যান্ত্রিক আবহবিকার ও রাসায়নিক আবহবিকারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর ।

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 12/27/2021 - 14:55

প্রশ্ন:- যান্ত্রিক আবহবিকার ও রাসায়নিক আবহবিকারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর ।

উত্তরঃ যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকারের মধ্যে পার্থক্য:-

যান্ত্রিক আবহবিকার (Mechanical Weathering)

রাসায়নিক আবহবিকার (Chemical Weathering)

(১) বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে শিলাস্তর যখন ফেটে ছোটো ছোটো খন্ড বা চূর্ণে পরিণত হয়ে মূল শিলার ওপরে অবস্থান করে তখন তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে ।

(১) নানান রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শিলা বিয়োজিত হওয়ার ঘটনাকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে ।

(২) যান্ত্রিক আবহবিকারে শিলার শুধুমাত্র বাহ্যিক (ভৌত) পরিবর্তন হয়, রাসায়নিক গঠনের কোনো পরিবর্তনন হয় না ।

(২) রাসায়নিক আবহবিকারে বাহ্যিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিলার মূল রাসায়নিক গঠনও পরিবর্তিত হয় ।

(৩) যান্ত্রিক আবহবিকার প্রধানত তাপমাত্রার পরিবর্তনে, শিলাস্তরের মধ্যে চাপ হ্রাসের ফলে, জল তুষারে পরিবর্তিত হওয়ার ফলে চাপ বৃদ্ধিতে এবং মানুষ ও জীবজন্তু বা কীটপতঙ্গের কাজকর্মের ফলে সংঘটিত হয় ।

(৩) রাসায়নিক আবহবিকার প্রধানত অঙ্গারযোজন, জারণ, জলযোজন এবং দ্রবণের ফলে সংঘটিত হয় ।

(৪) যান্ত্রিক আবহবিকার প্রধানত উষ্ণ মরু অঞ্চল, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং শীতপ্রধান অঞ্চলের শুকনো আবহাওয়াযুক্ত অংশেই বেশি মাত্রায় সংঘটিত হয় ।

(৪) অপরপক্ষে রাসায়নিক আবহবিকার প্রধানত উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুযুক্ত নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলেই বেশি মাত্রায় সংঘটিত হয় ।

(৫) যান্ত্রিক আবহবিকার সংঘটিত হওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে শব্দ সৃষ্টি হয় ।

(৫) রাসায়নিক আবহবিকার সংঘটিত হওয়ার সময়ে কোনো শব্দ সৃষ্টি হয় না ।

(৬) যান্ত্রিক আবহবিকারের বিভিন্ন পর্যায় হল:- পিন্ড বিশরণ, শল্কমোচন, ক্ষুদ্রকণা বিশরণ, তুহিন খন্ডীকরণ প্রভৃতি ।               

(৬) রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পর্যায় হল:- অঙ্গারযোজন, জারণ, জলযোজন, দ্রবণ প্রভৃতি ।  

*****

Comments

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত