Submitted by arpita pramanik on Thu, 02/14/2013 - 11:30

সমযোজ্যতা (Covalent) :

অনেকক্ষেত্রে দুটি পরমাণু সংযোগের সময় প্রত্যেক পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষ থেকে একটি করে ইলেকট্রন এসে ইলেকট্রন জোড় সৃষ্টি করে । এই রকম এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় উভয় পরমাণুর মধ্যে সাধারণভাবে থেকে যৌগ গঠন করে । এই ধরনের যৌগ তৈরি হওয়ার ক্ষমতাকে সমযোজ্যতা বলে । বিজ্ঞানী লিউইসের মতে এইভাবে অণু (মৌলিক বা যৌগিক) গঠনের সময় এক বা একাধিক ইলেকট্রন-জোড়কে দুটি পরমাণু সমানভাবে ব্যবহার করার ফলে উভয় পরমাণুই নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন-বিন্যাস লাভ করে । এক্ষেত্রে এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হয় না বলে পরমাণু দুটি নিস্তড়িৎ হয় ।

সমযোজ্যতার সংজ্ঞা (Covalent) :-  নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর মতো স্থায়ী ইলেকট্রন-বিন্যাস লাভের জন্য দুটি অধাতব পরমাণু সমসংখ্যক ইলেকট্রন যুগ্মভাবে ব্যবহার করে এক বা একাধিক ইলেকট্রন-জোড় গঠনের মাধ্যমে রাসায়নিক বন্ধন সৃষ্টি করে । এরকম রাসায়নিক বন্ধন ঘটানোর ক্ষমতাকে সমযোজ্যতা বলে ।

ইলেকট্রন বিন্দু গঠন (Electron dot structure) :-  পরমাণুর ইলেকট্রনকে বিন্দু (•) বা ক্রস (x) দিয়ে চিহ্নিত করে দুটি পরমাণুর মাঝে একজোড়া বিন্দু (:) বা ক্রস (xx) লিখে সমযোজী বন্ধনীসহ যৌগের যে গঠন প্রকাশ করা হয়  তাকে ইলেকট্রন বিন্দু গঠন বা লুইস-বিন্দু গঠন (Lewis dot structure) বলা হয় । পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের ইলেকট্রনকে এই জাতীয় গঠন সংকেতে দেখানো হয় ।

সমযোজী যৌগ :- নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর মতো স্থায়ী ইলেকট্রন-বিন্যাস লাভের জন্য দুই বা ততোধিক অধাতব পরমাণু পরস্পরের মধ্যে এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় সমভাবে ব্যবহার করে পরমাণুগুলির মধ্যে মিলন ঘটিয়ে যে যৌগ উৎপন্ন করে তাকে সমযোজী যৌগ বলে । যেমন H2, O2, N2, H2O, HCl, CH4 প্রভৃতি ।

*****

Related Items

মেথিলেটেড স্পিরিট

95% ইথাইল অ্যালকোহলের জলীয় দ্রবণকে রেকটিফায়েড স্পিরিট বলে । রেকটিফায়েড স্পিরিটকে পানের অযোগ্য করার জন্য রেকটিফায়েড স্পিরিটের সঙ্গে মিথাইল অ্যালকোহল (10%), সামান্য পিরিডিন (0.5%), ন্যাপথা এবং রবার নির্যাস কাওকোসিন মিশিয়ে বিষাক্ত করে দেওয়া হয় । ...

সাবান (Soap)

সাবান হল উচ্চ আণবিক ওজন বিশিষ্ট জৈব ফ্যাটি অ্যাসিড -এর সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ । একাধিক জৈব অ্যাসিডের লবণ হওয়ায় সাবানের নির্দিষ্ট কোনো সংকেত নেই । সাবান একটি মিশ্র লবণ । সাধারণ উষ্ণতায় সাবান অনুদ্বায়ী কঠিন পদার্থ ও জলে দ্রাব্য । ...

ইউরিয়া বা কার্বাইড (Urea)

ইউরিয়া নাইট্রোজেন ঘটিত একটি সার । 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট -কে উত্তপ্ত করে ইউরিয়া প্রস্তুত করেন । ইউরিয়া সাদা, গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী, কেলাসাকার কঠিন জৈব পদার্থ।এটি জলে দ্রাব্য । মানবদেহের এবং প্রাণীদেহের ...

অ্যামোনিয়াম সালফেট

অ্যামোনিয়াম সালফেট হল একটি নাইট্রোজেন ঘটিত অজৈব রাসায়নিক সার। অ্যামোনিয়াম সালফেট সাদা রঙের, গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী একটি অজৈব কেলাসিত লবণ । অ্যামোনিয়াম সালফেট জলে দ্রাব্য ও এর জলীয় দ্রবণ অম্লধর্মী । অ্যামোনিয়াম সালফেট তাপে ঊর্ধ্ব পাতিত হয় ...

কপার সালফেট বা ব্লু-ভিট্রিয়ল

কেলাস-জলযুক্ত কিউপ্রিক সালফেটকে ব্লু-ভিট্রিয়ল বলে। ব্লু-ভিট্রিয়ল সাধারণভাবে তুঁতে নাম পরিচিত । কপার সালফেট বা ব্লু-ভিট্রিয়ল গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী ও গাঢ় নীলবর্ণের কেলাসিত অজৈব কঠিন পদার্থ। এটি একটি শমিত লবণ । জলে দ্রাব্য এবং জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে। ...