এশিয়ার উত্তর বাহিনী নদীগুলি

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/16/2014 - 12:54

এশিয়ার উত্তর বাহিনী নদীগুলির গতিপথ : এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগের সুবিস্তীর্ণ ও সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে অনেক নদী উৎপন্ন হয়েছে । এদের মধ্যে কয়েকটি নদী ভূমির ঢাল অনুসরণ করে উত্তর দিকে সাইবেরিয়া সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তর সাগরে পড়েছে । এশিয়া মহাদেশের এইসব উত্তরবাহিনী নদীগুলির মধ্যে ওব, লেনাইনিসি উল্লেখযোগ্য । এশিয়ার উত্তর বাহিনী নদীগুলি সাধারণত বন্যাপ্রবণ । এই নদীগুলির মোহানা হিমমণ্ডলে অবস্থিত হওয়ার জন্য প্রায় সারাবছরই বরফে ঢাকা থাকে । তাই সমুদ্রে প্রবাহিত হওয়ার মূল পথ অবরুদ্ধ হওয়ার জন্য এইসব নদীগুলির নিম্ন ও মধ্য উপত্যকায় প্রায়ই বন্যা হয় ।

(১) ওব নদী : ওব নদী আলতাই পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে ওব উপসাগরে পড়েছে । এর প্রধান উপনদী হল ইর্টিস । ওব নদীর দৈর্ঘ্য ৫,১২০ কিলোমিটার ।

(২) লেনা নদী : লেনা নদী বৈকাল হ্রদের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে লাপ্টেভিক উপসাগরে পতিত হয়েছে । এর প্রধান উপনদী হল ভিটিমঅল্ডান । লেনা নদীর দৈর্ঘ্য ৪,৪৮০ কিলোমিটার ।

(৩) ইনিসি নদী : ইনিসি নদী সয়ান পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে ইনিসি উপসাগরে পড়েছে । এর প্রধান উপনদী হল টুঙ্গুস্কা । ইনিসি নদীর দৈর্ঘ্য ৫,২৮০ কিলোমিটার ।

(৪) এশিয়ার অন্যান্য উত্তর বাহিনী নদী : এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য উত্তর বাহিনী নদীগুলির মধ্যে কোলিমাখাটাঙ্গু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।

*****

Related Items

মরু অঞ্চল ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজের কারণ

মরু অঞ্চল ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজের কারণ :

বায়ুপ্রবাহের কাজ (Work of Wind)

বায়ুপ্রবাহের কাজ (Work of Wind) : বায়ুপ্রবাহের প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন করা । এছাড়া অপসারণ বা বহন এবং সঞ্চয় বা অবক্ষেপণের মাধ্যমেও বায়ুপ্রবাহ কাজ করে থাকে । বায়ুপ্রবাহ সহজেই বালুকণাকে উপরে তুলে উড়িয়ে নিয়ে যায় । ভূমি বা মাটির কাছাকাছি বায়ু প্রবাহের গতিবেগ

কেটল (Kettle)

কেটল (Kettle) : বহিঃধৌত সমভূমিতে হিমবাহ ও হিমবাহ গলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেটল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । কোনো কোনো সময় বহিঃধৌত সমভূমিতে বিরাট বিরাট বরফের চাঁই নানা ধরনের অবক্ষেপের মধ্যে চাপা পড়ে

এসকার (Esker)

এসকার (Esker) : হিমবাহ ও  জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, এসকার হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশে হিমবাহের বহন করে আনা বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি, কাদা, বালি, কাঁকর প্রভৃতি হিম

কেম (kames)

কেম (kames) : হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেম হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি  ভূমিরূপ । অনেক সময় পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাদা, বালি, নুড়ি, পাথর, কাঁকর ইত্যা