শাহজাহানের রাজত্বকাল (The Reign of Shahjahan)

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 09/10/2014 - 20:17

শাহজাহানের রাজত্বকাল (১৬২৮ - ৫৮)

The Reign of Shahjahan

মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের পরবর্তী মুঘল সম্রাট হলেন তাঁর পুত্র শাহজাহান । শাহজাহান ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । শাহজাহানের আমলে মুঘল সাম্রাজ্যবাদী নীতি অব্যাহত ছিল । তাঁর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হল দাক্ষিণাত্য বিজয় । পিতা ও পিতামহের অসম্পূর্ণ কাজ তিনি সম্পূর্ণ করেন । সুন্নি মতাবলম্বী ও শাহজাহানের কাছে শিয়া মতাবলম্বী দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলির অস্তিত্ব অসহনীয় ছিল । তাঁর আমলে ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে আহমদ নগরের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয় । এরপর তিনি বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন । ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে বিজাপুরের আদিল শাহি বংশের আদিল শাহ ও গোলকুণ্ডার কুতুব শাহি বংশের আবদুল্লাহ কুতুব শাহ তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে । শাহজাহানের দাক্ষিণাত্য বিজয়ের ক্ষেত্রে পুত্র ঔরঙ্গজেবের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল । উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবশ্য শাহজাহান কান্দাহার দখল করতে ব্যর্থ হন । তাঁর মধ্য এশিয়া জয়ের স্বপ্নও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় । শাহজাহানের রাজত্বকালে পর্তুগিজ জলদস্যুরা বাংলা ও গুজরাটের শান্তি বিঘ্নিত করে । শাহজাহান তাদের শায়েস্তা করতে সক্ষম হন ।

*****

Related Items

ভারতের ইতিহাসে ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব

ভারতের ইতিহাসে হিমালয় পর্বতের প্রভাব, ভারতের ইতিহাসে হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন গিরিপথের প্রভাব, ভারতের ইতিহাসে বিন্ধ্য পর্বতের প্রভাব, ভারতের ইতিহাসে নদনদীর প্রভাব, ভারতের ইতিহাসে সমভূমির প্রভাব, ভারতের ইতিহাসে সমুদ্রের প্রভাব ...

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য

সাধারণভাবে হিমালয় থেকে দক্ষিণে বিন্ধ্যপর্বত পর্যন্ত্য অংশকে আর্যাবর্ত বা উত্তরাপথ ও বিন্ধ্যপর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত্য অংশকে দাক্ষিণাত্য বা দক্ষিনাপথ বলা হয় । ভু-প্রকৃতির বৈশিষ্ট অনুসারে দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে । ...

ভারতবর্ষ নামকরণের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা

ভারতবর্ষের নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত আছে । যেমন -পৌরাণিক যুগের সাগর বংশের সন্তান রাজা ভরতের নাম থেকে আমাদের দেশের নামটি এসেছে ভারত বা ভারতবর্ষ । বিষ্ণু পুরাণে বলা হয়েছে মহাসাগরের উত্তরে এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ের দক্ষিণে অর্থাৎ হিমালয়ের ...

প্রতিবাদী আন্দোলন (Protest Movement)

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রচলিত ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতি অনেক মানুষ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আস্থা হারিয়ে ফেলে । ফলে এই শতাব্দীতে ব্রাহ্মণ্যধর্মের বিরুদ্ধে কয়েকটি প্রতিবাদী আন্দোলন ঘটে এবং নতুন নতুন ধর্মমতের উদ্ভব হয় । এর মধ্যে বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম প্রধান ।

আর্যদের পরিচয় (Coming of The Aryans)

আর্যদের বসতি বিস্তার, ঋকবেদের আলোকে আর্য জনজীবন, রাজনৈতিক জীবন, সামাজিক জীবন, পোশাক পরিচ্ছদ, সামাজিক কাঠাম, আর্যদের অর্থনৈতিক জীবন, কৃষি ও পশুপালন, ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্প , আর্যদের ধর্মজীবন, পরবর্তী বৈদিক যুগে আর্য জনজীবনে পরিবর্তন ...