থার্মোমিটার স্কেল

Submitted by arpita pramanik on Sun, 01/13/2013 - 19:06

থার্মোমিটার স্কেল (Thermometric Scale)

উষ্ণতা মাপার স্কেল তৈরি করার জন্য দুটি নির্দিষ্ট উষ্ণতা স্থির ধরে নেওয়া হয় । এই উষ্ণতা দুটিকে স্থিরাঙ্ক বলে ।

নিম্ন-স্থিরাঙ্ক (Lower fixed point) : প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে উষ্ণতায় বিশুদ্ধ বরফ গলে জলে পরিণত হয় অথবা বিশুদ্ধ জল জমে বরফে পরিণত হয় তাকে নিম্ন-স্থিরাঙ্ক বা হিমাঙ্ক (ice point) বা বরফ বিন্দু (freezing point) বলে ।

ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক (Upper fixed point) : প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে উষ্ণতায় বিশুদ্ধ জল স্টীমে পরিণত হয় তাকে ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক বা স্ফুটনাঙ্ক (Boiling point) বা স্টীম বিন্দু (steam point) বলে ।

প্রাথমিক অন্তর (Fundamental interval) : থার্মোমিটারের নিম্ন-স্থিরাঙ্ক ও ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক দুটির মধ্যবর্তী উষ্ণতার ব্যবধানকে বলা  হয় প্রাথমিক অন্তর । এই ব্যবধানকে কয়েকটি সমান অংশে ভাগ করে বিভিন্ন থার্মোমিটার স্কেল তৈরি করা হয় । প্রত্যেক অংশকে ডিগ্রি বলে । আমাদের দেশে সাধারণত দুই রকমের থার্মোমিটার স্কেল চালু আছে ,যথা— (a) সেলসিয়াস স্কেল ও (b) ফারেনহাইট স্কেল ।

(a) সেলসিয়াস স্কেল (Celsius Scale) : সেলসিয়াসকে আগে সেন্টিগ্রেড বলা হত । এই স্কেলে নিম্ন-স্থিরাঙ্ককে 0oC এবং ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ককে 100oC ধরে মাঝখানের অংশকে সমান 100 ভাগে ভাগ করা হয় । প্রতি ভাগকে বলা হয় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস (oC) । অ্যানডার্স সেলসিয়াস (Celsius) নামে সুইডেনের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী 1742 খ্রিস্টাব্দে এই স্কেল উদ্ভাবন করেন ।

(b) ফারেনহাইট স্কেল (Farenheit Scale) : এই স্কেলে নিম্ন-স্থিরাঙ্ককে 32oF এবং ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ককে 212oF ধরে মাঝখানের অংশকে সমান 180 ভাগে ভাগ করা হয় । প্রতি ভাগকে বলা হয় এক ডিগ্রি ফারেনহাইট (oF) । জি.ডি. ফারেনহাইট নামে একজন বিজ্ঞানী 1720 খ্রিস্টাব্দে এই স্কেল উদ্ভাবন করেন ।

*****

Related Items

রোধাঙ্ক (Resistivity)

একই প্রস্থচ্ছে এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বিভিন্ন তারের রোধ তারের উপাদানের ওপর নির্ভর করে । যেমন, একই প্রস্থচ্ছেদ এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তামার ও রুপোর তারের রোধ কম । কোনো পদার্থের একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট তারের রোধকে রোধাঙ্ক বলে । আবার একক প্রস্থচ্ছেদ ...

বিভিন্ন রাশির ব্যবহারিক এবং SI একক

তড়িৎ পরিমাণের ব্যবহারিক এবং SI একক ‘কুলম্ব’ [coulomb] । যে পরিমাণ তড়িৎ সিলভার নাইট্রেট দ্রবণে পাঠালে রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ক্যাথোডে 0.001118 গ্রাম সিলভার জমা হয়, সেই পরিমাণ তড়িৎকে 1 কুলম্ব [coulomb] ধরা হয় । এর প্রতীক C ।

ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)

ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা পাই, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে । যেসব পরিবাহী ওহম-সূত্র মেনে চলে তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে । যেমন— তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা প্রভৃতি বেশির ...

তড়িচ্চালক বল ও বিভব-প্রভেদ

যে বাহ্যিক কারণ স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে বলবিজ্ঞানে তাকে বল বলা হয় । এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তড়িৎ-কোশের তড়িতাধান চালনা করার ক্ষমতাকে বলা হয় তার 'তড়িচ্চালক বল' । যার প্রভাবে বা যে কারণে তড়িৎ-বর্তনীর কোনো অংশে রাসায়নিক কিংবা অন্য কোনো রকম ...

তড়িৎ-বিভব এবং বিভব-প্রভেদ

কোনো তড়িৎগ্রস্থ বস্তুর তড়িৎ-বিভব বলতে ওই বস্তুর এমন এক তড়িৎ-অবস্থা বোঝায়, যার দ্বারা বোঝা যায় ওই বস্তু অন্য কোনো বস্তুকে তড়িৎ দেবে কিংবা অন্য কোনো বস্তু থেকে তড়িৎ নেবে । অসীম দুরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে ...