বৃষ্টিপাত নির্ণয় ও সমবর্ষণরেখা (Rainfall and Isohyets)

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 08/22/2012 - 11:49

বৃষ্টিপাত নির্ণয় (Determination of Rainfall):- কোনো জায়গায় কতটা বৃষ্টি হয়েছে তা বৃষ্টিমাপক যন্ত্র (Rain Gauge) দিয়ে মাপ করা হয় । শীতপ্রধান অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে তুষারপাত হয় । ঐ তুষার গলে যে জল হয় তা মেপে সেখানকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করা হয় ।  

সমবর্ষণরেখা (Isohyets):- ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সমান নয় । কোথাও বেশি বৃষ্টিপাত হয়, কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় আবার কোথাও কম বৃষ্টিপাত হয় । ভূপৃষ্ঠের যে সব জায়গায় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক রকম, সেই সব জায়গাগুলিকে যে রেখার সাহায্যে যুক্ত করে মানচিত্রে দেখানো হয় তাকে সমবর্ষণরেখা বলে । অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের সমান বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলগুলি মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় সেই রেখাকে সমবর্ষণরেখা বলে ।  

সাধারণভাবে পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি । নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উভয়দিকে ক্রান্তীয় অঞ্চল পর্যন্ত এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে । উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয় । উপক্রান্তীয় অঞ্চলে মহাদেশসমূহের পশ্চিমপ্রান্তে বৃষ্টিপাতের অভাবে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে । নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বেশি । পৃথিবীর দুই মেরু ও মেরুপ্রদেশে এবং উঁচু পর্বতের মাথায় অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে তুষারপাত হয় ।      

*****

Related Items

ভরা জোয়ার ও মরা জোয়ার (Spring Tides and Neap Tides)

ভরা কোটাল বা ভরা জোয়ার (Spring Tides) : পৃথিবীর সব জায়গায় সব দিন জোয়ারের পরিমাণ একই থাকে না । তিথি অনুসারে জোয়ারভাটা বাড়ে ও কমে । পৃথিবীর ওপর সূর্যের আকর্ষণ শক্তি চাঁদের আকর্ষণ শক্তির প্রায় অর্ধেক হলেও ভূপৃষ্ঠে জোয়ার ভাটা সৃষ্টিতে সূর্যের প্রভাবও বিশ

জোয়ার ভাটার সময়ের ব্যবধান

জোয়ার ভাটার সময়ের ব্যবধান : পৃথিবীর আবর্তন গতি ও পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের পরিক্রমণ গতির ওপর জোয়ার ভাটার উৎপত্তি নির্ভর করে । ভূপৃষ্ঠের যে স্থানে যখন মুখ্য জোয়ার হয়, তার প্রতিপাদস্থানে তখন গৌণ জোয়ার হয় । আবর্তন গতির ফলে পৃথিবীর যে স্থানে যখন মু

মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার ও ভাটা (Primary Tide, Secondary Tide and Low Tide)

মুখ্য জোয়ার (Primary or Direct Tide) : পৃথিবী যেমন তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর আবর্তন করে তেমনিই চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে সর্বদা পরিক্রমণ করছে । পৃথিবীর আবর্তনের ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের যে স্থান ঠিক চন্দ্রের সামনে এসে উপস্থিত হয়, সেখানে চন্দ্রে

জোয়ার ভাটা ও জোয়ার ভাটা সৃষ্টির কারণ (Tides and Causes of Tides)

জোয়ার ভাটা (Tides) : পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ও সমুদ্রতরঙ্গ ছাড়া আরও একটি গতি রয়েছে । এই গতির ফলে সমুদ্রের জল প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য কোনো এক জায়গায় ফুলে ওঠে এবং অন্য কোনো জায়গায় নেমে যায় । মূলত চাঁদের আকর্ষণী শক্তির

সমুদ্রস্রোতের প্রভাব (Effects of Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোতের প্রভাব (Effects of Ocean Currents) : ভৌগলিক পরিবেশ ও মানুষের কাজকর্মের ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্রে প্রবাহিত সমুদ্রস্রোতের নানা রকম প্রভাব দেখা যায় । যেমন —