ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি ও বিস্তার

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 02/28/2012 - 08:15

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি ও বিস্তার

প্রশ্ন:- ফ্যাসিবাদ কী ?

উত্তর:- 'রাষ্ট্রই সব শক্তির উৎস, রাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে ব্যক্তির আলাদা কোনো অস্তিত্ব নেই'—এটাই হল ফ্যাসিবাদের মূল বক্তব্য । ল্যাটিন ভাষা 'ফেসেস' শব্দ থেকে ফ্যাসিস্ট কথাটি এসেছে । ফেসেস কথার অর্থ একগুচ্ছ শলাকা বা ঐক্যবদ্ধ শক্তি ।  

প্রশ্ন:-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির প্রধান ফ্যাসিস্ট নেতা কে ছিলেন ?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির প্রধান ফ্যাসিস্ট নেতা ছিলেন বেনিটো মুসোলিনি

প্রশ্ন:- ইতালিতে ফ্যাসিস্ট দল কে গঠন করেন ?

উত্তর:- ইতালিতে ফ্যাসিস্ট দল গঠন করেন বেনিটো মুসোলিনি

প্রশ্ন:- ভাইমার প্রজাতন্ত্র কোথায় গঠিত হয় ?

উত্তর:- জার্মানির রাজধানী বার্লিনের নিকটবর্তী ভাইমার শহরে ভাইমার প্রজাতন্ত্র গঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- হিটলার প্রথমে কোন দলে যোগ দিয়েছিলেন ?

উত্তর:- হিটলার প্রথমে জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন ।

প্রশ্ন:- জার্মানির সংসদ ভবনের নাম কী ছিল ?

উত্তর:- জার্মানির সংসদ ভবনের নাম ছিল রাইখস্ট্যাগ

প্রশ্ন:- হিটলারের নাৎসী দলের নাম কী ?

উত্তর:- হিটলারের নাৎসী দলের নাম ছিল ন্যাশনাল সোসালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি বা নাজি পার্টি

প্রশ্ন:- হিটলারের লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- হিটলারের লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম মেইনক্যাম্প (আমার সংগ্রাম) ।

প্রশ্ন:- কোন নেতা জার্মানিতে ফুয়েরার নামে পরিচিত ছিলেন ?

উত্তর:-  অ্যাডলফ হিটলার জার্মানিতে ফুয়েরার নামে পরিচিত ছিলেন ।

প্রশ্ন:- হিটলারের ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন নীতির মূল উপকরণ কী ছিল ?

উত্তর:- হিটলারের ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন নীতির মূল উপকরণ ছিল জাতিতত্ত্ব এবং ভুখন্ড

প্রশ্ন:- জাপান কবে মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করে ?

উত্তর:- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে জাপান মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করে ।

প্রশ্ন:-  জার্মানি কবে জাতিসংঘ ত্যাগ করে ?

উত্তর:-  ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই অক্টোবর জার্মানি জাতিসংঘ ত্যাগ করে ।

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষ কাকে বলা হত ?

উত্তর:- ইতালি, জার্মানি ও জাপানের মধ্যে হওয়া সামরিক ও কূটনৈতিক শক্তিজোটকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষ বলা হত ।

প্রশ্ন:- জার্মানি ও ইতালি ছাড়া কোন রাষ্ট্র অক্ষজোটের সদস্য ছিল ?

উত্তর:-  জার্মানি ও ইতালি ছাড়া জাপানও অক্ষজোটের সদস্য ছিল ।

প্রশ্ন:- নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন কবে হয়েছিল ?

উত্তর:- ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন হয়েছিল ।

প্রশ্ন:- কোন খ্রিস্টাব্দে ইতালি ইথিওপিয়া দখল করে ?

উত্তর:- ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে ইতালি ইথিওপিয়া দখল করে ।

প্রশ্ন:-  মিউনিখ চুক্তিকে 'সম্মানজনক শান্তি' কে বলেছিলেন ?

উত্তর:- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ চুক্তিকে 'সম্মানজনক শান্তি' বলেছিলেন ।

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ?

উত্তর:- জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণ করাই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ ।

প্রশ্ন:- মিউনিখ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তর:- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে সেপ্টেম্বর মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।

প্রশ্ন:- রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?

