বৈদ্যুতিক মোটর (Electric Motor)

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/28/2013 - 08:41

বৈদ্যুতিক মোটর (Electric Motor) :

বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার যন্ত্রের মধ্যে একটি হল মোটর । বৈদ্যুতিক মোটর দু'রকম— [i] পরবর্তী প্রবাহের জন্য মোটর (A.C. Motor) এবং [ii] সমপ্রবাহের জন্য মোটর (D.C. Motor) । এখানে সমপ্রবাহের মোটর বা D.C. Motor বিষয়ে আলোচনা করা হল ।

উপরের চিত্রে (D.C. Motor) -এর তত্ত্ব বোঝানো হয়েছে । N, S দুটি চুম্বক মেরুর মাঝখানে WXYZ একট তড়িৎ পরিবাহী তার কুণ্ডলী রাখা আছে, একে আর্মেচার বলে । আর্মেচার কুণ্ডলী যে অক্ষে ঘোরে সেই অক্ষ দন্ডের গায়ে সমান দুখন্ড করা একটি ধাতব আংটা (স্প্লিটরিং কম্যুটেটর) অন্তরিতভাবে চেপে আঁটা থাকে । আর্মেচার কুণ্ডলীর দুটি প্রান্ত কম্যুটেটরের দুখন্ডের সঙ্গে যোগ করা থাকে । কম্যুটেটরের দুখন্ডের গায়ে আংটার এক ব্যাস বরাবর দুটি কার্বন ব্রাশ দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ সরবরাহ লাইন বা ব্যাটারি থেকে কুণ্ডলীতে প্রবেশ করে । এর ফলে, ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়ম অনুযায়ী কুণ্ডলী একই পাকে ক্রমাগত ঘুরে চলে ।

ক্ষেত্র চুম্বকের শক্তি বাড়িয়ে, কুণ্ডলীতে তারের পাকসংখ্যা, কিংবা তড়িৎপ্রবাহের মাত্র বাড়িয়ে মোটরের শক্তি বাড়ানো যায় । বৈদ্যুতিক ট্রেন, ট্রাম, পাখা, রোলিং মিল, পাম্প ইত্যাদি চালানোর জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের বহুল ব্যবহার রয়েছে ।  

*****

Comments

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...