প্রশ্ন:- বেদের শেষ ভাগের নাম কী ?
উত্তর:- বেদের শেষ ভাগের নাম অথর্ব ।
প্রশ্ন:- বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশকে বেদান্ত বলা হয় ?
উত্তর:- উপনিষদ কে বৈদিক সাহিত্যের বেদান্ত বলা হয় ।
প্রশ্ন:- বেদ কবে রচিত হয় ?
উত্তর:- খ্রিষ্টপূর্ব ১,৫০০ - ১০০০ অব্দের মধ্যে বেদ রচনা করা হয় বলে অনুমান করা হয়ে থাকে ।
প্রশ্ন:- বেদের কয়টি ভাগ আছে ও কী কী ?
উত্তর:- বেদের চারটি ভাগ আছে - যথা ঋক,সাম,যজু, ও অথর্ব ।
প্রশ্ন:- প্রত্যেক বেদের কয়টি অংশ ও কী কী ?
উত্তর:- প্রত্যেক বেদের চারটি অংশ , যথা: সংহিতা , ব্রাহ্মণ, আরন্যক এবং উপনিষদ বা বেদান্ত ।
প্রশ্ন:- কী ভাবে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় ?
উত্তর:- বিদ শব্দ থেকে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় , বিদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান ।
প্রশ্ন:- গৃহপতি বা কুলপা কাকে বলা হত ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের কোনো পরিবারের কর্তাকে গৃহপতি বা কুলপা বলা হত ।
প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম করো ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম হল অন্ডালা, ঘোষ, মমতা, লোপামুদ্রা প্রভৃতি ।
প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম কী ?
উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম ব্রহ্মচর্য ।
প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম কী ?
উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম সন্ন্যাসাশ্রম ।
প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম কী ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম 'নিষ্ক' ও 'মনা' ।
প্রশ্ন:- ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম করো ?
উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম হল সূত্রধর,চর্মকার,ছুতোর,তাঁতি,কুমোর,প্রভৃতি ।
প্রশ্ন:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?
উত্তর:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু ।
প্রশ্ন:- আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?
উত্তর:- আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু ।
প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতা কী ?
উত্তর:- বেদকে ভিত্তি করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠেছে তাই বৈদিক সভ্যতা ।
প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা কারা ?
উত্তর:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা হল আর্যরা ।
প্রশ্ন:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হত ?
উত্তর:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কর নেওয়া অর্থে ব্যবহৃত হত ।
প্রশ্ন:- উপনিষদ কী ?
উত্তর:- উপনিষদ হল বেদের একটি অন্যতম দার্শনিক বিভাগ ।
প্রশ্ন:- চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম করো ?
উত্তর:- চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম বেদাঙ্গ ।
প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের দুটি জনসভার নাম করো যারা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ?
উত্তর:- সভা ও সমিতি -নামে দুটি জনসভা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ।
প্রশ্ন:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা কী ছিল ?
উত্তর:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত ।
প্রশ্ন:- দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী কোথায় লিপিবদ্ধ আছে ?
উত্তর:-দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী ঋকবেদে লিপিবদ্ধ আছে।
প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা কারা ছিলেন ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা ছিলেন পৃথিবী, মরুৎ, রুদ্র, অগ্নি, উষা, ইন্দ্র, সূর্য প্রভৃতি ।
প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম করো ?
উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম হল মৈত্রেয়ী ও গার্গী ।
প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম করো ?
উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম হস্তিনাপুর ও কৌশাম্বী ।
প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের কোন যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ?
উত্তর:- প্রাচীন ভারতের পরবর্তী বৈদিক যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ।
প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে কী বলা হত ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলা হত ।
প্রশ্ন:- গৃহপতি বলতে কী বোঝো ?
উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে গ্রামাঞ্চলে গৃহপতি নামে একটি অত্যন্ত বিত্তশালী কৃষক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়েছিল এবং এরা সাধারণত বৈশ্য শ্রেণীভুক্ত ছিল ।
প্রশ্ন:- শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলতে কী বোঝো ?
উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে বৈশ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত বিত্তশালী বণিক শ্রেণীর উৎপত্তি হয়ে এবং এরা শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি নামে পরিচিত ।
প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?
উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?
উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
প্রশ্ন:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ত্রিপিটক ( বিনয় পিটক, সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ) ।
প্রশ্ন:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক কোন ভাষায় লেখা ?
উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক পালি ভাষায় লেখা ।
প্রশ্ন:- জাতক কী ?
উত্তর:- বৌদ্ধ সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ , এতে গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে ।
প্রশ্ন:- অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম কী ?
উত্তর:- অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম মঝঝিম বা মধ্যপন্থা ।
প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার প্রধান পার্থক্য কী ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা প্রধানত নগরকেন্দ্রিক ও বৈদিক সভ্যতা প্রধানত গ্রামকেন্দ্রিক ।
প্রশ্ন:- প্রথম বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?
উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে রাজগৃহে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?
উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে বৈশালীতে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
প্রশ্ন:- তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?
উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে পাটালিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?
উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
প্রশ্ন:- বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য কোন পথের সন্ধান দেওয়া হয়েছে ?
উত্তর:- বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের কথা বলা হয়েছে ।
প্রশ্ন:- কৈবল্যের অর্থ কী ?
উত্তর:- কৈবল্যের অর্থ হল পরম বা বিশুদ্ধ জ্ঞান, যা লাভ করলে সুখ-দুঃখ ও পঞ্চরিপুকে জয় করা যায় ।
প্রশ্ন:- আর্যসত্য সম্বন্ধে কে বলেছিলেন ?
উত্তর:- বুদ্ধদেব আর্যসত্য সম্বন্ধে বলেছিলেন ।
প্রশ্ন:- জৈন ধর্মের মূলনীতি কী ?
উত্তর:- জৈন ধর্মের মূলনীতি হল অহিংসা ।
প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কল্পসূত্র ।
প্রশ্ন:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম দ্বাদশ অঙ্গ ।
প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র কে রচনা করেন ?
উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র রচনা করেন জৈন শ্রমন ভদ্রবাহু ।
প্রশ্ন:- তীর্থঙ্কর শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগুরুর নাম তীর্থঙ্কর ।
প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ কে ছিলেন ?
উত্তর:- পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈনদের তেইশতম তীর্থঙ্কর ।
প্রশ্ন:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম কী ?
উত্তর:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম ঋষভদেব বা আদিনাথ ।
- 4815 views