উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা- ২০১৪-১৫ সাজেশন:- বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সঠিক উত্তর , এক কথায় উত্তর

Submitted by Anonymous (not verified) on Mon, 12/08/2014 - 09:39

উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা- ২০১৪-১৫

বিষয়- বাংলা

ক) বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর ।

 

১) ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি কোন্‌ কাব্যের অন্তর্গত ?

ক) শেষ সপ্তক খ) শেষ লেখা গ) শেষের কবিতা ঘ) শেষের গান

 

২) ‘সে কখন করে না বঞ্চনা’- সে কে?

ক) মৃত্যু খ) সত্য গ) মিথ্যা ঘ) জীবন

 

৩) ‘জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়’-কবি কখন জানলেন ?

ক) জেগে ওঠে খ) ঘুমন্ত অবস্থায় গ) ভ্রমন অবস্থায় ঘ) মৃত্যুকালীন অবস্থায়

 

৪) ‘রূপনারানের কূলে’ বলতে রবীন্দ্রনাথ আসলে বুঝিয়েছেন –

ক) এক নদীর তীরকে খ)মৃত্যু নদীর পরপারকে গ) রূপময় মর্ত্যভূমিকে ঘ) সমুদ্রের তীরকে

 

৫) ‘রূপ-নারানের কূলে’ জেগে ওঠার অর্থ হল –

ক) ঘুম থেকে জেগে ওঠা খ) অচৈতন্য থেকে চেতনা ফিরে পাওয়া গ) জীবনবোধে প্রাজ্ঞ হয়ে ওঠা ঘ) মোহগ্রস্থ হওয়া

 

৬) ‘মরে গেল! না খেয়ে মোরে গেল!’- উক্তিটি কার ?

ক) নিখিল খ) মৃত্যুঞ্জয় গ) গল্পকথক ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী

 

৭) ‘আমি কি করব? কত বলেছি, কত বুঝিয়েছি,কথা শুনবে না ।’এখানে কে কথা শুনবে না ?

ক) মৃত্যুঞ্জয় খ) নিখিল গ) টুনু ঘ) টুনুর মা

 

৮) মৃত্যুঞ্জয়ের ‘পরনের ধূতির বদলে আসে ------------’

ক) ছেঁড়া লুঙ্গি খ) ছেঁড়া পাজামা গ) ছেঁড়া ন্যাকড়া ঘ) ছেঁড়া কাপড়

 

৯) ‘কেবিল মনে পড়ে ফুটপাথের ওই লোক গুলির কথা’- বক্তব্যটি কার ?

ক) মৃত্যুঞ্জয় খ)নিখিল গ) টুনু ঘ) টুনুর মা

 

১০) ‘ওঁর বিয়ে ঠাকুরের সঙ্গে । উনি হলেন দেবতার সেবিকা’ – কথাটি বলেছেন ---

ক) বুড়ো কর্তা খ) বড়ো পিসিমা গ) বড়ো বাড়ির লোকেরা ঘ) উচ্ছব

 

১১) বড় বাড়ির ছেলেরা কয়টার আগে ঘুম থেকে উঠেনা ?

ক) নয়টা খ) দশটা গ) এগারোটা ঘ) বারোটা

 

১২) কালো বিড়ালের লোম আনতে গেছে --------------

ক) বড় বৌ খ) বড় পিসি গ) ভজন ঘ) উচ্ছব

 

১৩) ‘রামশাল চালের ভাত------------সঙ্গে ।’

ক) নিরামিষ ডাল তরকারির খ) আমিষ তরকারির গ) সব্‌জির ঘ) মাছের

 

১৪) ‘তুমি যে বিরেশিতে যাবে তা কে জানত বল গো !’—তাঁর কত বছরে যাবার কথা ?

ক) চূরাশি খ) সপ্ত নব্বই গ) আটানব্বই ঘ) বিরানব্বই

 

১৫) উচ্ছব ভোরের ট্রেনে চেপে সোজা কোথায় যাবে ?

ক) কলকাতা খ) কালিঘাট গ) ক্যানিং ঘ) কটক

 

১৬) ছোট্ট বাজারে কয়টি মনোহারির দোকান ছিল ?

ক) তিনটি খ) দুইটি গ) একটি ঘ) চারটি

 

১৭) ‘রাঢ় বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালো ।’- ছোট লোকেরা একে কি বলে ?

ক) পউষে বাদলা খ) ডাওর গ) ফাঁপি ঘ) ঝাঁপি

 

১৮) ‘ডাক পুরুষের’ বচন অনুযায়ী বুধে বাদলা লাগলে কতদিন থাকবে ?

ক) সাত দিন খ) পাঁচ দিন গ) তিন দিন ঘ) এক দিন

 

১৯) ‘আমি স্বকর্ণে শুনেছি, বুড়ি লাইলাহা ইল্লাল্ল বলেছে!’- এখানে ‘আমি’ কে ?

