বস্তুর তাপগ্রাহিতা ও বস্তুর জলসম

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/14/2013 - 11:54

বস্তুর তাপগ্রাহিতা বা তাপধারকত্ব (Thermal capacity of a body) :

সংজ্ঞা : কোনো বস্তুর উষ্ণতা 1 কেলভিন বা 1oC বৃদ্ধির জন্য যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন, তাকে ওই বস্তুর তাপগ্রাহিতা বা তাপধারকত্ব বলে ।

CGS পদ্ধতিতে : বস্তুর তাপগ্রাহিতা C = ms ক্যালোরি /oC, যেখানে বস্তুর ভর = m গ্রাম এবং আপেক্ষিক তাপ = s cal/gmoC ।

SI পদ্ধতিতে : বস্তুর তাপগ্রাহিতা C = ms জুল/কেলভিন (J/K), যেখানে বস্তুর ভর = m কেজি এবং আপেক্ষিক তাপ = s J/kgK । তাপগ্রাহিতার মাত্রা = [ML2T-2K-1]

বস্তুর জলসম (Water equivalent of a body) :

সংজ্ঞা : কোনো বস্তুর উষ্ণতা 1 কেলভিন বা 1oC বৃদ্ধির জন্য যে পরিমাণ তাপ লাগে, সেই পরিমাণ তাপ দিয়ে যত পরিমাণ জলের উষ্ণতা 1 কেলভিন বা 1oC বৃদ্ধি করা যায়, সেই পরিমাণ জলকে ওই বস্তুর জলসম বলে ।

(ক) CGS পদ্ধতিতে, বস্তুর জলসম W = ms গ্রাম ।

(খ) SI পদ্ধতিতে, বস্তুর জলসম [tex]W = {ms \over 4200}[/tex] কেজি ।

তাপগ্রাহিতা ও জলসমের পার্থক্য :

(১) তাপগ্রাহিতা ও জলসমের সংখ্যাগত মান একই । তাপগ্রাহিতা = জলসম = ভর x আপেক্ষিক তাপ ।

(২) কোনো বস্তুর তাপগ্রাহিতা কিছু পরিমাণ তাপকে বোঝায়; কোনো বস্তুর জলসম কিছু পরিমাণ জলকে বোঝায় ।

(৩) CGS এবং SI পদ্ধতিতে তাপগ্রাহিতার একক যথাক্রমে cal/oC এবং J/K, জলসমের একক যথাক্রমে গ্রাম এবং কেজি ।

*****

Related Items

রোধাঙ্ক (Resistivity)

একই প্রস্থচ্ছে এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বিভিন্ন তারের রোধ তারের উপাদানের ওপর নির্ভর করে । যেমন, একই প্রস্থচ্ছেদ এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তামার ও রুপোর তারের রোধ কম । কোনো পদার্থের একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট তারের রোধকে রোধাঙ্ক বলে । আবার একক প্রস্থচ্ছেদ ...

বিভিন্ন রাশির ব্যবহারিক এবং SI একক

তড়িৎ পরিমাণের ব্যবহারিক এবং SI একক ‘কুলম্ব’ [coulomb] । যে পরিমাণ তড়িৎ সিলভার নাইট্রেট দ্রবণে পাঠালে রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ক্যাথোডে 0.001118 গ্রাম সিলভার জমা হয়, সেই পরিমাণ তড়িৎকে 1 কুলম্ব [coulomb] ধরা হয় । এর প্রতীক C ।

ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)

ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা পাই, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে । যেসব পরিবাহী ওহম-সূত্র মেনে চলে তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে । যেমন— তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা প্রভৃতি বেশির ...

তড়িচ্চালক বল ও বিভব-প্রভেদ

যে বাহ্যিক কারণ স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে বলবিজ্ঞানে তাকে বল বলা হয় । এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তড়িৎ-কোশের তড়িতাধান চালনা করার ক্ষমতাকে বলা হয় তার 'তড়িচ্চালক বল' । যার প্রভাবে বা যে কারণে তড়িৎ-বর্তনীর কোনো অংশে রাসায়নিক কিংবা অন্য কোনো রকম ...

তড়িৎ-বিভব এবং বিভব-প্রভেদ

কোনো তড়িৎগ্রস্থ বস্তুর তড়িৎ-বিভব বলতে ওই বস্তুর এমন এক তড়িৎ-অবস্থা বোঝায়, যার দ্বারা বোঝা যায় ওই বস্তু অন্য কোনো বস্তুকে তড়িৎ দেবে কিংবা অন্য কোনো বস্তু থেকে তড়িৎ নেবে । অসীম দুরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে ...