দ্বিতীয় ঈঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ (Second Anglo-Maratha War)
দ্বিতীয় মাধব রাওয়ের সময় থেকেই পেশোয়ার কর্তৃত্ব কমে যেতে থাকে । এই সময় মারাঠাশক্তি চার মারাঠা সামন্ত রাজা যথা—গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া, বরোদার গায়কোয়াড়, ইন্দোরের হোলকার এবং নাগপুরের ভোঁসলে— এদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায় । ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় মাধব রাও আত্মহত্যা করেন । তিনি অপুত্রক থাকার জন্য তাঁর কাকা রঘুনাথ রাওয়ের পুত্র দ্বিতীয় বাজীরাও পেশোয়া পদে অধিষ্ঠিত হন (১৭৯৬ - ১৮১৮ ) । ইতিমধ্যে ১৮০০ সালে প্রধান মন্ত্রণাদাতা নানা ফড়নবীশের মৃত্যুর ফলে মারাঠা রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় । এই সময় গদি দখলের জন্য পেশোয়া ও অপর চার মারাঠা শক্তি লড়াইয়ে লিপ্ত হলে যশোবন্ত রাও হোলকার পেশোয়া ও সিন্ধিয়ার সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেন । পরাজিত পেশোয়া অপমানে, দুঃখে ও ক্ষোভে ওয়েলেসলি প্রবর্তিত অধীনতা মূলক মিত্রতা গ্রহন করেন ও উভয়ের মধ্যে ১৮০২ সালে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় । ১৮০৩ সালে দ্বিতীয় বাজীরাও ইংরেজদের সহায়তায় পুনরায় পেশোয়া পদে অধিষ্ঠিত হন । পেশোয়ার এই কার্যকলাপ অন্যান্য মারাঠা নেতৃবৃন্দ অনুমোদন করেন নি । তাঁরা গৃহবিবাদ ভুলে গিয়ে একতাবদ্ধ হন । ইতিমধ্যে পেশোয়াও নিজের ভূল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হন ও নিজ কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য মারাঠা নায়কদের সঙ্গে হাত মেলান ও ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ [Second Anglo-Maratha War] শুরু হয় । কিন্তু এই যুদ্ধে সিন্ধিয়া পরাস্ত হন ও ইংরেজদের সঙ্গে ‘অধীনতামূলক মিত্রতায়’ আবদ্ধ হন ।
****
- 2868 views