ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 02/21/2012 - 19:52

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর - ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন (Short questions and answers) :

প্রশ্ন:- কত খ্রিস্টাব্দে সিরাজ উদদৌলা বাংলার সিংহাসনে বসেন ?

উত্তর:- ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে সিরাজ উদদৌলা বাংলার সিংহাসনে বসেন ।

প্রশ্ন:- সিরাজ উদদৌলার রাজধানী কোথায় ছিল ?

উত্তর:- সিরাজ উদদৌলার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদে

প্রশ্ন:- সিরাজ উদদৌলার পক্ষে কে ছিলেন ?

উত্তর:- মিরমদন সিরাজ উদদৌলার পক্ষে  ছিলেন ।

প্রশ্ন:- সিরাজ উদদৌলার বিপক্ষে কারা ছিলেন ?

উত্তর:- রাজবল্লভ, ঘষেটি বেগম, ও মিরন সিরাজ উদদৌলার বিপক্ষে ছিলেন।

প্রশ্ন:- কী উদ্দেশ্যে অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড ঘটনাটি প্রচারিত হয় ?

উত্তর:- নবাব সিরাজ উদদৌলাকে কলঙ্কিত করার জন্য অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড ঘটনাটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন:- আলিনগরের সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?

উত্তর:- ইংরেজদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিসিরাজ উদদৌলার মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

প্রশ্ন:- আলবুকার্কের সাম্রাজ্যবাদী নীতি কী নামে পরিচিত  ?

উত্তর:- আলবুকার্কের সাম্রাজ্যবাদী নীতি নীলজল নীতি নামে পরিচিত  ।

প্রশ্ন:- ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দ কিসের জন্য বিখ্যাত  ?

উত্তর:- ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে জবচার্নক হুগলি নদীর তীরে সুতানুটি গ্রামে বাণিজ্য কুঠি তৈরী করেন ।

প্রশ্ন:- সুরম্যান কে ?

উত্তর:- মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ারের দরবারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি

প্রশ্ন:- বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন ?

উত্তর:- মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন ।

প্রশ্ন:- ইংরেজরা বিদেরার যুদ্ধে কাদের পরাজিত করেন ?

উত্তর:- ইংরেজরা বিদেরার যুদ্ধে ওলন্দাজদের পরাজিত করেন।

প্রশ্ন:- কত খ্রিস্টাব্দে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?

উত্তর:- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী  আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ।

প্রশ্ন:- পলাশির যুদ্ধ কোন বছর সংঘটিত হয় ?

উত্তর:- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ শে জুন পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

প্রশ্ন:- পলাশির যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি কে ছিলেন ?

উত্তর:- লর্ড ক্লাইভ পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের সেনাপতি ছিলেন ।

প্রশ্ন:- মিরজাফর কে ছিলেন ?

উত্তর:- মিরজাফর পলাশির যুদ্ধের আগে বাংলার নবাব সিরাজ উদদৌলার প্রধান সেনাপতি এবং পলাশির যুদ্ধে  সিরাজ উদদৌলার পরাজয়ের পর বাংলার নবাব হন ।

প্রশ্ন:- পলাশির যুদ্ধের ফল কী হয়েছিল ?

উত্তর:- পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদদৌলা পরাজিত হয়েছিলেন ও ইংরেজরা বিজয়ী হয় ।

প্রশ্ন:- পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার নবাব কে হন ?

উত্তর:- পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার নবাব হন মিরজাফর

প্রশ্ন:- বাংলার কোন নবাব মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন ?

উত্তর:- বাংলার নবাব মিরকাশিম মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন ।

প্রশ্ন:-বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার নবাব কে ছিলেন  ?

উত্তর:- বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার নবাব  ছিলেন মিরকাশিম

প্রশ্ন:- মিরকাশিমের পর কে বাংলার নবাব হন ?

উত্তর:- মিরকাশিমের পর বাংলার নবাব হন মিরজাফর

প্রশ্ন:- মিরজাফরের মৃত্যুর পর কে মুর্শিদাবাদের নবাব হয়েছিলেন ?

উত্তর:- মিরজাফরের মৃত্যুর পর নজম-উদ্-দৌলা মুর্শিদাবাদের নবাব হয়েছিলেন ।

প্রশ্ন:- বক্সারের যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে হয় ?

উত্তর:- ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে ২২ শে অক্টোবর বক্সারের যুদ্ধ হয় ।

প্রশ্ন:- বক্সারের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উত্তর:- বাংলার নবাব মিরকাশিমইংরেজদের মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ হয়েছিল । এই যুদ্ধে মোগল সম্রাট শাহ আলম এবং অযোধ্যার নবাব সুজাউদদৌলা মিরকাশিমকে ।

প্রশ্ন:- বক্সারের যুদ্ধের সময় মোগল সম্রাট কে ছিলেন ?

উত্তর:- বক্সারের যুদ্ধের সময় মোগল সম্রাট  ছিলেন দ্বিতীয় শাহ আলম

প্রশ্ন:- এলাহাবাদের প্রথম সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তর:- ইংরেজ কোম্পানি এবং অযোধ্যার নবাবের মধ্যে এলাহাবাদের প্রথম সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় ।

প্রশ্ন:- বেসিনের সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তর:- মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও এবং ইংরেজদের মধ্যে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রশ্ন:- বেসিনের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তর:- ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়  ।

প্রশ্ন:- কোন গভর্নর জেনারেলের শাসনকালে মারাঠা শক্তির চরম অবক্ষয় ঘটে ?

উত্তর:- গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের শাসনকালে মারাঠা শক্তির চরম অবক্ষয় ঘটে ।

প্রশ্ন:- সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটে কত খ্রিস্টাব্দে ?

