স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন - ১২ জানুয়ারী জাতীয় যুবদিবস
১২ ই জানুয়ারী ২০২৪ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২তম জন্ম বার্ষিকী - স্বামী বিবেকানন্দের জীবনপঞ্জি (সংক্ষিপ্ত)
দণ্ড কমণ্ডলু হাতে এক নবীন পরিব্রাজক চলেছেন ভারত পরিক্রমায় । ভারত-আত্মার যথার্থ স্বরূপ সন্ধানই সেই দৃপ্ত-চরিত্র সন্ন্যাসীর অভিষ্ট । কিন্তু, কোন ভারতবর্ষকে তিনি প্রত্যক্ষ করলেন । কোথায় গেল ভারতের সেই শৌর্যবীর্যের অতীত গৌরব-ইতিহাস ? কোন অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো সনাতন ভারতের এক উজ্জ্বল মানবপ্রেমের আদর্শ ? ভারতের সর্বত্রই আজ সীমাহীন দারিদ্র, পরাধীনতার গাঢ় অন্ধকার, পরানুকরণ-মত্ততা, দাসসুলভ দুর্বলতা, অস্পৃশ্যতার রাহুগ্রাস । সন্ন্যাসীর অন্তরাত্মা কেঁদে উঠলো । কে এই সন্ন্যাসী, যিনি দরিদ্র মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করলেন ? কে এই তাপস-শ্রেষ্ঠ, যিনি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করলেন উদার মানবিকতায় ? উদ্জীবিত করলেন নবজীবনের অগ্নিমন্ত্রে ? কে সেই মহাসাধক, যিনি বজ্রকন্ঠে ভারতবাসীকে শোনালেন, 'ভুলিও না, নীচ জাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই' ? কার উদাত্ত বজ্র-ঘোষণা জাতির নিস্তরঙ্গ জীবনে আনল দুর্বার যৌবন তরঙ্গ ? তিনি হলেন অমিত শক্তিধর, নবজাগরণ-মন্ত্র-উদগাতা. বীরেশ্বর বিবেকানন্দ ।
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি, (১২৬৯ সালের ২৯ পৌষ), সোমবার) মকর সংক্রান্তির দিন সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে কলকাতার শিমুলিয়া পল্লিতে স্বামী বিবেকানন্দ জন্ম গ্রহন করেন । বিশ্বনাথ দত্ত ও ভুবনেশ্বরী দেবীর ষষ্ঠ সন্তান, তিন পুত্রের মধ্যে প্রথম । মধ্যম ও কনিষ্ঠ পুত্র : মহেন্দ্রনাথ দত্ত ও ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত । পিতা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি । তিনি ছিলেন দানশীল এবং সামাজিক ও ধর্মীয় চিন্তার ক্ষেত্রে প্রগতিবাদী । তাঁর নামকরণ করা হয় নরেন্দ্রনাথ দত্ত । তাঁর ডাক নাম বিলে । জননী ভুবনেশ্বরী দেবী ছিলেন ধর্মপ্রাণা নারী । বহু কৃচ্ছ্রসাধন করে তিনি কাশীর বিশ্বেশ্বর শিবের নিকট পুত্রকামনা করেন । কথিত আছে, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন শিব ধ্যান থেকে উঠে তাঁকে বলছেন যে তিনি তাঁর পুত্ররূপে জন্ম নেবেন । পিতার যুক্তিবাদী মন ও জননীর ধর্মীয় চেতনা স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তা ও ব্যক্তিত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল । প্রথম জীবনেই পাশ্চাত্য দর্শন ও বিজ্ঞানের সহিত তাঁর পরিচিতি ঘটেছিল । এই কারণে অকাট্য প্রমাণ ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়া কোনো বক্তব্যই তিনি গ্রহণ করতেন না । অন্যদিকে অতি অল্পবয়সেই ধ্যান ও বৈরাগ্যের আধ্যাত্মিক আদর্শের প্রতি তাঁর মন আকৃষ্ট হয় ।
১৮৮১ : জেনারেল এসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে পড়ার সময় অধ্যাপক হেস্টির কাছে শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধির বিষয়ে শুনলেন । নভেম্বর মাসে সুরেন মিত্রের বাড়িতে শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ । ডিসেম্বর মাসে প্রথমবার দক্ষিণেশ্বরে গেলেন । তারপর দক্ষিণেশ্বরে যাতায়াত শুরু ।
১৮৮৪, ২৫ ফেব্রুয়ারী : রাতে হঠাৎ পিতার মৃত্যু । জীবন সংগ্রামের শুরু । আর্থিক সংকট ও আত্মীয়স্বজনের নিষ্ঠুরতা । শ্রীরামকৃষ্ণের নির্দেশে মা-কালীর কাছে প্রার্থনা করতে যাওয়া । তিন বার-ই তিনি প্রার্থনা করলেন । জ্ঞান-ভক্তি-বিবেক-বৈরাগ্য । অতঃপর শ্রীরামকৃষ্ণের আশ্বাস দান । মোটা ভাত কাপড়ের অভাব হবে না । এটর্নী অফিসে কাজ করে ও বই অনুবাদ করে সংসার যাত্রা নির্বাহ । পরে কিছুদিন মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনে চাঁপাতলা শাখায় হেডমাস্টারও হয়েছিলেন ।
১৮৮৫ : শ্রীরামকৃষ্ণের ক্যান্সার । চিকিৎসার সুবিধার জন্য প্রথমে তাঁকে শ্যামপুকুরে ও পরে কাশীপুরে আনা হয় ।
১৮৮৬, ১১ ফেব্রুয়ারী : নরেন্দ্রকে শ্রীরামকৃষ্ণ লোক শিক্ষার ’চাপরাস’ দিলেন ।
১৮৮৬, ১৬ আগস্ট : শ্রীরামকৃষ্ণের মহাসমাধি ।
১৮৮৬, ১৯ অক্টোবর : প্রথম শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ‘বরানগর মঠ’ -র প্রতিষ্ঠা ।
১৮৮৬, ২৮ ডিসেম্বর : ক্রীসমাস ইভের রাতে আঁটপুরে গুরুভাইদের সঙ্গে সমবেতভাবে সন্ন্যাস গ্রহণের সংকল্প ।
১৮৮৭, জানুয়ারী : সন্ন্যাসগ্রহণ ।
১৮৮৭-১৮৯৩ : বিভিন্ন দফায় ভারত-পরিক্রমা । এই ভারত-পরিক্রমা আসলে ভারত-আবিষ্কার— ভারতের শক্তি ও দুর্বলতা উভয়কেই নিজের চোখে দেখা । ভারতের শক্তি- ধর্ম ও ধর্মকেন্দ্রিক সংস্কৃতি; দুর্বলতা-দারিদ্র, অশিক্ষা, সাধারণ মানুষ ও নারীজাতিকে অবহেলা । ‘বিবেকানন্দ’ -র নির্মাণ সম্পূর্ণ হল এই ভারত - পরিক্রমার সঙ্গে সঙ্গে । ভগিনী নিবেদিতা বলেছেন : গুরু, শাস্ত্র ও মাতৃভূমি এই তিনটে মিলে বিবেকানন্দ তৈরী হয়েছেন ।
১৮৯৩, ৩১ মে : পেনিনসুলার জাহাজে ভারতত্যাগ ।
২৫ জুলাই : কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ।
৩০ জুলাই : শিকাগো রাত সাড়ে দশটায় পৌঁছলেন ।
আগস্টে : ধর্মমহাসভায় যোগদানের অনিশ্চয়তা ও খরচ কমানোর জন্য বোস্টন যাত্রা ।
১৮৯৩, ৯ সেপ্টেম্বর : বোস্টন থেকে আবার শিকাগোয় । স্টেশনের প্যাকিং বাক্সে (মতান্তরে মালগাড়িতে) রাত্রিযাপন ।
১০ সেপ্টেম্বর : শিকাগোর পথে ভিক্ষায় ।
১১ সেপ্টেম্বর : ধর্মমহাসভায় প্রথম বক্তৃতা ।
১৯ সেপ্টেম্বর : ‘হিন্দুধর্ম’ বক্তৃতা ।
২৭ সেপ্টেম্বর : শেষ বক্তৃতা ।
১৮৯৩-১৮৯৬ : আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতি প্রচার । [আমেরিকা থেকে দু-বার ইংল্যান্ডে গেছিলেন । প্রথমবার ৩ মাসের জন্য - ১৮৯৫ -এর আগস্ট থেকে ১৯৯৫ -এর নভেম্বর পর্যন্ত । এই সময়ে লন্ডনে মিস মার্গারেট নোবেল (ভাগিনী নিবাদিতা) প্রথম তাঁর সংস্পর্শে আসেন । দ্বিতীয়বার গেছিলেন ভারতে ফেরার আগে : ১৮৯৬ -এর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত - ৭ মাস । ]
১৮৯৬, ১৬ ডিসেম্বর : ভারতে প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ ।
২১, ডিসেম্বর : রোম