উত্তর:- ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে আগস্ট -এর মধ্যরাত্রে রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ।

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে শুরু হয় ?

উত্তর:- ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।

প্রশ্ন:- রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তিকে অগ্রাহ্য করে কবে জার্মানি রাশিয়া আক্রমণ করে ?

উত্তর:- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২২শে জুন রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তিকে অগ্রাহ্য করে জার্মানি রাশিয়া আক্রমণ করে ।

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল

প্রশ্ন:-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন ?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট

প্রশ্ন:-  কোন যুদ্ধে জার্মানি রাশিয়ার কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় ?

উত্তর:- স্টালিনগ্রাডের যুদ্ধে জার্মানি রাশিয়ার কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় ।

প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কবে ইতালি আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ?

উত্তর:-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ইতালি আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ।

প্রশ্ন:-  কবে জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে ?

উত্তর:- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে ।

প্রশ্ন:-  জাপান কবে আত্মসমর্পণ করে ?

উত্তর:- জাপান ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে আত্মসমর্পণ করে ।

প্রশ্ন:- সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর:- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে অক্টোবর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- কোন সম্মেলনে জাতিপুঞ্জ সনদ গৃহিত হয় ?

উত্তর:- সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে জাতিপুঞ্জ সনদ গৃহিত হয় ।

প্রশ্ন:- আন্তর্জাতিক বিচারালয় কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:- নেদার ল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক বিচারালয় অবস্থিত ।

প্রশ্ন:- ইতালিতে ফ্যাসিস্ট দলের নেতার নাম কী ?

উত্তর:- ইতালির ফ্যাসিস্ট দলের নেতার নাম ছিল বেনিটো মুসোলিনি

প্রশ্ন:- জার্মানির নাৎসি দলের নেতা কে ছিলেন ?

উত্তর:-  জার্মানির নাৎসি দলের প্রধান নেতা ছিলেন অ্যাডলফ হিটলার

প্রশ্ন:-  কত খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর:- প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী কালে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জাতি সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- কোন্‌ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং কবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয় ?

উত্তর :- জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করলে তার দু’দিন পরে, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স তাদের পূর্ব ঘোষণা অনুসারে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, এইভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।

*****

Related Items

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ (Resistance and Rebellion) : ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জুন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পলাশির যুদ্ধে পরাজিত করার পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে তাদের ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করে । এদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অপশাসনের বিরুদ্ধে ভারতের বি

উনিশ শতকের বাংলার 'নবজাগরণ' ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে উনিশ শতকে বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায় কেউ কেউ তাকে 'নবজাগরণ' বলে অভিহিত করেছেন । প্রকৃত অর্থে এই অগ্রগতিকে নবজাগরণ বলা যায় কি না তা নিয়ে ঐতিহাসিক ও পন্ডিতমহলে বিতর্কের শেষ নেই । ঐতিহাসিক যদুনাথ

বাংলার নবজাগরণ -এর চরিত্র ও পর্যালোচনা

ঊনিশ শতকে বাংলায় আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায় । এই অগ্রগতি সাধারণভাবে 'ঊনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ' নামে পরিচিত । রেনেসাঁস (Renaissance) কথাটির আক্

লালন ফকির

ঊনিশ শতকে বাংলায় সর্বধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছিলেন লালন ফকির বা লালন সাঁই হলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম আধ্যাত্মিক বাউলসাধক । তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও বাংলাদেশের বাউলগানের শ্রেষ্ঠতম রচয়িতা ছিলেন । তিনি সাধারণ মানুষের কাছে লালন ফকির ...

স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ : নব্য বেদান্ত — বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

ভারতের প্রাচীন অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ব্যাখ্যাকর্তা ছিলেন আদি জগৎগুরু 'শঙ্করাচার্য' । 'বেদান্ত' শব্দের অর্থ হল বেদের অন্ত বা শেষ, আর বেদের অন্ত হল উপনিষদসমূহ । ব্রহ্ম হল বেদান্ত দর্শনের মূল আলোচ্য বিষয় । উপনিষদ, ভগবতগীতা এবং ব্রহ্ম সূত্র ও তার ভাষ্য বি