সোডিয়াম কার্বনেট বা কাপড় কাচা সোডা

Submitted by arpita pramanik on Sat, 03/16/2013 - 17:12

সোডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3) বা কাপড় কাচা সোডা :-

প্রকৃতি:-

[i] সোডিয়াম কার্বনেট -এর রাসায়নিক সংকেত Na2CO3,10H2O এবং গলাঙ্ক হল 786°C ।

[ii] সোডিয়াম কার্বনেট হল নর্মাল লবণ ও অজৈব যৌগ ।

[iii] সোডিয়াম কার্বনেট, কঠিন, গন্ধহীন এবং সাদা স্ফটিকাকার পদার্থ ।

[iv] সোডিয়াম কার্বনেটের প্রতি অণুতে 10 অণু কেলাস জল যুক্ত থাকে, (Na2CO3, 10H2O) ।

[v] সোডিয়াম কার্বনেট কেলাস উদ্ত্যাগী পদার্থ— খোলা বাতাসে রাখলে এর 9 অণু কেলাস জল ছেড়ে দেয়, অবশিষ্ট এক অণু কেলাস জল পড়ে থাকে । তখন কেলাস গঠন ভেঙ্গে গুঁড়োয় পরিণত হয় (Na2CO3, H2O), একেই কাপড় কাচা সোডা বলে ।

[vi] সোডিয়াম কার্বনেটকে উত্তপ্ত করলে অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেটে (Na2CO3) পরিণত হয় । অনার্দ্র এই লবণকে সোডা-ভস্ম (Soda-ash) বলে ।

[vii] অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় CO2 উৎপন্ন হয়, Na2CO3 + 2HCl = 2NaCl + CO2 + H2O  । এই ধর্মের জন্য Na2CO3 অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় ।

ব্যবহার:-

[i]  জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য প্রাচীনকাল থেকে সোডিয়াম কার্বনেটের ব্যবহার চলে আসছে ।

[ii] কস্টিক সোডা, কাচ, সাবান প্রভৃতি প্রস্তুতিতে প্রধান উপাদান হিসেবে সোডিয়াম কার্বনেট ব্যবহৃত হয় ।  

[iii] বস্ত্র এবং কাগজ শিল্পে সোডিয়াম কার্বনেটের ব্যবহার হয় ।

[iv] জলের খরতা দূরীকরণে সোডিয়াম কার্বনেটের ব্যবহার হয় ।

[v] পরীক্ষাগারে বিকারক হিসাবে সোডিয়াম কার্বনেট ব্যবহৃত হয় ।

[vi] বেকিং পাউডার প্রস্তুতিতে সোডিয়াম কার্বনেট ব্যবহৃত হয় । বেকিং পাউডার হল সোডিয়াম বাই-কার্বনেট এবং পটাশিয়াম হাইড্রোজেন-টার্টারেটের মিশ্রণ ।

*****

Related Items

গ্যাসের ধর্ম ও গ্যাসের চাপ

গ্যাসীয় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই । যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের সমগ্র আয়তন জুড়ে থাকে । গ্যাস অণুর ধর্মই হল চারিদিকে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়া । অণুগুলির গতির জন্যই গ্যাসের প্রবাহী ধর্ম দেখা যায় । স্থির উষ্ণতায় গ্যাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিংবা ...

আয়ন ও ক্যাটায়ন

সাধারণ অবস্থায় যে-কোনো পরমাণু নিস্তড়িৎ । অর্থাৎ পরমাণুর মধ্যে প্রোটন সংখ্যা = ইলেকট্রন সংখ্যা । যখন কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গৃহিত হয়, তখন ওই পরমাণুটি তড়িৎগ্রস্থ কণায় পরিণত হয় । ...

নিউক্লাইড (Nuclide)

শুধুমাত্র পারমাণবিক সংখ্যা (বা প্রোটন সংখ্যা) জানা থাকলে মৌলটিকে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ওই মৌলের সমস্থানিক থাকলে তার নিউক্লিয়াসকে শনাক্ত করা যায় না । কারণ একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াসগুলিতে প্রোটন সংখ্যা একই থাকলেও ...

আইসোটোপ বা সমস্থানিক (Isotope)

একটি মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ, প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার জন্য পারমাণবিক ভর অর্থাৎ ভর-সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে । সমস্থানিক পরমাণুগুলির মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ...

পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভর সংখ্যা

কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ধনাত্মক তড়িতের মোট একক সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু-ক্রমাঙ্ক বলে । যেহেতু, প্রত্যেক প্রোটনে ধনাত্মক তড়িতের পরিমাণ এক একক ; সুতরাং, কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনগুলির মোট সংখ্যাই হল ...