উষ্ণতার পরিমাপ

Submitted by arpita pramanik on Sun, 01/13/2013 - 18:10

উষ্ণতার পরিমাপ (Measurement of Temperature) :

তাপের প্রভাবে পদার্থের অনেক ভৌত গুণাবলীর পরিবর্তন হয় । যেমন— কঠিন, তরল ও গ্যাসের আয়তন প্রসারণ, পরিবাহীর রোধের পরিবর্তন ইত্যাদি । উষ্ণতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পদার্থের এই সমস্ত ভৌত গুণাবলীর নিয়মিত পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে উষ্ণতার পরিমাপ করা হয় । এই রকম পদার্থকে উষ্ণতা মাপক পদার্থ বলে । যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুর উষ্ণতা সুক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে মাপা যায় তাকে তাপমান যন্ত্র বা থার্মোমিটার (Thermometer) বলে ।

যে থার্মোমিটারে উষ্ণতা মাপক পদার্থ হিসাবে পারদ ব্যবহৃত হয় তাকে পারদ থার্মোমিটার বলে । এই থার্মোমিটারে পারদের আয়তন প্রসারণ দ্বারা উষ্ণতা মাপা হয় ।

পারদ থার্মোমিটারের গঠন : পারদ থার্মোমিটার একটি সর্বত্র সমান ব্যাসের সুক্ষ্ম ছিদ্রবিশিষ্ট শক্ত কাচের নল । ছিদ্রের একপ্রান্তে চোঙাকৃতি একটি বালব আছে এবং অপর প্রান্ত বন্ধ । বালব এবং ছিদ্রের কিছু অংশ পারদপূর্ণ । উষ্ণতা মাপার জন্য কাচনলের গায়ে উষ্ণতার স্কেল আঁকা আছে । যে বস্তুর উষ্ণতা মাপা হয় তার সঙ্গে বালবটির সংস্পর্শ ঘটালে, পারদ আয়তনে বেড়ে স্কেলের যে দাগ পর্যন্ত পৌঁছায় সেটিই হবে বস্তুর উষ্ণতা ।

ডাক্তারি থার্মোমিটার : ডাক্তারি থার্মোমিটারে কুন্ডের উপরে ছিদ্রপথ একটু বাঁকানো থাকে, এটি গাঁটের মতো কাজ করে ।

সুবেদী থার্মোমিটারের বৈশিষ্ট্য :

[১] কুন্ডের আয়তন বেশি হওয়া দরকার ।

[২] নলের ছিদ্র খুব সরু হওয়া প্রয়োজন ।

[৩] উচ্চ আয়তন-প্রসারণযুক্ত তরল ব্যবহার করতে হবে ।

*****

Related Items

তড়িতাধানের প্রবাহ - তড়িৎপ্রবাহ

কোনো পরিবাহী দিয়ে তড়িতাধানের প্রবাহ হলে তাকে তড়িৎপ্রবাহ বলা হয় । কিন্তু আধান ধনাত্মক ও ঋণাত্মক উভয় প্রকার হতে পারে । সুতরাং, কোন প্রকার আধানের প্রবাহ হলে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তা বোঝা দরকার । প্রচলিত নিয়ম হল, পরিবাহী দিয়ে ধনাত্মক আধানের প্রবাহ হলে ...

বর্ণালি (Spectrum)

সাদা আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের ফলে বিশ্লিষ্ট হয়ে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোকগুচ্ছে পরিণত হয় । প্রিজম থেকে নির্গত এই আলোকগুচ্ছকে পর্দায় ফেললে, পর্দায় ওই সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোক দ্বারা তৈরি চওড়া যে পটি পাওয়া যায়, তাকে বর্ণালি বলে । ...

আলোর বিচ্ছুরণ (Dispersion of light)

সাদা কিংবা কোনো বহুবর্ণী রশ্মিগুচ্ছের বিভিন্ন বর্ণে বিভাজিত হওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে । স্যার আইজ্যাক নিউটন আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন । তিনি দেখতে পান যে, সূর্য রশ্মি (সাদা আলো) কাচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে গেলে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের রশ্মিতে ...

উত্তল লেন্স দ্বারা সৃষ্ট সদ্ ও অসদ প্রতিবিম্ব

উত্তল লেন্সের সাহায্যে বস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তা লেন্সের চারটি ধর্মের ওপর নির্ভর করে । যে আলোক-রশ্মি লেন্সের আলোক কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যায়, প্রতিসরণের পর তার অভিমুখের কোনো পরিবর্তন হয় না । সদ্ ও অসদ বিম্বের মধ্যে পার্থক্য, লেন্স দ্বারা লক্ষবস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিত ...

লেন্স সংক্রান্ত কয়েকটি সংজ্ঞা

লেন্সের উভয় তলই যদি গোলীয় হয় তবে এরা প্রত্যেকে একটি নির্দিষ্ট গোলকের অংশ হবে ।ওই গোলকের কেন্দ্রকে ওই তলের বক্রতা কেন্দ্র বলে । লেন্সের কোনো তল যে গোলকের অংশ হবে ওই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে । যদি লেন্সের দুই তল গোলীয় হয় ...