উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ কর ।

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 12/27/2021 - 17:43

প্রশ্ন:- উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ কর ।

উৎপত্তি অনুসারে মাটি দু’ধরনের হয়, যেমন- (১) স্থানীয় মাটি ও (২) অপসৃত মাটি ।

(১) স্থানীয় মাটি:- প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে মাতৃশিলা থেকে উৎপন্ন মাটি উৎপত্তিস্থলেই স্থিতিলাভ করে তখন তাকে স্থানীয় মাটি বা স্থিতিশীল মাটি বলে । এই ধরনের মাটির ওপরের স্তর -এর কণাগুলি সূক্ষ্ম হয় কিন্তু নীচের স্তরগুলিতে মাটির কণাগুলি ক্রমশ মোটা হতে শুরু করলেও মাটির বিভিন্ন স্তরের মূল উপাদান একই থাকে ।

(২) অপসৃত মাটি:- যেসব মাটি বায়ুপ্রবাহ, তুষারপাত, জলপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পরিবাহিত হয়ে তাদের উৎস থেকে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হয়, তাদের পরিবাহিত বা অপসৃত মাটি বলে । অপসৃত মাটি সাধারণত উর্বর হয় এবং দূরবর্তী স্থান থেকে আসার জন্য অপসৃত মাটির মূল ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম তাদের নীচে থাকা শিলাস্তর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয় ।

মাটির প্রকারভেদ : অপসৃত মাটি নানা ধরনের হতে পারে, যেমন- কোনো স্থানের মাটি বায়ুপ্রবাহ দ্বারা পরিবাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হলে তাকে লোয়েস মাটি এবং জলপ্রবাহ দ্বারা সঞ্চিত হলে তাকে পলিমাটি বলে ।

গঠন অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ:- গঠন অনুসারে মাটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা—

(i) দোঁয়াশ মাটি —এই মাটিতে বালি ও কাদা প্রায় সমপরিমাণে থাকে,

(ii) এঁটেল মাটি — এই মাটিতে কাদার ভাগ বেশি,

(iii) বেলে মাটি — এই মাটিতে বালির ভাগ বেশি ।

*****

Comments

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত