মানবদেহে রক্ত তঞ্চন

Submitted by arpita pramanik on Thu, 05/02/2013 - 17:25

রক্ত তঞ্চন (Blood Coagulation)

সংজ্ঞা - যে প্রক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে অর্ধ কঠিন জেলির মত পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রক্ত তঞ্চন বলে ।

সময়কাল - 3-8 মিনিট

 

রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি

প্রাণীদেহে রক্ত তঞ্চন পদ্ধতিটি নিম্ন আলোচনা করা হল

যখন রক্তপাত ঘটে তখন ওই কাটা স্থান এবং ভাঙা অণুচক্রিকা থেকে থ্রম্বোপ্লাসটিন নিঃসৃত হতে থাকে ।

ক্ষত অংশের কলাকোষ + ভাঙা অণুচক্রিকা  থ্রম্বোপ্লাসটিন

এই থ্রম্বোপ্লাসটিন রক্তের প্রোথ্রমবিন ও ক্যালসিয়াম আয়নকে থ্রমবিনে পরিণত করে ।

প্রোথ্রমবিন + ক্যালসিয়াম আয়নক + ভিটামিন K + থ্রম্বোপ্লাসটিন  থ্রমবিন

থ্রনবিন রক্তস্থিত ফাইব্রিনোজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ফাইব্রিনে পরিণত হয় । ফাইব্রিন ঘন জালকের আকারে রক্তকণিকা গুলিকে আবদ্ধ করে; ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় ।

থ্রমবিন + ফাইব্রিনোজেন +ক্যালসিয়াম আয়ন + ভিটামিন K  ফাইব্রিন ( তঞ্চন )

 

রক্ত তঞ্চন বিরোধী পদার্থ

রক্তে অবস্থিত হেপারিন জোঁকের দেহে অবস্থিত হিরুডিন, এছাড়া কৃতিম অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট সোডিয়াম অক্সালেট, পটাসিয়াম অক্সালেট, সোডিয়াম সাইট্রেট ইত্যাদি ।

 

রক্ত বাহে রক্ত তঞ্চিত হয় না কেন ?

রক্ত বাহে রক্ত তঞ্চিত না হওয়ার কারণ

১৷ রক্তে রক্ত তঞ্চক রোধক পদার্থ হেপারিন থাকে ।

২৷ রক্ত বাহের অন্তঃপ্রাচীর মসৃন হওয়ায় অণুচক্রিকার ভাঙন ঘটে না, ফলে থ্রম্বোপ্লাসটিন নিঃসৃত হয় না ।

৩৷ রক্ত বাহে অবিরাম রক্ত স্রোত থাকে ।

*****

Related Items

আরশোলার গমন

চলা ফেরা বা হাঁটার জন্য আরশোলার তিন জোরা সন্ধিল পদ বর্তমান। আরশোলার পৃষ্ঠ দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডকে মোট দু জোরা ডানা আছে। আরশোলার দু জোরা ডানার মধ্যে প্রথম ডানা জোরা শক্ত ও পুরু। তারা উড্ডয়নে সাহায্য করে না। দ্বিতীয় ডানা জোরা স্বচ্ছ ও পাতলা ...

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...