এক্স-রশ্মি এবং সাধারণ আলোক-রশ্মির তুলনা :
সাদৃশ্য:-
(i) এক্স-রশ্মি এবং আলোক-রশ্মি উভয়েই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ ।
(ii) শূন্য মাধ্যমে আলোক-রশ্মি এবং এক্স-রশ্মি উভয়ের বেগ (3 x 108 মিটার / সেকেন্ড) ।
(iii) উভয় রশ্মিই সরলরেখায় যায় । বিশেষ ব্যবস্থায় আলোক-রশ্মির মতো এক্স-রশ্মির প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ হয় ।
(iv) উভয় রশ্মিই ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর ক্রিয়া করে ।
(v) উভয় রশ্মিই তড়িৎ বা চৌম্বকক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত হয় না ।
বৈসাদৃশ্য :-
(i) এক্স-রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব ছোট (10-8 মি - 10-11 মি) কিন্তু আলোক-রশ্মির তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য অনেক বড়, প্রায় 10-6 মি ।
(ii) অস্বচ্ছ বস্তুর ভিতর দিয়ে আলোক-রশ্মি যেতে পারে না, কিন্তু অনেক অস্বচ্ছ বস্তুর ভিতর দিয়ে এক্স-রশ্মি চলে যায় ।
(iii) বস্তুর উপর আলোক-রশ্মি পড়ে বস্তুকে দৃশ্যমান করে । এক্স-রশ্মি দ্বারা বস্তু দৃশ্যমান হয় না ।
(iv) এক্স-রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করে । সাধারণ আলোক-রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করে না ।
(v) এক্স-রশ্মি জীবকোশ ধ্বংস করে, কিন্তু আলোক-রশ্মি করে না ।
(vi) এক্স-রশ্মি কাচ, জিঙ্ক সালফাইড, ক্যালশিয়াম টাংস্টেন প্রভৃতি বস্তুর ওপর পড়লে প্রতিপ্রভার সৃষ্টি করে, সাধারণ আলোক-রশ্মির প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই ।
*****
- 3102 views