পরমাণুর ইলেক্ট্রনের বন্টন

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/07/2013 - 13:31

পরমাণুর ইলেক্ট্রনের বন্টন (Electron configuration of Atom) :

K, L, M, N কক্ষে ইলেক্ট্রনের বন্টন (Distribution of Electrons in K, L, M, N shell) :

[1] ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসের চারিদিকে শূন্যস্থানে সমকেন্দ্রিক কিন্তু বিভিন্ন তলে অবস্থিত ক্রমবর্ধমান ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার এবং উপবৃত্তাকার কক্ষপথে তীব্রবেগে আবর্তন করে । উপবৃত্তের যে-কোনো একটি ফোকাসে পরমাণুর কেন্দ্রক বা নিউক্লিয়াস অবস্থান করে ।

[2] ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসকে ঘিরে মোট 7টি নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করতে পারে । এই কক্ষপথগুলিকে মুখ্য শক্তিস্তর (Energy levels) বা কোয়ান্টাম স্তর (Quantum shells) বলে । কক্ষপথে আবর্তনকালে ইলেকট্রনগুলি কোনো শক্তি বিকিরণ করে না, এদের গড় শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকে । কোয়ান্টাম স্তরকে যে সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাকে মুখ্য কোয়ান্টাম সংখ্যা (n) বলে । n -এর মান ইলেকট্রন কক্ষের শক্তিস্তর নির্দেশ করে । নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব অনুসারে এই কক্ষপথগুলিকে যথাক্রমে K(n = 1), L(n = 2),  M(n = 3), N(n = 4), O(n = 5), P(n = 6) এবং Q(n = 7) কক্ষপথ বলা হয় ।

[3] প্রত্যেক কক্ষে সর্বাধিক যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকতে পারে সেই সংখ্যা নির্দিষ্ট । এই সংখ্যাটি হল 2 x n2, যেখানে n হল মুখ্য কোয়ান্টাম সংখ্যা । n = 1, 2, 3, 4 .... ইত্যাদি । এই নিয়ম অনুযায়ী K কক্ষে 2টি,  L কক্ষে 8টি, M কক্ষে 18টি,  N কক্ষে 32টি সর্বাধিক সংখ্যক ইলেকট্রন থাকতে পারে ।

[4] কক্ষপথের ক্রমিক সংখ্যা যাই হোক না কেন কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে বা মুখ্য শক্তিস্তরে কখনো 8টির বেশি ইলেকট্রন থাকতে পারে না ।

[5] যেসব মৌলের পরমাণুর বাইরের কক্ষে 8টি ইলেকট্রন (ব্যতিক্রম : হিলিয়ামের ক্ষেত্রে 2টি) থাকে, সেই পরমাণুগুলি খুব সুস্থিত হয় । এই মৌলগুলিকে নিষ্ক্রিয় মৌল বলে । যেমন— নিয়ন, আর্গন, জেনন ইত্যাদি । এই মৌলগুলি সহজে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করে না ।

*****

Related Items

জৈব যৌগের গঠনগত সমাবয়বতা

একই আণবিক সংকেত বিশিষ্ট একাধিক যৌগে বিভিন্ন কার্যকরী মূলকের উপস্থিতির জন্য যে সমাবয়বতার সৃষ্টি হয়, তাকে কার্যকরী মূলক ঘটিত সমাবয়বতা বলে । এই দুটি যৌগে উপাদান হিসাবে C, H এবং O -এর ওজনের অনুপাত একই কিন্তু এরা ভিন্ন প্রকৃতির যৌগ । একটি হল অ্যালকোহল ...

জৈব যৌগগুলির প্রাথমিক শ্রেণিবিভাগ

কার্যকরী মূলকের ওপর ভিত্তি করে জৈব যৌগগুলিকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যথা - হাইড্রোকার্বন, অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, কিটোন, কার্বক্সিলিক অ্যাসিড যৌগ । নীচে জৈব যৌগের কয়েকটি শ্রেণি এবং প্রতিটি শ্রেণির প্রথম তিনটি সদস্যের নাম ও গঠন দেওয়া হল ...

জৈব যৌগের কার্যকরী মূলক বা পরিচায়ক শ্রেণি

অসংখ্য জৈব যৌগকে, ওদের রাসায়নিক ধর্মের ওপর ভিত্তি করে কতকগুলি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে । দেখা যায় যে, এই রকম প্রতিটি শ্রেণিতে যৌগগুলির মধ্যে একটি বিশেষ মূলক বর্তমান থাকে । এই মুলকের উপস্থিতির জন্য ওই শ্রেণির সমস্ত যৌগের রাসায়নিক ধর্ম প্রায় একই রকম হয় ...

জৈব যৌগের বন্ধন প্রকৃতি

কর্বনের পারমাণবিক সংখ্যা 6, কার্বনের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে জানা যায় কার্বনের প্রথম কক্ষে 2টি এবং বাইরের কক্ষে 4টি ইলেকট্রন আছে । কার্বন পরমাণু বাইরের কক্ষের 4টি ইলেকট্রন, অন্য পরমাণুর বাইরের কক্ষের ইলেকট্রনের সঙ্গে চারটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে সমযোজ্যতা দ্বারা জৈব ...

জীবজ অণু (Biomolecules)

সজীব কোশে সংশ্লেষিত ক্ষুদ্র অণু ও বৃহদ অণুকে একত্রে জীবজ অণু বলা হয় । প্রায় সমস্ত জীবজ অণুই কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, নিউক্লীয়িক অ্যাসিড, লিপিড এই চারটি শ্রেণির কোনো একটির অন্তর্ভুক্ত । এগুলি কোশের জীবজ পলিমার । কার্বোহাইড্রেট সরল সুগারের ...