Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 05/11/2012 - 07:52

সমভূমি (Plains)

সমভূমির সংজ্ঞা:- সমুদ্রপৃষ্ঠের একই সমতলে বা সামান্য উঁচুতে (৩০০ মিটারের মধ্যে) অবস্থিত সমতল স্থলভাগকে সমভূমি [Plain] বলে।

সমভূমির (Plain) প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট :- 

১) সমভূমির [Plain] উপরিভাগ সাধারণত সমতল হয়;

২) সমভূমি [Plain] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশি উঁচু হয়না;

৩) কোনো কোনো স্থানে সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ কিছুটা উঁচু হয়, যেমন- উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতের পাদদেশের সমভূমি [Plain] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ খানিকটা উঁচু ;

৪) কোনো কোনো স্থানের সমভূমি আবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা নীচে অবস্থিত হয়, যেমন- এশিয়া মহাদেশের কাস্পিয়ান সাগরের উপকূল ভাগের সমভূমি [Plain] সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে নীচু ;

৫) কখনও কখনও সমভূমি সামান্য কিছুটা ঢেউখেলানো হয়, যেমন- বর্ধ্মান জেলার সমভূমি কিছুটা ঢেউ খেলানো ।

৬) পৃথিবীর বেশিরভাগ সমভূমি সমুদ্র উপকূল এবং নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছে ।

৭) সমভূমি অতি ধীরে ঢালু হয়ে সাগর পৃষ্ঠের সঙ্গে মিশে ।

সমভূমির উৎপত্তি ও শ্রেণিবিভাগ : 

সমভূমি নানাভাবে সৃষ্টি হয় । পৃথিবীর যে অংশের বহিরাবরাণে এখানও ভাঁজ পড়ে নি, সেখানে সুবিস্তৃত সমতল ক্ষেত্র বিরাজ করছে । যেমন এশিয়ার উত্তরে সাইবেরিয়ার সমভূমি । অবনত ভূমি অনেক সময় নদী ও হিমবাহ বাহিত পলি ও মোরেণ দিয়ে ভরাট  হয়ে সমভূমিতে পরিণত হয় । ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র থেকে উপকূল সমভূমি জেগে ওঠে । উৎপত্তি অনুসারে বিভিন্ন সমভূমিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা—

১) সঞ্চয়জাত সমভূমি,

২) ক্ষয়জাত সমভূমি এবং

৩) ভূ-আন্দোলনের ফলে গঠিত সমভূমি।

সঞ্চয়জাত সমভূমি সৃষ্টির কারণ:

যুগ যুগ ধরে নদীর দু’পাশে বা নদী মোহনায় পলি জমে এই সমভূমির সৃষ্টি হয় । সঞ্চয়জাত সমভূমিকে প্রধানত ৮ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা—

ক) পলিগঠিত সমভূমি [Alluvial Plain]: উঁচু পর্বত থেকে নদী খরবেগে নীচে নামে । নামার সময়ে নুড়ি, পাথর, বালি,কাঁকর, কাদা নিয়ে আসে । নীচে নেমে নদীর স্রোতের বেগ কমে যায় ।  নদী তার নিম্নগতিতে সমুদ্রের কাছাকাছি চলে এলে নদীপথের ঢাল হ্রাস পায় এবং নদীবাহিত শিলাখন্ড, নুড়ি, বালি প্রভৃতি নদী তার দুই তীরে জমা করতে থাকে । ক্রমশ এই পলিমাটি জমে নদীর দুই তীরের নিচু জায়গা ভরাট হয়ে যায় ও সমভূমির রূপ নেয় । পলি দিয়ে এই সমভূমি গঠিত হয় বলে এর নাম পলিগঠিত সমভূমি [Alluvial Plain] ।

উদাহরণ:-উত্তর ভারতের সুবিশাল সমভূমি সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের পলি দিয়ে গড়ে উঠেছে। ইয়াংসিকিয়াং, মেকং, মেনাম, ইরাবতী, ইউফ্রেটিস, টাইগ্রিস, মিসিসিপি-মিসৌরী প্রভৃতি নদীর অববাহিকার সমভূমি পলিমাটি দিয়ে তৈরি ।

খ) প্লাবনসমভূমি বা বন্যাগঠিত ভূমি [Flood Plain] সৃষ্টির কারণ-  নদী তার নিম্নগতিতে সমুদ্রের কাছা কাছি চলে এলে নদীর ভূমির ঢাল হ্রাস পায় এবং নদী বাহিত শিলাখন্ড, নুড়ি, বালি প্রভৃতি নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে যার ফলে নদীর গভীরতা ক্রমশ কমে যায় । বর্ষাকালে হঠাৎ নদীতে জল বেড়ে গেলে এই অগভীর নদী উপত্যকা অতিরিক্ত জল বহন করতে পারে না, এর ফলে নদীতে বন্যা দেখা দেয় । বন্যার জল দুকূল প্লাবিত করে এবং প্লাবিত অঞ্চলে বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে এক নতুন ভূমিরূপ বা প্লাবন সমভূমির [Flood Plain] সৃষ্টি হয় । পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে এই সমভূমি গঠিত হয় বলে একে সঞ্চয়জাত সমভূমিও বলে । নদীর দুই তীরে বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি ক্রমাগত জমা হলে নদী তীর ধীরে ধীরে বাঁধের মতো উঁচু হয়ে যায় এই বাঁধ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়, তাই একে স্বাভাবিক বাঁধ বলে । পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার গতিপথের দুপাশে প্লাবনভূমি ও স্বাভাবিক বাঁধ দেখা যায় । কলকাতা শহর গঙ্গার স্বাভাবিক বাঁধের উপর অবস্থিত।

উদাহরণ:- পৃথিবীর প্রায় সব নদীর তীরে কম-বেশি প্লাবন-সমভূমি দেখা যায় ।  গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র এবং এদের উপনদী গুলির তীরে বিস্তৃত প্লাবন সমভূমি গড়ে উঠেছে । গাঙ্গেয় সমভূমি ভারতের সর্ববৃহৎ সঞ্চয়জাত সমভূমি । 

গ) ব-দ্বীপ সমভূমি [Deltaic Plain] সৃষ্টির কারণ- নদী যেখানে সমুদ্রে এসে পড়ে তাকে নদীর মোহনা বলে । এই মোহানাতে নদীর জলের সঙ্গে বাহিত পলি জমে ( নুড়ি, কাঁকর, কাদা, বালি) যে নতুন ভূভাগের সৃষ্টি হয় তাকে দ্বীপ বলে । দ্বীপের চারিদিকেই জল থাকে । এই দ্বীপকে দেখতে যখন অনেকটা বাংলা ‘ব’বা গ্রিক অক্ষর ডেল্টা -র মতো হয়, তখন তাকে বদ্বীপ বা ডেল্টা (Delta) বলে । বদ্বীপ সৃষ্টির পর নদীর জল বদ্বীপে বাধাপ্রাপ্ত হলে নদী বহু শাখায় বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং বদ্বীপগুলির চার ধারে আরও বেশি মাত্রায় পলি জমতে থাকে, যার ফলে বদ্বীপগুলো ক্রমশ আয়তনে বড় হয়ে মূল ভূভাগের সঙ্গে মিশে যায় । এইভাবে যে সমভূমি সৃষ্টি হয় তাকে ব-দ্বীপ সমভূমি [Deltaic Plain] বলে।

উদাহরণ:  গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার মধ্যবর্তী সমভূমিটি হল পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সমভূমি । আফ্রিকার নীলনদের বদ্বীপ সমভূমিটি উর্বরতা ও কৃষি উৎপাদনের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত । এছাড়া হোয়াংহো, ইয়াংসিকিয়াং, মিসিসিপি-মিসৌরী নদীর মোহনার কাছাকাছি জায়গায় ব-দ্বীপ সমভূমি দেখা যায় ।     

ঘ) উপকূলীয় সমভূমি [Coastal Plain] সৃষ্টির কারণ-  নানাভাবে উপকূল সমভূমি সৃষ্টি হয়, যেমন-

