মাছ ও পায়রার অভিযোজন বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য

Submitted by arpita pramanik on Tue, 12/25/2012 - 08:51

মাছ ও পায়রার অভিযোজন বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য

 

প্রকৃতি মাছ পায়রা
১.প্রকৃতি ১.মাছ জলচর প্রাণী । ১.পায়রা খেচর প্রাণী ।
২.বহিরাবরণ ২.দেহ আঁশ অথবা পিচ্ছিল মিউকাস দিয়ে আবৃত । ২.দেহ পালক দ্বারা আবৃত ।
৩.গমন অঙ্গ ৩.মাছের গমন অঙ্গ হল পাখনা । ৩.পায়রার গমন অঙ্গ হল একজোড়া ডানা এবং একজোড়া পা (পশ্চাদপদ) ।
৪.পেশি  ৪.মাছের মেরুদন্ডের দু'পাশে মায়োটোম পেশি থাকে, যা মেরুদন্ডকে সঞ্চালন করতে সাহায্য করে । ৪.বক্ষে মজবুত উড্ডয়ন পেশি উপস্থিত, যা ডানাদুটিকে অবিরাম সঞ্চালিত হতে সাহায্য করে ।
৫.শ্বাসযন্ত্র ৫.মাছের প্রধান শ্বাসযন্ত্র ফুলকা জলে শ্বাসকার্য চালাবার উপযোগী । জিওল মাছের (কই, মাগুর, সিঙি) অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকে, যার সাহায্য ওই সব মাছ বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে । ৫.পায়রার প্রধান শ্বাসযন্ত্র ফুসফুস । এছাড়া ফুসফুসের সঙ্গে 9টি অতিরিক্ত বায়ুথলি যুক্ত থাকে ।
৬.ভাসমান অঙ্গ  ৬.পটকা মাছকে জলে ডুবতে ও ভাসতে সাহায্য করে । ৬.ফুসফুসের বায়ুথলি পায়রাকে বাতাসে ভাসতে সাহায্য করে ।
৭.অস্থি ৭.মাছের অস্থির বিশেষ কোনও অভিযোজন দেখা যায় না । ৭.পায়রার অস্থি হালকা এবং ফাঁপা ।
৮.হৃৎপিন্ড ৮.মাছের হৃৎপিন্ড একটি অলিন্দ ও একটি নিলয় নিয়ে গঠিত । ৮.পায়রার হৃৎপিন্ড দুটো অলিন্দ ও দুটো নিলয় নিয়ে গঠিত । এদের হৃৎপিন্ডে দূষিত ও বিশুদ্ধ রক্ত পৃথকভাবে সংবাহিত হয় ।
৯.রক্ত ৯.মাছের রক্ত শীতল । ৯.পায়রার রক্ত উষ্ণ ।
১০.চক্ষু ১০.মাছের চোখে চক্ষুপত্র এবং পেকটিন থাকে না । ১০.পায়রার চোখে চক্ষুপত্র এবং পেকটিন থাকে ।

 

*****

Related Items

টীকাকরণ এবং অনাক্রম্যতাকরণ

দেহে জীবাণু বা জীবাণুসৃষ্ট পদার্থ কৃত্রিমভাবে প্রবেশ করিয়ে ওই রোগের সাপেক্ষে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে টীকাকরণ বলে, এবং যে পদার্থকে দেহে প্রবেশ করানো হয়, তাকে টীকা বলে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অথবা খাওয়ানোর দ্বারা প্রতিষেধক টীকা দেহে প্রবেশ ...

সাধারণ জীবাণু নাশকের ব্যবহার

বিভিন্ন রোগ-জীবাণু প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয় । সাধারণত জীবাণুনাশকগুলি প্রধানত তিন ধরনের হতে পারে, যেমন : প্রাকৃতিক, ভৌত এবং রাসায়নিক। সূর্যালোক এবং বাতাস স্বাভাবিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে । সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ...

রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগ সমূহ

কোনো রোগের কারণে অথবা ক্ষতের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্ত নির্গত হয়ে গেলে, রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে তা প্রতিস্থাপিত করা যেতে পারে । বর্তমানে বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক, নার্সিং হোম অথবা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনের জন্য রক্ত পাওয়া যায় ...

পতঙ্গ বাহকের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগসমূহ

রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের সংক্রমণের ধরন বিভিন্ন রকম হতে পারে । মানবদেহে খাদ্যের সাথে, জলের সাথে, বাতাসের মাধ্যমে, বিভিন্ন পতঙ্গ অথবা অপর জীবের দেহের সাথে সংলগ্ন হয়ে অথবা তাদের দংশনের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ হয় । এছাড়াও রোগাক্রান্ত অথবা প্রাণীর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ...

প্রোটোজোয়া (Protozoa)

এককোশী আণুবীক্ষণিক প্রাণীদের প্রোটোজোয়া বা আদ্যপ্রাণী বলা হয় । আদ্যপ্রাণীদের মধ্যে কিছু প্রাণী মানবদেহে পরজীবীরূপে বসবাস করে এবং নানারকম রোগ সৃষ্টি করে । এখানে পাঠক্রমভুক্ত কয়েকটি আদ্যপ্রাণীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করা হল - প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স