৩০ ডিসেম্বর : কলম্বোর পথে যাত্রা ।
১৮৯৭, ১৫ জানুয়ারী : কলম্বোয় ।
২৬ জানুয়ারী : মূল ভারত ভুখন্ডে (পাম্বান -এ) । ভারত জুড়ে অভুতপূর্ব উদ্দীপনা ।
২৭ জানুয়ারী : রামেশ্বর মন্দিরে ভাষণ : ‘Real Worship’ ।
৬ - ১৪ ফেব্রুয়ারী : মাদ্রাজে (চেন্নাইয়ে ) । গোটা মাদ্রাজ উত্তাল । খবরের কাগজে বর্ণনা । মাদ্রাজে এ যেন নতুন নবরাত্রি ।
১৯ ফেব্রুয়ারী : কলকাতায় ।
৭ মার্চ : দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপন ।
৮ মার্চ : স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য দার্জিলিং -এ ।
১ মে : কলকাতায় বলরাম বসুর বাড়িতে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা । ঐ সভাতেই শ্রীমা সারদাদেবীকে ’সঙ্ঘজননী’ রূপে স্বামীজির ঘোষণা ।
৬ মে : আলমোড়ার পথে যাত্রা । আট মাস ধরে আলমোড়া, বেরিলি, লাহোর, অমৃতসর, রাওয়ালপিন্ডি, শ্রীনগর, জম্মু, শিয়ালকোট, আলোয়ার, জয়পুর, ক্ষেত্রী— এই সব স্থানে ভ্রমণ ও বক্তৃতা । রোমাঁ রোলাঁর মতে এ তাঁর দ্বিতীয়বার ভারতপরিক্রমা, এবার বিজয়ীর বেশে, ‘কুম্ভকর্ণে’র ঘুম ভাঙ্গাতে ।
১৮৯৮, জানুয়ারী ৩য় সপ্তাহ : কলকাতায় ।
২৮ জানুয়ারী : ভগিনী নিবেদিতার বিদেশ থেকে কলকাতায় আগমন ।
২৭ ফেরুয়ারী: বালিতে পূর্ণচন্দ্র দাঁ -র ঠাকুর বাড়িতে রামকৃষ্ণ জন্মোৎসব পালিত ।
২৫ শে মার্চ : নিবেদিতাকে ব্রহ্মচর্য দীক্ষা ও নিবেদিতার নাম প্রদান ।
৩০ শে মার্চ : দার্জিলিং -এ । এপ্রিলে কলকাতায় প্লেগ । প্লেগ দমনের জন্য ৩রা, মে কলকাতায় ফিরে এলেন । তাঁর নির্দেশে নিবেদিতা ও সদানন্দের পরিচালনায় কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশনের প্লেগ-সেবা কাজ ।
১১ মে : নিবেদিতা, স্বামী তুরিয়ানন্দ, স্বামী সদানন্দ, স্বামী স্বরূপানন্দ, মিস ম্যাক্লাউড, ওলি বুল.স্বামী নিরঞ্জনানন্দ প্রভৃতি সহ আলমোড়া, নৈনিতাল, কাশ্মীর ও অমরনাথ যাত্রা ।
২ আগস্ট : অমরনাথ দর্শন ।
১৮ অক্টোবর : কলকাতায় ফেরা ।
১৮৯৯, ২০ জুন : দ্বিতীয়বার পাশ্চাত্য যাত্রা । ১৯ জুন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারীদের উদ্দেশ্যে ‘সন্ন্যাসের আদর্শ’ সম্বন্ধে উদ্দীপনাময়ী বক্তৃতা । বললেন : সন্ন্যাসের অর্থ মৃত্যুকে ভালোবাসা । মৃত্যুকে ভালোবাসার অর্থ মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনে গোটা জীবনকে হাসিমুখে পরার্থে নিয়োজিত করা । রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীকে একই সঙ্গে গভীর আদর্শপরায়ণ ও বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে । সে একই সঙ্গে ধ্যানে ও কর্মে কুশল হবে ।
৩১ জুলাই : লন্ডনে ।
আগস্টের প্রথম দিকে : উইম্বলডনে ।
১৭ আগস্ট : আমেরিকার পথে ।
২৮ আগস্ট : নিউইয়র্কে । প্রায় এক বছর আমেরিকায় বাস । তারপর প্যারিস, ভিয়েনা, এথেন্স হয়ে কায়রো থেকে ভারত-যাত্রা ১৯০০ -র ২৬শে নভেম্বর ।
১৯০০, ৯ ডিসেম্বর : বেলুড় মঠে পৌঁছানো । ক্যাপ্টেন সেভিয়ারের মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তি ।
২৭ ডিসেম্বর : মিসেস সেভিয়ারকে সান্ত্বনা দিতে মায়াবতী যাত্রা ।
