Submitted by arpita pramanik on Sun, 05/22/2011 - 11:29

ন্যাপথালিন (C10H8) :

Naphthalene

ন্যাপথালিনের প্রধান উৎস হল আলকাতরা । এর রাসায়নিক সংকেত C10H8  ।

প্রকৃতি :-

(i) ন্যাপথালিনের গলনাঙ্ক 80°C এবং স্ফুটনাঙ্ক 218°C । 

(ii) ন্যাপথালিন একটি বিশিষ্ট গন্ধযুক্ত চকচকে সাদা রঙের কেলাসিত কঠিন পদার্থ ।

(iii) এটি জলে অদ্রাব্য কিন্তু বেঞ্জিন, ইথার প্রভৃতি জৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় ।

(iv) এটি একটি উদ্বায়ী পদার্থ ।

উৎস :- ন্যাপথালিন দুটি বেঞ্জিন রিং বিশিষ্ট হাইড্রোকার্বন । কোল গ্যাসের মধ্যে ন্যাপথালিন পাওয়া যায় । কয়লার অন্তর্ধূম পাতনের ফলে উৎপন্ন আলকাতরার আংশিক পাতনে 170°C — 230°C উষ্ণতার মধ্যে যে পাতিত দ্রব্য পাওয়া যায়, তাকে মিডল অয়েল বলে । এর মধ্যে ন্যাপথালিন থাকে । মিডল অয়েলকে ঠান্ডা করলে ন্যাপথালিন কঠিন রূপে কেলাসিত হয় ।

ব্যবহার :

(i) কীটনাশকরূপে ন্যাপথালিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

(ii) থ্যালিক অ্যানহাইড্রাইড প্রস্তুতিতে ন্যাপথালিন ব্যবহার করা হয় ।

(iii) কাপড়, সিল্ক কাগজ প্রভৃতির রং প্রস্তুতিতে ন্যাপথালিন ব্যবহার করা হয় ।

(iv) টেট্রালিন,ডেকালিন (দ্রাবক), প্রস্তুতিতে ন্যাপথালিন ব্যবহার করা হয় । 

(v) পোকার হাত থেকে জামা-কাপড় রক্ষা করতেও ন্যাপথালিন ব্যবহৃত হয় ।

(vi) নীল (indigo) প্রস্তুতিতে ন্যাপথালিন ব্যবহার করা হয় ।

*****

Related Items

গ্যাসের সূত্রাবলি (Gas laws)

চাপ ও উষ্ণতার পরিবর্তনের সঙ্গে গ্যাসের আয়তনের পরিবর্তনের সূত্রগুলিকে গ্যাসের সুত্র বলে । বয়েলের সূত্র :- উষ্ণতা স্থির থাকলে, নির্দিষ্ট ভরের যে কোনো গ্যাসের আয়তন ওই গ্যাসের চাপের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয় ।

গ্যাসের ধর্ম ও গ্যাসের চাপ

গ্যাসীয় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই । যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের সমগ্র আয়তন জুড়ে থাকে । গ্যাস অণুর ধর্মই হল চারিদিকে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়া । অণুগুলির গতির জন্যই গ্যাসের প্রবাহী ধর্ম দেখা যায় । স্থির উষ্ণতায় গ্যাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিংবা ...

আয়ন ও ক্যাটায়ন

সাধারণ অবস্থায় যে-কোনো পরমাণু নিস্তড়িৎ । অর্থাৎ পরমাণুর মধ্যে প্রোটন সংখ্যা = ইলেকট্রন সংখ্যা । যখন কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গৃহিত হয়, তখন ওই পরমাণুটি তড়িৎগ্রস্থ কণায় পরিণত হয় । ...

নিউক্লাইড (Nuclide)

শুধুমাত্র পারমাণবিক সংখ্যা (বা প্রোটন সংখ্যা) জানা থাকলে মৌলটিকে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ওই মৌলের সমস্থানিক থাকলে তার নিউক্লিয়াসকে শনাক্ত করা যায় না । কারণ একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াসগুলিতে প্রোটন সংখ্যা একই থাকলেও ...

আইসোটোপ বা সমস্থানিক (Isotope)

একটি মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ, প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার জন্য পারমাণবিক ভর অর্থাৎ ভর-সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে । সমস্থানিক পরমাণুগুলির মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ...