এক্স-রশ্মি ও সাধারণ আলোক-রশ্মির তুলনা

Submitted by arpita pramanik on Sat, 02/02/2013 - 21:39

এক্স-রশ্মি এবং সাধারণ আলোক-রশ্মির তুলনা :

সাদৃশ্য:-

(i) এক্স-রশ্মি এবং আলোক-রশ্মি উভয়েই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ ।

(ii) শূন্য মাধ্যমে আলোক-রশ্মি এবং এক্স-রশ্মি উভয়ের বেগ (3 x 108 মিটার / সেকেন্ড) ।

(iii) উভয় রশ্মিই সরলরেখায় যায় । বিশেষ ব্যবস্থায় আলোক-রশ্মির মতো এক্স-রশ্মির প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ হয় ।

(iv) উভয় রশ্মিই ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর ক্রিয়া করে ।

(v) উভয় রশ্মিই তড়িৎ বা চৌম্বকক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত হয় না ।

বৈসাদৃশ্য :-

(i) এক্স-রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব ছোট (10-8 মি - 10-11 মি) কিন্তু আলোক-রশ্মির তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য অনেক বড়, প্রায় 10-6 মি । 

(ii) অস্বচ্ছ বস্তুর ভিতর দিয়ে আলোক-রশ্মি যেতে পারে না, কিন্তু অনেক অস্বচ্ছ বস্তুর ভিতর দিয়ে এক্স-রশ্মি চলে যায় ।

(iii) বস্তুর উপর আলোক-রশ্মি পড়ে বস্তুকে দৃশ্যমান করে । এক্স-রশ্মি দ্বারা বস্তু দৃশ্যমান হয় না ।

(iv) এক্স-রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করে । সাধারণ আলোক-রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করে না ।

(v) এক্স-রশ্মি জীবকোশ ধ্বংস করে, কিন্তু আলোক-রশ্মি করে না ।

(vi) এক্স-রশ্মি কাচ, জিঙ্ক সালফাইড, ক্যালশিয়াম টাংস্টেন প্রভৃতি বস্তুর ওপর পড়লে প্রতিপ্রভার সৃষ্টি করে, সাধারণ আলোক-রশ্মির প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই ।

*****

Related Items

কৃত্রিম পলিমার ব্যবহারের সমস্যা ও নিয়ন্ত্রণ

কৃত্রিম পলিমার থেকে প্রস্তুত বস্তুসামগ্রীর ব্যবহার যথেচ্ছভাবে দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে । পলিথিন ও টেফলন থেকে তৈরি ব্যাগ ও প্লাস্টিকের থলি এবং অন্যান্য সামগ্রী আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে । প্লাস্টিক এমন একটি দূষক যা প্রকৃতিতে দীর্ঘদিন অবিকৃত থাকে ...

পলিমেরাইজেশন ও কয়েকটি সাধারণ পলিমার

যে বিক্রিয়ায় বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ও সরল অণুর পারস্পরিক সংযোগের ফলে ভিন্ন ধর্ম ও উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট (20000 - 250000) অতিবৃহৎ-অণু গঠিত হয় সেই বিক্রিয়াকে বহুলীভবন বা পলিমেরাইজেশন বিক্রিয়া বলে । ওই বিক্রিয়ায় উত্পন্ন বৃহৎ-অণুকে পলিমার বলে । আবার যে সরল...

অ্যালকাইন (Alkyne)

যে হাইড্রোকার্বনে এক বা একাধিক কার্বন-কার্বন ত্রি-বন্ধন থাকে, তাদের অ্যালকাইন বলে। এরা অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ । এরা এক অণু হাইড্রোজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রথমে অ্যালকিন এবং পরে আরও এক অণু হাইড্রোজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যালকেন অণু গঠন করে । এই শ্রেণির যৌগগুলির ...

অ্যালকিন (Alkene)

যে সব হাইড্রোকার্বনে কম পক্ষে একটি কার্বন-কার্বন দ্বি-বন্ধন থাকে, তাদের অ্যালকিন বলে । এই যৌগগুলি হাইড্রোজেনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে অ্যালকেন উত্পন্ন করে । কার্বন ও হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত মুক্ত শৃঙ্খল যৌগে সর্বোচ্চ যতগুলি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকতে পারে তার থেকে ...

অ্যালকেন (Alkane)

যে সব হাইড্রোকার্বনে কার্বন পরমাণুগুলি পরস্পর কেবলমাত্র সমযোজী এক বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে, তাদের অ্যালকেন বলে । এদের গঠনে শুধু কার্বন-কার্বন একবন্ধন এবং কার্বন-হাইড্রোজেন একবন্ধন থাকে । অ্যালকেনগুলি কার্বন ও হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত মুক্ত শৃঙ্খল যৌগ ও এর অ্যালকেন ...