Submitted by arpita pramanik on Mon, 06/06/2011 - 08:26

ভিনিগার (CH3COOH) :

Vinegar

ভিনিগার হল কার্বক্সিলিক অ্যাসিড জাতীয় যৌগ— অ্যাসেটিক অ্যাসিডের লঘু জলীয় দ্রবণ । এতে প্রায় 4% — 8% অ্যাসেটিক অ্যাসিড ও সামান্য অ্যালকোহল থাকে । এর রায়্নিক সংকেত CH3COOH ।

প্রকৃতি :-

[i] ভিনিগার জলে দ্রাব্য এবং এর জলীয় দ্রবণ অম্লধর্মী ।

[ii] এটি তীব্র গন্ধযুক্ত, বর্ণহীন, অনুদ্বায়ী, জৈব তরল পদার্থ ।

উৎস :-

[i] পুরোনো মদে, কতকগুলি ফলের মধ্যে কয়েকটি উদ্ভিজ্জ তেল এবং কয়েকটি প্রাণীর মলে অ্যাসেটিক অ্যাসিড পাওয়া যায় ।

[ii] কাঠের অন্তর্ধূম পাতনের ফলে প্রাপ্ত পাইরোলিগনিয়াস অ্যাসিডের মধ্যে প্রায় 10% অ্যাসেটিক অ্যাসিড থাকে ।

[iii] অ্যাসিটিলিনের জারণ-ক্রিয়ার দ্বারা অ্যাসেটিক অ্যাসিড প্রস্তুত করা হয় ।

[iv] ব্যাকটেরিয়াম অ্যাসেটি নামে একরকম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে বায়ুর O2 দ্বারা ইথাইল অ্যালকোহল জারিত হয়ে ভিনিগারে পরিণত হয় ।

ব্যবহার :-

[i] রবার ঘন করতে ভিনিগার ব্যবহার করা হয় ।

[ii] পরীক্ষাগারে বিকারকরূপে এবং দ্রাবকরূপে ভিনিগার ব্যবহার করা হয় । 

[iii] মাছ মাংস সংরক্ষণে, নানাপ্রকার খাবার চাটনি সংরক্ষণে ভিনিগার ব্যবহার করা হয় ।

[iv] হোয়াইট লেড নামে সাদা রং (2PbCO3.Pb(OH)2) প্রস্তুতিতে ভিনিগার ব্যবহৃত হয় ।

[v] অ্যাসপিরিন, রেয়ন, সেলুলোজ অ্যাসিটেট প্রস্তুতে ভিনিগার ব্যবহার করা হয় ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --