অ্যাম্মিটার এবং ভোল্টমিটারের ব্যবহার

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/28/2013 - 20:24

অ্যাম্মিটার এবং ভোল্টমিটারের ব্যবহার (Use of Ammeter and Voltameter) :

কোনো বর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ হচ্ছে কিনা, কিংবা হলে তার মান নির্ণয় করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেই যন্ত্রকে গ্যালভানোমিটার (Galvanometre) বলে । ইটালির বিজ্ঞানী লুইগি গ্যালভানির নামে এই যন্ত্রের নামকরণ হয়েছে । তড়িৎপ্রবাহের ওপর চুম্বকের ক্রিয়া এই মূল নীতির ওপর নির্ভর করে যে সব গ্যালভানোমিটার উদ্ভাবিত হয়েছে তাদের বলা হয় চলকুণ্ডলী গ্যালভানোমিটার । অ্যাম্মিটার এবং ভোল্টমিটার চলকুণ্ডলী গ্যালভানোমিটারের কার্যনীতি অনুযায়ী কাজ করে ।

অ্যাম্মিটারের সাহায্যে কোনো বর্তনীর তড়িৎপ্রবাহের মান নির্ণয় করা হয় । ভোল্টমিটারের সাহায্যে কোনো বর্তনীর দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব-প্রভেদ মাপা হয় ।

ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী গ্যালভানোমিটার কুণ্ডলীর সমান্তরাল সমবায়ে নিম্নমানের রোধ (সান্ট) জুড়ে যন্ত্রটিকে অ্যাম্মিটার হিসাবে এবং কুণ্ডলীর সঙ্গে শ্রেণি সমবায়ে উচ্চমানের রোধ জুড়ে যন্ত্রটিকে ভোল্টমিটার হিসাবে ব্যবহার করা হয় । অ্যাম্মিটারের স্কেল অ্যাম্পিয়ারে এবং ভোল্টমিটারের স্কেল ভোল্টে অংশাঙ্কিত (calibrated) করা থাকে ।

উপরের চিত্রানুযায়ী বর্তনীর তড়িৎপ্রবাহ পরিমাপ করতে অ্যাম্মিটার A -কে বর্তনীতে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করতে হয় যেন বর্তনীর মূল প্রবাহ সরাসরি যন্ত্রের ভিতর দিয়ে যায় । বর্তনীর কোনো অংশের বিভব-প্রভেদ পরিমাপ করতে, যেমন R রোধের দু'প্রান্তের বিভব-প্রভেদ মাপতে হলে, ভোল্টমিটার V -কে  R -এর সমান্তরালে এর দু'প্রান্তে যুক্ত করতে হয়, যেন মূল প্রবাহের এক অংশ যন্ত্রের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় ।

অ্যাম্মিটারের পরিমাপের পাল্লা (range) বৃদ্ধি করতে ওই যন্ত্রের কুণ্ডলীর সঙ্গে সমান্তরালে যুক্ত সান্ট রোধের মান হ্রাস করতে হয় । ভোল্টমিটারের পরিমাপের পাল্লা বৃদ্ধি করতে যন্ত্রের কুণ্ডলীর সঙ্গে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত রোধের মান বৃদ্ধি করতে হয় ।

*****

Related Items

জীবনক্রিয়ায় জৈব যৌগের ভুমিকা

প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহের বেশির ভাগ অংশ জৈব যৌগ দিয়ে গঠিত । তাই জীব জগতে জৈব যৌগের দান অতুলনীয় । জীবন ক্রিয়ার সঙ্গে জৈব যৌগ গভীর ভাবে জড়িত । জীবদেহের জীবনক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য জৈব যৌগের ভূমিকা অপরিসীম । জীবজগতে প্রত্যেক জৈবিক ক্রিয়ার কারণ ...

জৈব যৌগ ও জৈব রসায়ন

কার্বনের যে সমস্ত যৌগ প্রধানত জীবজগতে উত্পন্ন হয় এবং যে সমস্ত যৌগে কার্বন পরমাণুগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত এবং বৃত্তাকার শৃঙ্খলে যুক্ত থেকে বিভিন্ন সমধর্মী যৌগের শ্রেণি গঠন করতে পারে, সেই সমস্ত যৌগকে সামগ্রিকভাবে জৈব যৌগ বলে ...

কয়েকটি বিশিষ্ট ধাতু-সংকর ও তার ব্যবহার

পিতল, কাঁসা, ব্রোঞ্জ, অ্যালুমিনিয়াম-ব্রোঞ্জ, জার্মান সিলভার, ডুরালুমিন, ম্যাগনেলিয়াম, স্টেইনলেস স্টিল, বাসনপত্র, নল, টেলিস্কোপ, মূর্তি, ব্যারোমিটার, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ, তুলাদন্ড, বিমানের কাঠামো, জলের কল প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্যবহার হয় । ...

ধাতু সংকর (Alloy)

দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পর মিশে যে সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্রণ উত্পন্ন করে, সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে ধাতু সংকর বা সংকর ধাতু বলে । যেমন - তামা ও টিনের মিশ্রণে উত্পন্ন কাঁসা হল একটি সংকর ধাতু । অনেক ক্ষেত্রে ধাতু-সংকরে অধাতু থাকতে পারে । ...

তামা বা কপার (Copper)

অতি প্রাচীন কাল থেকে তামা বা কপারের ব্যবহার চলে আসছে । কানাডার লেক সুপিরিয়রের কাছে এবং সাইবেরিয়ার পর্বতে মুক্ত অবস্থায় তামা বা কপার পাওয়া যায় । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কপারকে বিভিন্ন যৌগরূপে প্রকৃতিতে পাওয়া যায় । কপারের প্রধান আকরিকগুলি হল ...