ক) করিম ফরাজি খ) মোল্লাসাহেব গ) ফজলু শেখ ঘ) তিনজনের কেউই নয়

 

২০) কিসের রং ঘাস ফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল ?

ক)আকাশের খ) গাছের গ) নদীর জলের ঘ) পাহাড়ের

 

২১)হিমের রাতে শরীর উষ্ণ রাখার জন্য কারা সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে ?

ক) দেশোয়ালিরা খ) শিকারিরা গ) সাধারন মানুষ ঘ) এদের কেউই নয়

 

২২) অশ্বত্থের পাতা গুলো কেমন ছিল ?

ক)শুকনো খ) ভেজা গ) কচি ঘ) বড়

 

২৩) সূর্যের আলোয় আগুনের রং কেমন নেই আর ?

ক) কুসুমের মত খ) আগুনের মত গ) মচকা ফুলের মত ঘ) নদীর জলের মতন

 

২৪) হরিনের শরিরের রং কেমন ছিল ?

ক) বাদামি রঙের খ) খয়েরি রঙের গ) লাল রঙের ঘ) সোনালি রঙের

 

২৫) টেরিকাটা মাথাগুলো কিসের ছিল ?

ক) মানুষের খ) হরিণের গ) শিকারিদের ঘ) দেশোয়ালিদের

 

২৬) কার বুকের মুক্তা কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল ?

ক) মিশরের মানুষীর খ) ভারতীয় মানুষের গ) শিকারিদের ঘ) কারোরই নয়

 

২৭) কিসের রং মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল?

ক) নদীর জল খ) আগুনের গ) আকাশের ঘ) কোনটাই নয়

 

২৮) কবি রবীন্দ্রনাথ আমৃত্যু দেখে ছেন-

ক) সুখের আনন্দ খ) দুঃখের তপস্যা গ) সুখের শিহরন ঘ) দুঃখের পীড়ন

 

২৯) কবি রবীন্দ্রনাথ চেয়ে ছিলেন-

ক) সত্যের আনন্দ খ) দুঃখের মধ্যে সত্য গ) সত্যের দারুন মুল্য ঘ) বেদনার মধ্যে সুখ

 

৩০) কবি রবীন্দ্রনাথ চেয়ে ছিলেন , জীবনের সকল দেনা-

ক) মৃত্যুতে শোধ করতে খ) মিটিয়ে দিতে গ) জমা রাখতে ঘ) গ্রহণ করতে

 

৩১) ‘ কঠিনেরে ভালবাসিলাম ’ -কবি কঠিনেরে ভালবেসেছিলেন , এর কারন-

ক) সে সত্য কে প্রকাশ করে খ) সে বঞ্চনা করেনা গ) সে আঘাত করে না ঘ) সে দুঃখ দেয়না

 

৩২) আপনার রূপ কবি চিনেছিলেন-

ক) গানেগানে খ) কবিতায় কবিতায় গ) আঘাতে আঘাতে ঘ) শান্তিতে

 

৩৩) ‘আরোগ্যের জন্যে ঐ .................. ভীষণ দরকার ।

ক) সবুজের খ) আকাশের গ) গাছের ঘ) অরণ্যের

 

৩৪) ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতাটি কার লেখা ?

ক) জীবনানন্দ দাশ খ) জয় গোস্বামী গ) মৃদুল দাশগুপ্ত ঘ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

 

৩৫) ‘নিহত .................. শবদেহ দেখে / নাই যদি হয় ক্রোধ ’

ক) বোনের খ) ভাইয়ের গ) মায়ের ঘ) মানুষের

 

উত্তরঃ ১) খ) শেষ লেখা ২)খ) সত্য ৩) ক) জেগে ওঠে ৪) গ) রূপময় মর্ত্যভূমিকে ৫) গ) জীবনবোধে প্রাজ্ঞ হয়ে ওঠা ৬) খ) মৃত্যুঞ্জয় ৭) ঘ) টুনুর মা ৮) গ) ছেঁড়া ন্যাকড়া ৯) ঘ) টুনুর মা ১০) গ) বড়ো বাড়ির লোকেরা ১১) গ) এগারোটা ১২)গ) ভজন ১৩) ঘ) মাছের ১৪) গ) আটানব্বই ১৫) গ) ক্যানিং ১৬) গ) একটি ১৭) খ) ডাওর ১৮) গ) তিন দিন ১৯) গ) ফজলু শেখ ২০) ক)আকাশের ২১)ক) দেশোয়ালিরা ২২) ক)শুকনো ২৩) ক) কুসুমের মত ২৪) ক) বাদামি রঙের ২৫) ক) মানুষের ২৬) ক) মিশরের মানুষীর ২৭) ক) নদীর জল ২৮) খ) দুঃখের তপস্যা ২৯) গ) সত্যের দারুন মুল্য ৩০) ক) মৃত্যুতে শোধ করতে ৩১) খ) সে বঞ্চনা করেনা ৩২)গ) আঘাতে আঘাতে ৩৩) ক) সবুজের ৩৪) গ) মৃদুল দাশগুপ্ত ৩৫) খ) ভাইয়ের

 

খ) এক কথায় উত্তর দাও । ১৫x১=১৫

১) ‘ জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয় ।’ – কোন জগতের কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারেনের কূলে জেগে উঠে যে জগৎ কে দেখেছিলেন , তা স্বপ্নের নয় । সে জগৎ ছিল বাস্তবের জগৎ ।

 

২) ‘ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ।’ – রক্তের অক্ষরে কবি কী দেখেছিল ?

উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রক্তের অক্ষরে’দেখেছিলেন তাঁর আত্মরূপ অর্থাৎ ‘আপনার রূপ’দেখেছিলেন কবি ‘রক্তের অক্ষরে’ ।

 

৩) চিনিলাম আপনারে’- কবি আপনারে কিভাবে চিনেছিলেন ?

উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন ,তিনি আঘাতের মধ্যে দিয়ে , বেদনার মধ্যে দিয়ে নিজের স্বরূপ কে চিনতে পেরেছিলেন ।

 

৪) ‘ কঠিনেরে ভালোবাসিলাম ।’- কবি কেন ‘কঠিনেরে’ ভালোবেসেছিল ?

উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর উপলব্ধি থেকে বুঝেছিলেন কঠিন কখন বঞ্চনা করেনা । কঠিনের মধ্যে দিয়ে অবশেষে প্রকৃত সত্যকে অনুভব করা যায় । এজন্যে কবি উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন ।

 

৫) ‘ সত্য যে কঠিন ’- কবি ‘সত্য’ কে ‘কঠিন’ বলেছেন কেন ?

উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্য কে উপলব্ধি করেছেন কঠিন আঘাত ও চরম বেদনার মধ্যে দিয়ে । তাই যে জীবন সাধারন কল্পনার আসে , যে জীবন রোমান্টিক স্বপ্ন বিলাসের, সেই জীবন কে প্রত্যাশা করেননি কবি । তাই তিনি সত্যকে খুজেছেন কঠিনের মধ্যে ।

 

৬) ‘আমি তা পারি না ।’- কে কি পারেন না ?

উত্তরঃ কবি মৃদুল দাশগুপ্ত সমাজের বিভিন্ন ঘটে যাওয়া অন্যায়- অত্যাচার দেখে চুপ থাকতে পারেন না কিংবা সেই সমস্ত অন্যায় দেখে বিধাতার কাছে জবাব চেয়ে চুপ থাকতে পারেন না ।

 

৭) ‘আমার দরকার শুধু গাছ দেখা’ – কেন শুধু গাছ দেখার প্রয়োজন ?

উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় গাছের সবুজে ডুব দিয়ে নিজের শরীর কে আরোগ্য রাখতে চান – কারন তিনি জানেন ‘গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার’ ।

 

৮) ‘মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে / অলস সূর্য দেয় এঁকে’ – অলস সূর্য কী এঁকে দেয় ?

উত্তরঃ অলস সূর্য গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয় ।

 

৯) ‘রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলো‎ড়িত করে ।’—কে রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলো‎ড়িত করে ?

উত্তরঃ ‘দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য,’ আর ‘দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস’ রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে ।

 

১০) ‘আগুন জ্বলল আবার’ কেন আবার আগুন জ্বললো ?

উত্তরঃ হরিণের মাংস রান্না করার জন্য আগুন জ্বালানো হয়েছিল ।

 

১১) ‘এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে ।’ – কে ভোরের আলোয় নেমে এসেছে ?

উত্তরঃ সুন্দর বাদামি রঙের হরিণ, যে রাত্রের অন্ধকার শেষে ভোরের আলোর অপেক্ষা করছিল ।

 

১২) ‘তাহলে কী করব চৌকিদারদা ?’ – চৌকিদারদা কি করতে বলেছিল ?

উত্তরঃ বৃদ্ধার মৃতদেহ নদীতে ফেলে দিয়ে আসতে বলেছিল ।

 

১৩) ‘মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায় ।’ – কেন ওরা উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় ?

উত্তরঃ পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে লোকজন মারতে মারতে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায় ।

 

১৪) ‘গাঁ সম্পক্কে দাদা তো হও ।’- কে কাকে একথা বলেছিল ?

উত্তরঃ প্রচণ্ড ক্ষুধায় কাতর উচ্ছব এক মুঠ চাউলের জন্য বাসিনীর কাছে ‘বাগ্যতা’ করলে বাসিনী উচ্ছবকে বলেছিল ‘গাঁ সম্পক্কে দাদা তো হও ।’

 

১৫) ‘ নিখিল ধীরে ধীরে টাকাটা গুনল ।’- এখানে কোন টাকার কথা বলা হচ্ছে ?

উত্তরঃ রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিখিল কে যে ‘একতাড়া নোট’ দিয়েছিল – সেই টাকার কথাই বলা হচ্ছে ।

 

 

 

 

 

Comments

Related Items