ঊনবিংশ শতাব্দির দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয়দের প্রতি সমকালীন ব্রিটিশ শাসকদের ঘৃণা, অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক আচরণ, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে ইংরেজদের ভারতীয়দের প্রতি প্রচন্ডভাবে অবজ্ঞা করা, প্রশাসনিক, সামরিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাত্রাতেও ভারতীয়দের ...

ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশ শাসকদের ঘৃণা, অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক আচরণ, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে ইংরেজদের ভারতীয়দের প্রতি প্রচন্ডভাবে অবজ্ঞা করা, প্রশাসনিক, সামরিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাত্রাতেও ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজদের তীব্র ঘৃণা, বিদ্বেষ ও অবজ্ঞা ...

ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশ শাসকদের ঘৃণা, অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক আচরণ ভারতবাসীকে ক্ষুব্ধ করে তুলছিল । প্রথম থেকেই জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে ইংরেজরা ভারতীয়দের প্রচন্ডভাবে অবজ্ঞা করত । প্রশাসনিক, সামরিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ...

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পরবর্তী পর্যায়ে ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা ক্রমশ বুঝতে পারছিলেন যে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবে শোষণ করা । ইংল্যান্ডের স্বেচ্ছাচারী অর্থনৈতিক শোষণ ভারতকে কাঁচামাল সরবরাহের উত্স ও ভোগ্যপণ্যের খোলা ...

ভারতে ইংরেজ শাসন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন হয় । রাজা রামমোহন রায়, হেনরি ভিভিয়ান ডিরোজিও, ডেভিড হেয়ার, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ডিঙ্কওয়াটার বেথুন প্রমুখ ভারতীয় ও ইংরেজ মনীষীগণ এদেশে ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন ...

জাতীয়তাবোধের উন্মেষে সংস্কার আন্দোলনের ভুমিকা, পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব, সংবাদপত্র ও সাহিত্যের ভুমিকা, জাতীয় চেতনার উন্মেষ ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিল তত্কালীন সংবাদপত্র ও দেশাত্মবোধক সাহিত্য সমূহ । যেসব জাতীয়তাবাদী পত্রপত্রিকা ব্রিটিশ বিরোধী ...

আলিগড় আন্দোলনের প্রবর্তক ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খাঁ । পিছিয়ে পড়া মুসলমান সম্প্রদায়কে যুক্তিবাদী আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য স্যার সৈয়দ আহমেদ খাঁ উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে যে আন্দোলনের সূচনা করেন তা আলিগড় আন্দোলন নামে খ্যাত ...

১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই অগস্ট যুগাবতার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জীবনাবসান হয় । তার পূর্বেই শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁর কয়েকজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও অনুগামীকে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা দান করেন । এঁরাই পরবর্তীকালে তাঁর প্রচারিত "যত মত ততপথ" এবং সেবাদর্শকে কর্মে রূপায়িত করার ...

উনবিংশ শতাব্দীর ধর্ম ও সংস্কৃতির আকাশে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হলেন শ্রীরামকৃষ্ণ (১৮৩৬-৮৬ খ্রি.) । পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামার পুকুর গ্রামে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই ফেব্রুয়ারী এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয় । ...

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হলেন উনবিংশ শতাব্দীর সমাজ-সংস্কার ও শিক্ষা প্রসার আন্দোলনের প্রাতঃস্মরনীয় মহাপুরুষ । তিনি ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতার নাম ভগবতী দেবী । ...

১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (১৮২৪-৮৩ খ্রি.) পাঞ্জাবে আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন । আর্যসমাজ পাঞ্জাবের একটি ধর্মীয় সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান । পাশ্চাত্যের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের হাত থেকে ক্ষয়িষ্ণু হিন্দুধর্মকে রক্ষা করার জন্য আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠা হয় । ...

১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই শহরে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সমাজের নেতা ছিলেন ডঃ আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ (১৮২৩-১৮৯৪ খ্রি.) । ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে কেশবচন্দ্র সেন বোম্বাই শহরে গেলে মহারাষ্ট্রের প্রার্থনা সমাজকে তিনি আরও শক্তিশালী করে তোলেন ...

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম ভারতে মহারাষ্ট্র ছিল ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম ক্ষেত্র । ১৮৪০ সালে মুম্বই -এ স্থাপিত, পরমহংসমন্ডলী এই শিক্ষা ও আন্দোলন গড়ে তোলেন । এই আন্দোলনকে যাঁরা আরও এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরা হলেন মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে এবং লোকহিতবাদী গোপালহরি দেশমুখ ...

উনিশ শতকের প্রথম ভাগে হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও পরিচালিত নব্যবঙ্গ আন্দোলনের অনুগামীদের নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল বলা হয় । স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তিবাদে বিশ্বাসী ডিরোজিও তাঁর ছাত্রদের সততা, ন্যায়, সত্যানুসন্ধিত্সা ...

পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তন এবং ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার ফলে ভারতে শিক্ষা দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে । পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত এবং জ্ঞানবিজ্ঞানে আলোকিত একদল তরুণ হিন্দুধর্ম ও সমাজের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে ওঠেন । এঁরা অন্ধ ...

আধুনিক ভারতের রূপকার রাজা রামমোহন রায় উনবিংশ শতাব্দীর ধর্মসংস্কার আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে বেদান্তের একেশ্বরবাদের ওপর ভিত্তি করে রাজা রামমোহন রায় হিন্দুধর্মকে সংস্কারমুক্ত করার জন্য ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথমে ‘আত্মীয় সভা’ গঠন করেন । ...

শিক্ষা সংস্কার, ধর্ম সংস্কার, সমাজ সংস্কার, সতীদাহ প্রথা, বিবিধ সংস্কার । মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পর রাজনৈতিক আবর্তে বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছিল এবং নানা কুসংস্কারের চাপে সমাজের স্বাভাবিক ধারা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ...

ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রত্যক্ষ প্রভাবে রেনেসাঁস বা নবজাগরণ ঘটে । পাশ্চাত্য শিক্ষার সংস্পর্শে এসে ভারতীয়রা পাশ্চাত্য জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয় । এর অন্যতম ফলশ্রুতিতে ইংরেজি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয় । পাশ্চাত্য শিক্ষার আলোকে ...

ভারতে ইংরেজ শাসন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন হয় । রাজা রামমোহন রায়, হেনরি ভিভিয়ান ডিরোজিও, ডেভিড হেয়ার, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ডিঙ্কওয়াটার বেথুন প্রমুখ ভারতীয় ও ইংরেজ মনীষীগণ এদেশে ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ...

১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের লর্ড কার্জন ভারতের গভর্নর নিযুক্ত হয়ে আসার পর ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পীঠস্থান বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করতে সচেষ্ট হন । ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে জুলাই তিনি এক আদেশ বলে বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করে ...