সমাহার বৃদ্ধি ও হ্রাস

Submitted by arpita pramanik on Wed, 06/01/2011 - 11:59

সমাহার বৃদ্ধি ও হ্রাস (Uniform increase and decrease) :

চক্রবৃদ্ধি সুদের নিয়মাবলি ও সূত্র অনুসরণ করে কোনো বস্তু অথবা কোনো জিনিসের সমাহার বৃদ্ধি এবং হ্রাস অথবা চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা যায় । 

যদি বর্তমান মূল্য P হয় এবং বাৎসরিক বদ্ধি r% হয়, 

তখন ,

  1. n বছর পর মূল্য হবে =P(1+r100)n
  2. n বছর আগে মূল্য ছিল =P(1+r100)n

আবার যদি বর্তমান মূল্য P হয় এবং বাৎসরিক হ্রাসের হার r% হয় ,

তখন,

  1. n বছর পর মূল্য হবে =P(1r100)n
  2. n বছর আগে মূল্য ছিল =P(1r100)n
  3. অবচয় বা হ্রাসের পরিমাণ =PP(1r100)n

যদি মূলধন বা আসল P হয় এবং সুদের হার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে যথাক্রমে r1% , r2% এবং r3% হয়, তখন তিন বছর পরে সবৃদ্ধিমুল A হবে 

A=P(1+r1100)(1+r2100)(1+r3100)

কয়েকটি প্রমাণ 

যদি বর্তমান মূল্য P হয় এবং বাৎসরিক বদ্ধি r% হয় , তখন n বছর আগে মূল্য ছিল =P(1+r100)n 

যদি এই বছর জিনিসটার দাম 100 টাকা হয় তাহলে গত বছর তার দাম ছিল (100 - r) টাকা 

অতএব জিনিসটার দাম এই বছর P টাকা হল গতবছর দাম ছিল (100r)100×P টাকা । 

এখন 

(100r)100×P=P(1r100)=P(1+r100)1=P(1+r100)

অর্থাৎ এক বছর আগে জিনিসটার দাম হত P(1+r100) টাকা । 

আবার গত বছর জিনিসটার দাম 100 টাকা হলে তার আগের বছর তার দাম ছিল (100 - r) টাকা .

অতএব জিনিসটার দাম গতবছর P(1+r100) টাকা হলে তার আগের বছরে দাম ছিল (100r100)×P(1+r100) টাকা । 

এখন 

(100r100)×P(1+r100)=(1r100)×P(1+r100)=P(1+r100)×(1+r100)1=P(1+r100)×(1+r100)=P(1+r100)2

অর্থাৎ দুবছর আগে জিনিসটার দাম ছিল P(1+r100)2 টাকা । 

একই রকম ভাবে n বছর আগে জিনিসটার দাম ছিল P(1+r100)n টাকা । 

যদি বর্তমান মূল্য P হয় এবং বাৎসরিক হ্রাসের হার r% হয় ,তখন  n বছর পর মূল্য হবে =P(1r100)n

এক বছর পরে জিনিসটার দাম কমবে rP100 টাকা । 

তখন এক বছর পরে জিনিসটির দাম হবে (PrP100) টাকা = P(1r100) টাকা । 

দুবছর পরে জিনিসটার দাম কমবে r100P(1r100) টাকা । 

দু-বছর পরে জিনিসটার দাম হবে [P(1r100)r100P(1r100)] টাকা = P(1r100)(1r100) টাকা = P(1r100)2

অনুরূপভাবে n বছর পরে জিনিসটির দাম হবে P(1r100)n টাকা । 

যদি বর্তমান মূল্য P হয় এবং বাৎসরিক হ্রাসের হার r% হয় ,তখন n বছর আগে মূল্য ছিল =P(1r100)n

কোনো জিনিসের মূল্য যদি এই বছর 100 টাকা হয় তবে গতবছর ছিল (100 + r) টাকা । 

অতএব এই বছর জিনিসটির দাম P টাকা হলে গতবছর ছিল (100+r)100×P টাকা । 

এখন 

(100+r)100×P=P(1+r100)=P(1r100)1=P(1r100)

