আফ্রিকার জাতীয় মুক্তি আন্দোলন

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 04/26/2012 - 18:42

আফ্রিকার জাতীয় মুক্তি আন্দোলন (National Liberation Movements in Africa) :

আফ্রিকাতে ইংরেজ, ফরাসি, ইটালি, জার্মান, পোর্তুগিজ প্রভৃতি জাতি উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফ্রিকাতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয় । একের পর এক আফ্রিকার পরাধীন জাতিগুলির মধ্যে মুক্তি চেতনা সঞ্চারিত হয় ও ওই সবদেশে গড়ে উঠতে থাকে মুক্তিকামী জাতীয়তাবাদী সংস্থা । এ প্রসঙ্গে প্রথমেই অ্যাঙ্গোলার নাম করতে হয় । প্রায় চারশো বছর আগে পোর্তুগিজরা অ্যাঙ্গোলাতে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল । অ্যাঙ্গোলার কালো মানুষদের অজ্ঞতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে পোর্তুগিজরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শাসন ও শোষণ চালাচ্ছিল । ক্রমশ অ্যাঙ্গোলাতে নবজাগ্রত জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত জনগণ তাঁদের নেতা অগাস্টিনো নেদোর নেতৃত্বে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে । অগাস্টিনোর কন্ঠে ঘোষিত হয় দৃঢ় সংকল্পের কথা— 'তুলো, কফি আর ভুট্টা খেতের দেশ, কালো মানুষের লাল রক্তে ভেজা ক্ষতবিক্ষত সুন্দর আমার দেশ, তোমাকে স্বাধীন করবই ।' শেষ পর্যন্ত বহু দুঃখ বেদনা ও আত্মদানের মধ্যে দিয়ে মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগিজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাঙ্গোলা স্বাধীনতা অর্জন করে । অ্যাঙ্গোলার জনগণের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীনতা যোদ্ধা অগাস্টিনো নেদো সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন ।

*****

Related Items

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত (১৯৪৭-১৯৬৪)

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. ভারতের রাজনীতিতে 'লৌহ মানব' বলে পরিচিত ছিলেন—        [মাধ্যমিক-২০১৭]

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতের নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতের নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন—          [মাধ্যমিক-২০১৭]

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. একা আন্দোলনের নেতা ছিলেন—     [মাধ্যমিক-২০১৭]

স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission)

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হবার পর দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ক্রমশ বৃদ্ধি পায় । উচ্চশিক্ষাকে আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট চেমসফোর্ডের সময় স্যার মাইকেল স্যাডলারের সভাপতিত্বে 'স্যাডলার কমিশন' গঠন করা হয় । স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কমিশনের সদস্য ছিলেন ...