উত্তর:- ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটে ।

প্রশ্ন:- বন্দিবাসের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে সংঘটিত হয় ?

উত্তর:- বন্দিবাসের যুদ্ধ ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ও ফরাসিদের মধ্যে সংঘটিত হয় ।

প্রশ্ন:- বন্দিবাসের যুদ্ধে করা বিজয়ী হয় ?

উত্তর:- বন্দিবাসের যুদ্ধে ইংরেজরা বিজয়ী হয় ।

প্রশ্ন:- সাগৌলির চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?

উত্তর:- নেপালের রাজাইংরেজদের মধ্যে সাগৌলির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ।

প্রশ্ন:- কবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করে ?

উত্তর:- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করে ।

প্রশ্ন:- কোন মোগল সম্রাট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দেওয়ানি আদায়ের অধিকার দেন ?

উত্তর:- মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দেওয়ানি আদায়ের অধিকার দেন ।

প্রশ্ন:- বাংলায় দ্বৈত শাসনব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন ?

উত্তর:- লর্ড ক্লাইভ বাংলায় দ্বৈত শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন ।

প্রশ্ন:- দ্বৈত শাসনব্যবস্থা কে রদ করেন ?

উত্তর:- ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসনব্যবস্থা কে রদ করেন  ।

প্রশ্ন:-  ইংরেজরা কার কাছ থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে ?

উত্তর:- মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে ইংরেজরা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে ।

প্রশ্ন:- কোন সময় থেকে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শোষণ শুরু হয় ?

উত্তর:- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের জয় লাভের পর থেকে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শোষণ শুরু হয় ।

প্রশ্ন:- ডুপ্লে কে ছিলেন ?

উত্তর:- ডুপ্লে ছিলেন  পন্ডিচেরীর ফরাসি শাসনকর্তা

প্রশ্ন:- প্রথম কর্ণাটকের যুদ্ধের সময় কর্ণাটকের নবাব কে ছিলেন ?

উত্তর:- প্রথম কর্ণাটকের যুদ্ধের সময় কর্ণাটকের নবাব ছিলেন নবাব আনওয়ারউদ্দিন

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধের সময় পন্ডিচেরীর গভর্নর কে ছিলেন ?

উত্তর:- দ্বিতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধের সময় পন্ডিচেরীর গভর্নর ছিলেন জোসেফ ডুপ্লে

প্রশ্ন:- কোন যুদ্ধের ফলে ভারতে ঈঙ্গ-ফরাসি প্রতিদ্বন্দিতার অবসান হয় ?

উত্তর:- তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধের ফলে ভারতে ঈঙ্গ-ফরাসি প্রতিদ্বন্দিতার অবসান হয়।

প্রশ্ন:- তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধের সময় বাংলায় ফরাসিদের পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন ?

উত্তর:- তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধের সময় বাংলায় ফরাসিদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা

প্রশ্ন:- তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধে ফরাসি ও ইংরেজদের প্রধান সেনানায়কদের নাম কী ?

উত্তর:- তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধে ফরাসি সেনানায়ক ছিলেন কাউন্ট-দ্য-লালি এবং ইংরেজ সেনানায়ক ছিলেন স্যার আয়ার কুট

প্রশ্ন:- ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ইংরেজির কোন সালে ঘটে  ?

উত্তর:- ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ঘটে ।

প্রশ্ন:- মোট কয়টি কর্নাটক যুদ্ধ সংঘটিত হয় ?

উত্তর:- ৩টি কর্নাটকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

*****

Related Items

আধুনিক যুগের ঐতিহাসিক উপাদান

আধুনিক যুগের ইতিহাস রচনার জন্য ঐতিহাসিক উপাদানের কোনো অভাব নেই । লেখ্যাগারে সঞ্চিত সরকারি নথিপত্র, বিভিন্ন বিদেশী, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাগজপত্র, সংবাদ পত্র ও সাময়িক পত্র, শাসক ও সরকারি কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের দিনপঞ্জী ...

মধ্যযুগের ঐতিহাসিক উপাদান

সুলতানি যুগ ও মুঘল যুগ মিলে মধ্যযুগ বলা হয় । মধ্যযুগে ইতিহাস গ্রন্থের অভাব নেই । সেজন্য মধ্যযুগে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান অপেক্ষা সাহিত্যিক উপাদান বেশি গুরুত্বপূর্ণ । সুলতানিযুগের ঐতিহাসিক উপাদান দু ধরনের (i) সাহিত্যিক উপাদান ও (ii) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান ...

প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের উপাদান

সমকালীন ঐতিহাসিকদের রচনা ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক সাহিত্যকীর্তি হল মূলত ইতিহাসের সাহিত্যিক উপাদান । সাহিত্যিক উপাদানের নির্ভরযোগ্যতা সম্মন্ধে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়, কারণ এখানে ভূল তথ্য বা অনিচ্ছাকৃত তথ্য পরিবেশনের সুযোগ থাকে ।

বৈচিত্রের মাঝে ভারতের মূলগত ঐক্য

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিশাল এই ভুখন্ডের তাপমাত্রা, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত, জৈব ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য, মানবীয় বৈচিত্র্য, ভাষাগত বৈচিত্র্য, ধর্মীয় বৈচিত্র্য প্রভৃতি অসাধারণ ভৌগলিক বৈচিত্র্য এবং ভাষা, ধর্ম তথা মানুষের জীবন যাত্রা ও রীতিনীতিতে নানান বিভিন্নতা থাকা সত্বেও ...

ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় জনগোষ্ঠীর বিভাগ

ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় জনগণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- আর্য গোষ্ঠী, দ্রাবিড় গোষ্ঠী ও আদিবাসী গোষ্ঠী ...