উদ্ভিদ সংবহনের পার্থক্য সমূহ

Submitted by arpita pramanik on Sat, 04/20/2013 - 21:10

উদ্ভিদ সংবহনের  কয়েকটি পার্থক্য সমূহ

1. জাইলেম ও ফ্লোয়েম

জাইলেম

ফ্লোয়েম

১৷ এর প্রধান উপাদান ট্রাকীয়া ও ট্রাকীড এরা মৃত।

১৷ এর প্রধান উপাদান সীভনল সীভকোষ এরা সজীব।

২৷ এটি প্রধানত ঊর্ধ্বমুখী পরিবহণ সম্পন্ন করে।

২৷ এটি প্রধানত নিম্নমুখী পরিবহণ সম্পন্ন করে।

৩৷ এর মাধ্যমে জল ও জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ পরিবাহিত হয়।

৩৷ ফ্লোয়েমের মাধ্যমে পাতায় উৎপন্ন তরল খাদ্য পরিবাহিত হয়।

৪৷ এর উপাদান গুলি হল ট্রাকীয়া , ট্রাকীড , জাইলেম প্যারেনকাইমা এবং জাইলেম তন্তু।

৪৷ এর উপাদান গুলি হল সীভনল , সঙ্গীকোষ , ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা এবং ফ্লোয়েম তন্তু।

 

2. ব্যাপন ও অভিস্রাবন

ব্যাপন

অভিস্রাবন

১৷ এই প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন নেই।

১৷ এই প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন।

২৷ এই প্রক্রিয়ায় পদার্থের অনু গুল বেশি ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়।

২৷ এই প্রক্রিয়ায় দ্রাবকের অনু গুল কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে যায়।

৩৷ ব্যাপন বিষম প্রকৃতির মিশ্রণেও ঘটতে পারে।

৩৷ অভিস্রাবন সমপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যে ঘটে।

৪৷ কোনো দ্রবনের মধ্যে অপর কোনো দ্রবণ মিশ্রিত করলে দ্রাব ও দ্রাবকের মধ্যে ব্যাপন ক্রিয়া একই সঙ্গে পৃথক ভাবে ঘটতে পারে।

৪৷ অর্ধভেদ্য পর্দা পৃথক রাখা দ্রবনের শুধু দ্রাবকের মধ্যেই অভিস্রাবন ঘটে।

 

3. পরিবহণ ও সংবহন

পরিবহণ

সংবহন

১৷ পরিবহণ প্রধানত উদ্ভিদ দেহে জল ও খাদ্য রস চলাচলকে বঝায়।

১৷ সংবহন প্রাণীদেহে রক্ত ও লসিকা সঞ্চালনকে বঝায়।

২৷ পরিবহণের মাধ্যম হল জল।

২৷সংবহনের মাধ্যম হল রক্ত ও লসিকা।

৩৷ পরিবহণের পথ হল জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলা।

৩৷ সংবহনের পথ হল রক্ত বাহ অর্থাৎ শিরা, ধমনী, ও জালক।

৪৷ উদ্ভিদের পরিবহণ প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত, যথা ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী পরিবহণ।

৪৷ প্রাণীদের সংবহনে দুই ভাগে বিভক্ত, যথা রক্ত সংবহন ও লসিকা সংবহন।

 

 

4. ঊর্ধ্বমুখী সংবহন ও নিম্নমুখী সংবহন

ঊর্ধ্বমুখী সংবহন

নিম্নমুখী সংবহন

১৷ এই রকম সংবহন মূলত জাইলেম কলার জাইলেম বাহিকার মাধ্যমে ঘটে।

১৷ এই রকম সংবহন মূলত ফ্লোয়েম কলার সীভ নলের মাধ্যমে ঘটে।

২৷ এই রকম সংবহনে জল ও জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ মাটি থেকে পাতায় পৌঁছায়।

২৷ এই রকম সংবহনে পাতায় তৈরি তরল খাদ্য রস পাতা থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে যায়।

৩৷ বিভিন্ন রকম চাপ ( শোষণ চাপ, বায়বীয় চাপ, মূলজ চাপ প্রভৃতি ) এই রকম সংবহনকে নিয়ন্ত্রন করে।

৩৷ এই রকম সংবহনকে কোনোরকম চাপ নিয়ন্ত্রণ করে না।

৪৷ এই রকম সংবহন বাষ্পমোচনের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত।

৪৷ এই রকম সংবহন বাষ্পমোচনের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত নয়।

*****

Related Items

আরশোলার গমন

চলা ফেরা বা হাঁটার জন্য আরশোলার তিন জোরা সন্ধিল পদ বর্তমান। আরশোলার পৃষ্ঠ দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডকে মোট দু জোরা ডানা আছে। আরশোলার দু জোরা ডানার মধ্যে প্রথম ডানা জোরা শক্ত ও পুরু। তারা উড্ডয়নে সাহায্য করে না। দ্বিতীয় ডানা জোরা স্বচ্ছ ও পাতলা ...

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...