"ওখানে কী দেখচ মুর্খ, বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো !" — বক্তা কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার কী মনোভাব লক্ষ করা যায় ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 08/22/2021 - 13:28

"ওখানে কী দেখচ মুর্খ, বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো !" — বক্তা কে ?  উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার কী মনোভাব লক্ষ করা যায় ?

উঃ- শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত 'সিরাজদৌলা' শীর্ষক নাট্যাংশের অন্তর্গত উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন ঘসেটি বেগম ।

ঘসেটি বেগমের প্রকৃত নাম মেহেরুন্নিসা । তিনি নবাব আলিবর্দি খাঁ-র বড়ো মেয়ে, সম্পর্কে সিরাজের মাসি । ঢাকার শাসনকর্তা শাহমৎ জঙ্গের সঙ্গে ঘসেটির বিয়ে হয় । দত্তক পুত্র ইকরমের মৃত্যু হলে তার শোকে শাহমৎ জঙ্গও মারা যান । বিধবা ঘসেটি বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন । এদিকে বাংলার শাসনভার আলীবর্দী খাঁর মনোনীত সিরাজদৌলার হাতে যায় । এই ঘটনা ঘসেটি বেগমের ঈর্ষার কারণ হয় । তিনি আলিবর্দির মেজো মেয়ের ছেলে শওকত জঙ্গকে সিরাজের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন । বাংলার নবাব আলিবর্দির মৃত্যুর পরে ঘসেটি রাজবল্লভ ও অন্যদেরও নিজের দলে টানেন । এসব জানতে পেরে ক্ষিপ্ত সিরাজ ঘসেটির মতিঝিলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং তাঁকে নিজের রাজপ্রাসাদে নজরবন্দি করে রাখেন । তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন । শওকত জঙ্গ সিরাজের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় । ঘটনাক্রমে ঘসেটি বেগম প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন । কিন্তু তাঁর ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের সমস্ত রাস্তা একে একে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত ঘসেটি বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়ে যান ।

****

Comments

Related Items

বহুরূপী

হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম, শুনেছেন, হরিদা কী কাণ্ড হয়েছে ? উনানের মুখে ফুঁ দিয়ে আর অনেক ধোঁয়া উড়িয়ে নিয়ে হরিদা এইবার আমাদের কথার জবাব দিলেন — না, কিছুই শুনিনি । — জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? হরিদা — না রে ভাই, বড়ো মানুষের কাণ্ডের খবর আমি কেমন করে শুনব ? আমাকে বলবেই বা কে ?

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

কথায় বলে— কালি কলম মন, লেখে তিন জন । কিন্তু কলম কোথায় ? আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস । সবাই এখানে লেখক । কিন্তু আমি ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই । সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা । আর তার নীচে টাইপরাইটারদের মতো একটা কি-বোর্ড ।

অভিষেক

কনক-আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ, প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে, কহিলা, — "কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে ? কহ দাসে লঙ্কার কুশল ।"

আফ্রিকা

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

আমাদের ডান পাশে ধ্বস / আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ / আমাদের মাথায় বোমারু /পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