২৯ ডিসেম্বর : মায়াবতীর পথে কাঠগোদামে ।
১৯০১, ৩ জানুয়ারী : মায়াবতী ।
৫ জানুয়ারী : স্বামী স্বরূপানন্দের কাছে মায়াবতী আশ্রমের ভাবিষ্যৎ পরিকল্পনা বর্ণনা । দু-সপ্তাহ মায়াবতীতে থেকে ১৮ জানুয়ারী মায়াবতী ত্যাগ ।
২৪, জানুয়ারী : বেলুড় মঠে ।
১৮ মার্চ : সন্ন্যাসিশিষ্য সহ পূর্ববঙ্গ ও আসাম যাত্রা । ঢাকা জগন্নাথ কলেজে বক্তৃতা । পগোজ স্কুলের লাগোয়া মাঠে বক্তৃতা । দেওভোগে নাগ মহাশয়ের গৃহে ।
৫ এপ্রিল : চন্দ্রনাথ মন্দিরের পথে ঢাকা ত্যাগ । কামাখ্যা দর্শন । গৌহাটিতে তিনটি বক্তৃতা । শারীরিক অবস্থার অবনতি । শিলং -এ স্যার হেনরি কটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বক্তৃতা ।
১২ মে : বেলুড় মঠে উপস্থিতি, স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতি ।
৭ আগস্ট : দার্জিলিং যাত্রা । শেষ সপ্তাহে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন । স্বাস্থ্যের কারণে জাপান যাওয়ার আমন্ত্রণ ত্যাগ ।
১৮ অক্টোবর : মঠে দূর্গাপূজা । শ্রীশ্রীমায়ের উপস্থিতি । সপ্তমীর দিন স্বামীজীর জ্বর । অষ্টমীর দিন সুস্থ হয়ে মা -কে অঞ্জলিপ্রদান । নবমীর দিন রাত্রে ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন । এই সময়েই শরীরের দ্রুত অবনতি । মা ভুবনেশ্বরী দেবীর ইচ্ছা পূরণার্থে কালীঘাট গমন ।
২৩ ডিসেম্বর : কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন । এই সময় বাল গঙ্গাধর তিলক মঠে আসেন, স্বামীজী তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন । মহাত্মা গান্ধীও এসেছিলেন - অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষাৎ হয়নি ।
১৯০২, ২৭ জানুয়ারী : ম্যাকলাউড ও ওকাকুরার সঙ্গে বুদ্ধগয়ায় গমন । সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর ফেব্রুয়ারী মাসে শেষবারের মতো বারাণসী গমন । সেখানে শরীরের ক্রমাবনতি ।
৮ মার্চ : বেলুড় মঠে প্রত্যাবর্তন ।
১১ মার্চ : শ্রীরামকৃষ্ণ জন্মোৎসব ।
১৬ মার্চ : শ্রীরামকৃষ্ণ জন্মতিথি উপলক্ষে সাধারণ উৎসব । অসুস্থতার জন্য স্বামীজী সারাদিন ঘর থেকে বের হতে পারলেন না ।
১৯ জুন : ভুবনেশ্বরী দেবীকে দেখতে কলকাতা গমন ।
২৯ জুন : নিবেদিতার মঠে আগমন । সারাদিন নানা বিষয়ে আলোচনা ।
২ জুলাই : একাদশী তিথি । নিবেদিতার মঠে আগমন । তাঁকে স্বহস্তে আহার্য্য দান এবং স্বয়ং যীশুর মতো আহারান্তে হাত ধোয়ার জন্য জল দান ।
১৯০২, ৪ জুলাই : সকালে গুরুভাইদের সঙ্গে চায়ের আসরে নানা গল্প ও পরদিন কালীপূজার নির্দেশ । আটটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত ধ্যান । ধ্যানের পর শ্যামাসঙ্গীত : ’মা কি আমার কালো রে … ।’ এরপর পায়চারি করতে করতে স্বগতোক্তি : ”যদি আরেকটা বিবেকানন্দ থাকত তবে বুঝতে পারত, বিবেকানন্দ কি করে গেল । কালে কিন্তু এমন শত শত বিবেকানন্দ জন্মাবে ।“ সকলের সঙ্গে মধ্যাহ্ণভোজন । দুপুরে তিন ঘন্টা ব্রহ্মচারীদের পড়ানো । বিকেলে স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে ভ্রমণ ও ’বেদবিদ্যালয়ের’ পরিকল্পনা । সন্ধ্যারতির পরে এক ঘন্টা ধ্যান । রাত ৯ টা ১০ মিনিটে মহাসমাধি ।
*****