সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের সম্পর্ক

Submitted by arpita pramanik on Sun, 01/13/2013 - 19:28

সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের সম্পর্ক :

সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের নিম্ন-স্থিরাঙ্ক ও ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্কের মধ্যবর্তী উষ্ণতার ব্যবধানকে অর্থাৎ, প্রাথমিক অন্তরকে যথাক্রমে সমান 100 এবং 180 ভাগে ভাগ করা হয়েছে । সুতরাং বলা যায়,

সেলসিয়াস স্কেলের 100 ঘর = ফারেনহাইট স্কেলের 180 ঘর ।

অতএব, সেলসিয়াস স্কেলের 1 ঘর = ফারেনহাইট স্কেলের [tex]\frac {9}{5}[/tex] ঘর ।

আবার ধরা যাক, একই উষ্ণতায় সেলসিয়াস স্কেলে পাঠ C এবং ফারেনহাইট স্কেলে পাঠ F । সেলসিয়াস স্কেলের হিমাঙ্ক 0oC এবং ফারেনহাইট স্কেলের হিমাঙ্ক 32oF হওয়ায়, উভয়ক্ষেত্রে প্রাথমিক অন্তরের যথাক্রমে [tex]\frac {C - 0}{100}[/tex] এবং [tex]\frac {F - 32}{180}[/tex] ভাগ পারদস্তম্ভ উপরে উঠবে,

অর্থাৎ, বলা যায় [tex]{\frac {C - 0}{100} = \frac {F - 32}{180}}[/tex], যেহেতু উভয়ক্ষেত্রে পারদস্তম্ভের উচ্চতা একই ।

অথবা, [tex]\frac {C}{5} = \frac {F - 32}{9}[/tex] এটিই হল সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের সম্পর্ক ।

বিকল্প রূপ :

[tex]C = \frac{5}{9}\left( {F - 32} \right)[/tex] বা [tex]\left( {C + 40} \right) = \frac{5}{9}\left( {F - 32} \right) + 40[/tex]

বা [tex]\left( {C + 40} \right) = \frac{5}{9}\left( {F - 32} \right) + \frac{5}{9} \times 72 = \frac{5}{9}\left( {F - 32 + 72} \right) = \frac{5}{9}\left( {F + 40} \right)[/tex]

[tex]\therefore \left( {C + 40} \right) = \frac{5}{9}\left( {F + 40} \right)[/tex]

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --