Submitted by arpita pramanik on Sun, 05/22/2011 - 12:57

রেকটিফায়েড স্পিরিট (C2H5OH) :

Rectified spirit

ইথাইল অ্যালকোহলের লঘু দ্রবণের আংশিক পাতন প্রক্রিয়া থেকে 95.6% গাঢ় ইথাইল অ্যালকোহল এবং 4.4% জলের মিশ্রণ পাওয়া যায় । এই মিশ্রণকে শোধিত অ্যালকোহল বা রেকটিফায়েড স্পিরিট বলে । এর রাসায়নিক সংকেত C2H5OH ।

প্রকৃতি :-

[i] রেকটিফায়েড স্পিরিট বর্ণহীন কিন্তু মিষ্টি গন্ধযুক্ত পদার্থ ।

[ii] জলে যে-কোনো মাত্রায় দ্রবীভূত হতে পারে । এটি একটি প্রশম জৈব দ্রাবক ।

[iii] এটি একটি জৈব যৌগ ও দাহ্য পদার্থ ।

ব্যবহার :-

[i] মেথিলেটেড স্পিরিট প্রস্তুতিতে রেকটিফায়েড স্পিরিট ব্যবহার করা হয় ।

[ii] রেকটিফায়েড স্পিরিট দ্রাবক হিসাবে তুলনাহীন; এটি গালা, রেজিন, সাবান, সুগন্ধি জৈব পদার্থ, ওষুধ সকলকে দ্রবীভূত করতে পারে ।

[iii] টনিক জাতীয় বিভিন্ন বলকারী ওষুধ প্রস্তুতিতে রেকটিফায়েড স্পিরিট ব্যবহার হয় ।

[iv] রেকটিফায়েড স্পিরিটকে অ্যালকোহলীয় পানীয় হিসাবে ব্যবহার করা হয় । কিন্তু বাণিজ্যিক রেকটিফায়েড স্পিরিট অনেক সময় বন্ধ্যাত্বতার কারণ হয় ।

[v] পাওয়ার অ্যালকোহল (ইথাইল অ্যালকোহল + রেজিন + পেট্রোলের মিশ্রণ) তৈরির কাজে রেকটিফায়েড স্পিরিট ব্যবহৃত হয় ।

[vi] জীবাণু নাশক রূপে এবং

[vii] পরীক্ষাগারে উদ্ভিদ ও প্রাণীর নমুনা সংরক্ষণে রেকটিফায়েড স্পিরিট ব্যবহার করা হয় ।

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...