১) সমুদ্রস্রোতের মাধ্যমে আসা পলি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি পদার্থ উপকূলের অগভীর সমুদ্রে ক্রমাগত সঞ্চিত হয়ে উপকূলে সমভূমির সৃষ্টি করে; আবার

২) সমুদ্রের ঢেউ এবং জোয়ার-ভাটার প্রভাবে উপকূলের ভূমির ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ অগভীর সমুদ্রে সঞ্চিত হয়ে সমভূমির সৃষ্টি করে । এছাড়া

৩) উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্রের অগভীর অংশ নদীবাহিত পলি দ্বারা ভরাট হয়ে বা ভূমিকম্পের ঊর্ধ্বচাপের প্রভাবে উঁচু হয়েও উপকূলীয় সমভূমি সৃষ্টি হতে পারে।

উদাহরণ: ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের কোনও কোনও অংশে উপকূলীয় সমভূমি দেখা যায়। দিঘার নিকটবর্তী জুনপুটে পলি জমে এরকম সমভূমি সৃষ্টি হচ্ছে ।

ঙ) হ্রদ সমভূমি সৃষ্টির কারণ- নদীবাহিত বালি, নুড়ি, কাঁকর, পলি প্রভৃতি দ্বারা কোনো হ্রদ ভরাট হলে কালক্রমে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে হ্রদ সমভূমি বলে। কাশ্মীর উপত্যকা ও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তাল সমভূমি অঞ্চল হ্রদ ভরাট হয়ে সৃষ্টি হয়েছে ।

চ) লাভা সমভূমি [Lava Plain] সৃষ্টির কারণ-  আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে পৃথিবীর ভিতরকার গলিত লাভা ভূগর্ভের ফাটল দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে অনেক সময় যে সমতল ভূমির সৃষ্টি করে, তাকে লাভা সমভূমি [Lava Plain] বলে। দাক্ষিণাত্যের উত্তর-পশ্চিম  দিকের কিছু অংশে লাভা সমভূমি [Lava Plain] দেখা যায়।        

ছ) হিমবাহ সমভূমি  সৃষ্টির কারণ- যেসব সমভূমি হিমবাহের প্রবল চাপ, ঘর্ষণ প্রভৃতি কারণের ফলে সৃষ্টি হয়, তাদের হিমবাহ সমভূমি বলে । ভারতের কাশ্মীর ও কুমায়ুন অঞ্চলে এই ধরনের সমভূমি দেখা যায়। উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অঞ্চলের সমভূমি হিমবাহ সমভূমির উদাহরণ ।

জ) লোয়েস সমভূমি [Loess Plain] : বায়ুপ্রবাহের পরিবহন ও সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, লোয়েস সমভূমি [Loess Plain] হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । অতিসূক্ষ্ম বালিকণা, মাটির কণা বা মৃত্তিকা বায়ুর দ্বারা পরিবাহিত হয়ে মরুভূমি সীমানার অনেক দূরে নিয়ে গিয়ে জমা হয়ে যে সমভূমি গঠন করে তাকে লোয়েস সমভূমি [Loess Plain] । এর রং হলদে । কিন্তু এই মাটি খুবই উর্বর ।

উদাহরণ: মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে শীতকালীন উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বাহিত হয়ে বিপুল পরিমাণে লোয়েস মৃত্তিকা উত্তর চিনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত হয়ে সেখানে এক বিস্তীর্ণ ও উর্বর লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে ।

ক্ষয়জাত সমভূমি সৃষ্টির কারণ:

নীচু মালভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলে বহুদিন ধরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্ষয়জাত সমভূমির সৃষ্টি হয়। ক্ষয়জাত সমভূমি দু ধরনের হয় যথা— ক) সমপ্রায় ভূমি এবং খ) পাদদেশীয় সমভূমি।

ক) সমপ্রায় ভূমি সৃষ্টির কারণ: নদীর জলপ্রবাহ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাচীন মালভূমি এবং উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় পেতে পেতে এক সময় উঁচু-নীচু ঢেউ-খেলানো ভূমি বা প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হলে তাদের সমপ্রায় ভূমি বলা হয়।

