতা থেকে উদ্ধৃত লাইনটি নেওয়া হয়েছে ।

'অসুখী একজন' কবিতায় একদিকে দেশের বুকে ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা, অপরদিকে কবির প্রিয়তমা এক নারীর ভালোবাসা অর্থাৎ স্বদেশ মাতৃকার অসীম ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন । কবি তাঁর স্বদেশকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন । তিনি শোষিত বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তার সামর্থ মতো সাহায্য করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু কবির দেশে যুদ্ধ শুরু হয় । যুদ্ধের লেলিহান শিখায় সবকিছু চূর্ন হয়ে যায় । রক্তে রেঙে উঠে তার স্বদেশভূমি । 'রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো' রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বীভৎসতা তুলে ধরেছেন লাইনটির মধ্যে ।

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে দেশের শিশুদের ও সাধারণ মানুষদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে আগে । যুদ্ধের তাণ্ডবে বাড়ি-ঘর সব ধ্বংস হয়েছিল ।যুদ্ধের রোষানলে কবির প্রিয় বাড়ি, ঝুলন্ত বারান্দায় গোলাপি গাছ, করতলের মতো চওড়া পাতা, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সবই ধ্বংস হয়েছিল । মন্দির থেকে দেবতাদের উলটে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় । শহরের বুকে শুধু ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির মতো মাথা । যুদ্ধ শুধু মানুষের প্রাণ নেয় না, মানুষের মনেও বিপর্যয় ঘটায় । যেন রক্তের একটা কালো দাগ মানুষের মনকে সম্পূর্ণ ভেঙে বিপর্যস্ত করে দেয় ।

*****

Comments

Related Items

বহুরূপী

হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম, শুনেছেন, হরিদা কী কাণ্ড হয়েছে ? উনানের মুখে ফুঁ দিয়ে আর অনেক ধোঁয়া উড়িয়ে নিয়ে হরিদা এইবার আমাদের কথার জবাব দিলেন — না, কিছুই শুনিনি । — জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? হরিদা — না রে ভাই, বড়ো মানুষের কাণ্ডের খবর আমি কেমন করে শুনব ? আমাকে বলবেই বা কে ?

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

কথায় বলে— কালি কলম মন, লেখে তিন জন । কিন্তু কলম কোথায় ? আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস । সবাই এখানে লেখক । কিন্তু আমি ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই । সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা । আর তার নীচে টাইপরাইটারদের মতো একটা কি-বোর্ড ।

অভিষেক

কনক-আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ, প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে, কহিলা, — "কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে ? কহ দাসে লঙ্কার কুশল ।"

আফ্রিকা

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

আমাদের ডান পাশে ধ্বস / আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ / আমাদের মাথায় বোমারু /পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