গিনিপিগের একসংকর জননের পরীক্ষা

Submitted by arpita pramanik on Tue, 12/18/2012 - 22:59

গিনিপিগের ক্ষেত্রে মেন্ডেলের একসংকর (Mendelian inheritance in Guineapig on Monohybrid cross)

গিনিপিগের একসংকর জননের পরীক্ষা (Monohybrid cross in Guineapig)

উদ্ভিদের মতো প্রাণীদের মধ্যেও একসংকর পরীক্ষা ঘটানো যেতে পারে । জনিতৃ জনুর একটি বিশুদ্ধ কালো গিনিপিগের [BB] সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ সাদা গিনিপিগের [bb] সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য জনুতে শুধু মাত্র সংকর কালো [Bb] গিনিপিগের সৃষ্টি হবে (এখানে কালো রঙটি সাদার ওপর প্রকট ) । প্রথম অপত্য জনুতে উত্পন্ন দুটো সংকর কালো গিনিপিগের মধ্যে সংকরায়ণ (Bb x Bb) ঘটালে দ্বিতীয় অপত্য জনুতে [F2]  তিন ভাগ কালো এবং এক ভাগ সাদা গিনিপিগের [3 : 1] সৃষ্টি হবে । ওই তিন ভাগ কালো গিনিপিগের মধ্যে এক ভাগ হবে বিশুদ্ধ কালো [BB] গিনিপিগ এবং দু'ভাগ হবে সংকর কালো [Bb] গিনিপিগ । সমস্ত ক্ষেত্রেই সাদা গিনিপিগগুলি বিশুদ্ধ সাদা [bb] হবে, অর্থাৎ এক্ষেত্রেও জিনোটাইপ অনুপাত হবে (1 : 2 : 1) ফিনোটাইপ অনুপাত = 3 (কালো) : 1 (সাদা) জিনোটাইপ অনুপাত = 1 : 2 : 1 (বিশুদ্ধ কালো : সংকর কালো : বিশুদ্ধ সাদা) অর্থাৎ1(BB) : 2(Bb) : 1 (bb)

*****

Related Items

টীকাকরণ এবং অনাক্রম্যতাকরণ

দেহে জীবাণু বা জীবাণুসৃষ্ট পদার্থ কৃত্রিমভাবে প্রবেশ করিয়ে ওই রোগের সাপেক্ষে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে টীকাকরণ বলে, এবং যে পদার্থকে দেহে প্রবেশ করানো হয়, তাকে টীকা বলে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অথবা খাওয়ানোর দ্বারা প্রতিষেধক টীকা দেহে প্রবেশ ...

সাধারণ জীবাণু নাশকের ব্যবহার

বিভিন্ন রোগ-জীবাণু প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয় । সাধারণত জীবাণুনাশকগুলি প্রধানত তিন ধরনের হতে পারে, যেমন : প্রাকৃতিক, ভৌত এবং রাসায়নিক। সূর্যালোক এবং বাতাস স্বাভাবিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে । সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ...

রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগ সমূহ

কোনো রোগের কারণে অথবা ক্ষতের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্ত নির্গত হয়ে গেলে, রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে তা প্রতিস্থাপিত করা যেতে পারে । বর্তমানে বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক, নার্সিং হোম অথবা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনের জন্য রক্ত পাওয়া যায় ...

পতঙ্গ বাহকের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগসমূহ

রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের সংক্রমণের ধরন বিভিন্ন রকম হতে পারে । মানবদেহে খাদ্যের সাথে, জলের সাথে, বাতাসের মাধ্যমে, বিভিন্ন পতঙ্গ অথবা অপর জীবের দেহের সাথে সংলগ্ন হয়ে অথবা তাদের দংশনের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ হয় । এছাড়াও রোগাক্রান্ত অথবা প্রাণীর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ...

প্রোটোজোয়া (Protozoa)

এককোশী আণুবীক্ষণিক প্রাণীদের প্রোটোজোয়া বা আদ্যপ্রাণী বলা হয় । আদ্যপ্রাণীদের মধ্যে কিছু প্রাণী মানবদেহে পরজীবীরূপে বসবাস করে এবং নানারকম রোগ সৃষ্টি করে । এখানে পাঠক্রমভুক্ত কয়েকটি আদ্যপ্রাণীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করা হল - প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স