মাছ ও পায়রার অভিযোজন বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য
প্রকৃতি | মাছ | পায়রা |
১.প্রকৃতি | ১.মাছ জলচর প্রাণী । | ১.পায়রা খেচর প্রাণী । |
২.বহিরাবরণ | ২.দেহ আঁশ অথবা পিচ্ছিল মিউকাস দিয়ে আবৃত । | ২.দেহ পালক দ্বারা আবৃত । |
৩.গমন অঙ্গ | ৩.মাছের গমন অঙ্গ হল পাখনা । | ৩.পায়রার গমন অঙ্গ হল একজোড়া ডানা এবং একজোড়া পা (পশ্চাদপদ) । |
৪.পেশি | ৪.মাছের মেরুদন্ডের দু'পাশে মায়োটোম পেশি থাকে, যা মেরুদন্ডকে সঞ্চালন করতে সাহায্য করে । | ৪.বক্ষে মজবুত উড্ডয়ন পেশি উপস্থিত, যা ডানাদুটিকে অবিরাম সঞ্চালিত হতে সাহায্য করে । |
৫.শ্বাসযন্ত্র | ৫.মাছের প্রধান শ্বাসযন্ত্র ফুলকা জলে শ্বাসকার্য চালাবার উপযোগী । জিওল মাছের (কই, মাগুর, সিঙি) অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকে, যার সাহায্য ওই সব মাছ বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে । | ৫.পায়রার প্রধান শ্বাসযন্ত্র ফুসফুস । এছাড়া ফুসফুসের সঙ্গে 9টি অতিরিক্ত বায়ুথলি যুক্ত থাকে । |
৬.ভাসমান অঙ্গ | ৬.পটকা মাছকে জলে ডুবতে ও ভাসতে সাহায্য করে । | ৬.ফুসফুসের বায়ুথলি পায়রাকে বাতাসে ভাসতে সাহায্য করে । |
৭.অস্থি | ৭.মাছের অস্থির বিশেষ কোনও অভিযোজন দেখা যায় না । | ৭.পায়রার অস্থি হালকা এবং ফাঁপা । |
৮.হৃৎপিন্ড | ৮.মাছের হৃৎপিন্ড একটি অলিন্দ ও একটি নিলয় নিয়ে গঠিত । | ৮.পায়রার হৃৎপিন্ড দুটো অলিন্দ ও দুটো নিলয় নিয়ে গঠিত । এদের হৃৎপিন্ডে দূষিত ও বিশুদ্ধ রক্ত পৃথকভাবে সংবাহিত হয় । |
৯.রক্ত | ৯.মাছের রক্ত শীতল । | ৯.পায়রার রক্ত উষ্ণ । |
১০.চক্ষু | ১০.মাছের চোখে চক্ষুপত্র এবং পেকটিন থাকে না । | ১০.পায়রার চোখে চক্ষুপত্র এবং পেকটিন থাকে । |
*****
- 3044 views