অর্থাৎ এক বছর আগে জিনিসটির মূল্য ছিল P(1r100) টাকা । 

আবার এক বছর আগে জিনিসটার মূল্য P(1r100) টাকা হলে দুবছর আগে জিনিসটার মূল্য ছিল (100+r)100×P(1r100) টাকা । 

এখন 

(100+r)100×P(1r100)=(1+r100)×P(1r100)=P(1r100)×(1r100)1=P(1r100)2

অতএব দুবছর আগে জিনিসটির মূল্য ছিল P(1r100)2 টাকা । 

অনুরূপভাবে প্রমাণ করা যায় n বছর আগে জিনিসটির মূল্য ছিল P(1r100)n টাকা । 

যদি মূলধন বা আসল P হয় এবং সুদের হার প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে যথাক্রমে r1% , r2% এবং r3% হয়, তখন তিন বছর পরে সবৃদ্ধিমুল A হবে 

A=P(1+r1100)(1+r2100)(1+r3100)

মূলধন P এবং প্রথম বছর r1% সুদের জন্য সবৃদ্ধিমুল হবে P(1+r1100) = P2 = দ্বিতীয় বছরের মূলধন । 

অতএব P2 মূলধনএবং দ্বিতীয় বছরে r2% সুদের জন্য সবৃদ্ধিমূল হবে P2(1+r2100)=P3 = তৃতীয় বছরের মূলধন । 

আবার তৃতীয় বছরের মূলধন P3 এবং r3% সুদের জন্য সবৃদ্ধিমুল হবে P3(1+r3100) 

এখন 

P3(1+r3100)=P2(1+r2100)(1+r3100)=P(1+r1100)(1+r2100)(1+r3100)

যদি মূলধন বা আসল P হয় এবং সুদের হার প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে যথাক্রমে r1% , r2% এবং r3% হয় , তখন তিন বছর পরে সবৃদ্ধিমুল A হবে 

A=P(1+r1100)(1+r2100)(1+r3100)

*****

Related Items

জ্যামিতি অঙ্কন : সম্পাদ্য

জ্যামিতি অঙ্কন : সম্পাদ্য

- ত্রিভুজের পরিবৃত্ত ও অন্তর্বৃত্ত অঙ্কন ।

- বৃত্তস্থ কোনো বিন্দুতে স্পর্শক অঙ্কন ।

- বহিস্থ বিন্দু থেকে বৃত্তের স্পর্শক অঙ্কন ।

- দুটি বৃত্তের সরল সাধারণ ও তির্যক সাধারণ স্পর্শক অঙ্কন ।

সদৃশতা (Similarity)

অনুপাত ও সমানুপাত 

অনুপাত ও সমানুপাতে সঙ্গে আমাদের আগে পাটিগণিত ও বীজগণিতে পরিচয় হয়েছে। জ্যামিতিতে এই ধারণা কিভাবে প্রয়োগ করা যায় , তার আলোচনাই আমরা করব। 

কয়েকটি প্রয়োজনীয় জ্যামিতি 

বৃত্তের স্পর্শক সংক্রান্ত উপপাদ্য

বৃত্তের স্পর্শক সংক্রান্ত উপপাদ্য

সূচনা (Introduction) : আমরা পূর্বেই জেনেছি একটি সরলরেখা একই সমতলে অবস্থিত একটি বৃত্তকে দুই এর অধিক বিন্দুতে ছেদ করতে পারে না । 

বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য

বিভিন্ন সংখ্যক বিন্দুগামী বৃত্ত আঁকার সম্ভাব্যতা । জ্যা এর উপর অঙ্কিত কেন্দ্রগামী লম্ব ও জ্যা এর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা । কেন্দ্র থেকে জ্যা এর দুরত্ব ও জ্যা এর দৈর্ঘ্যের সম্পর্ক ।

দ্বিঘাত সমীকরণ (Quadratic Equation)

দ্বিঘাত সমীকরণ (Quadratic Equation)

কোনো সমীকরণে অজ্ঞাত রাশির সর্বোচ্চ ঘাত হলে তাকে দ্বিঘাত সমীকরণ বলে ।