উদাহরণ:-  ঝাড়খন্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমির কোনো কোনো অংশ সমপ্রায়ভূমি এবং এদের মধ্যে পরেশনাথ ও পাঞ্চেত পাহাড় দুটি হল মোনাডনক ।

খ) পাদদেশীয় সমভূমি বা পেডিমেন্ট সৃষ্টির কারণ- বায়ু এবং জলের ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের ফলে মরুভূমি অঞ্চলের পর্বতের ঢাল ও পাদদেশভাগ পাথরে ঢাকা ঢালু সমতল ভূমিতে পরিণত হয়ে পাদদেশীয় সমভূমি বা পেডিমেন্ট সৃষ্টি হয় (অ্যাটলাস পর্বতের পাদদেশের  সমভূমি )।

ভু-আন্দোলনের ফলে গঠিত সমভূমি সৃষ্টির কারণ:

ভূ-আন্দোলনের ফলে সাধারণত দু’রকমের সমভূমির সৃষ্টি হয়, যথা— ক) উন্নত সমভূমি ও  খ) অবনত সমভূমি । ভূমিকম্পের ফলে নীচু স্থান উঁচু হয়ে উন্নত সমভূমির সৃষ্টি হয় (যেমন,  ভারতের করমন্ডল উপকূল) এবং উঁচু স্থান নীচু হয়ে অবনত সমভূমি সৃষ্টি হয় (যেমন,  তুরানের নিম্ন সমভূমি)।

ক) উন্নত সমভূমি:- ভূমিকম্পের ফলে নীচু স্থান উঁচু হয়ে উন্নত সমভূমির সৃষ্টি হয় (যেমন,  ভারতের করমন্ডল উপকূল)

খ) অবনত সমভূমি:- ভূমিকম্পের ফলে উঁচু স্থান নীচু হয়ে অবনত সমভূমি সৃষ্টি হয় (যেমন,  তুরানের নিম্ন সমভূমি)।

আউট-ওয়াস সমভূমি [Out-Wash-Plain]:- হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, বহিঃধৌত সমভূমি বা আউট-ওয়াশ সমভূমি [Out-Wash-Plain] হল তাদের মধ্যে অন্যতম ভূমিরূপ । উচ্চ পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ এসে পৌঁছালে তা গলে নদীর সৃষ্টি হয় এবং সেখানে হিমবাহ-বাহিত পাথরের টুকরো, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে বিস্তীর্ণ সমভূমি গঠন করে তাকে আউট-ওয়াশ প্লেন বা বহিঃধৌত সমভূমি [Out-Wash-Plain] বলে ।

উদাহরণ:-

১) পলিগঠিত সমভূমি [Alluvial Plain] (যেমন- গাঙ্গেয় সমভূমি পলিগঠিত সমভূমির উদাহরণ );

২) প্লাবন সমভূমি বা বন্যাগঠিত সমভূমি [Flood Plain] (যেমন,  ব্রহ্মপুত্র সমভূমি প্লাবন সমভূমির উদাহরণ );

৩) বদ্বীপ সমভূমি [Deltaic Plain] (গাঙ্গেয় মোহনায় অবস্থিত ব-দ্বীপটি হল পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ সমভূমি); 

৪) উপকূল সমভূমি [Coastal Plain] ( দিঘার জুনপুটে গঠিত সমভূমি উপকূল সমভূমির উদাহরণ );

৫) হ্রদ সমভূমি (উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তাল সমভূমি অঞ্চল হ্রদ সমভূমির উদাহরণ );

৬) লাভা সমভূমি [Lava Plain] (দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর দিকের কিছু অংশ লাভা সমভূমির উদাহরণ );

৭) হিমবাহ সমভূমি (উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অঞ্চলের সমভূমি হিমবাহ সমভূমির উদাহরণ ) এবং

৮) লোয়েস সমভূমি [Loess Plain] এর রং হলদে (চিনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকার সমভূমি লোয়েস সমভূমির উদাহরণ) ।

****

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত