কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

Submitted by arpita pramanik on Sat, 02/16/2013 - 10:30

কয়েকটি জারক পদার্থ

 

  কঠিন   তরল   গ্যাসীয়
(i) ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড [MnO2] (i) নাইট্রিক অ্যাসিড [HNO3] (i) অক্সিজেন [O2]
(ii) পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট [KMnO4] (ii) গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড [H2SO4] (ii) ওজোন [O3]
(iii) পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট [K2Cr2O7] (iii) হাইড্রোজেন পারক্সাইড [H2O2] (iii) ফ্লুওরিন [F]  
(iv) রেড লেড [Pb3O4]   (iv) তরল ব্রোমিন [Br2] (iv) ক্লোরিন [Cl2]

কয়েকটি জারকের জারণ ক্ষমতার উদাহরণ

জারক পদার্থ জারণের উদাহরণ কোন পদার্থকে জারণ করে
O2 C + O2 = CO2 C -কে জারিত করে, C → CO2
HNO3 C + 4HNO3 = CO2 + 4NO2 + 2H2O C -কে জারিত করে, C → CO2
গাঢ় H2SO4 S + 2H2SO4 = 3SO2 + 2H2O S -কে জারিত করে,  S → SO2
H2O2 PbS + 4H2O2 = PbSO4 + 4H2O PbS -কে জারিত করে, PbS → PbSO4
Cl2 H2S + Cl2 = 2HCl + S ↓ H2S -কে জারিত করে, H2S → S

 

কয়েকটি বিজারক পদার্থ

  কঠিন   তরল   গ্যাসীয়
(i) কার্বন [C] (i) নাইট্রাস অ্যাসিড [HNO2] (i) হাইড্রোজেন [H2]
(ii) সোডিয়াম [Na] (ii) হাইড্রোব্রোমিন অ্যাসিড [HBr] (ii) হাইড্রোজেন সালফাইড [H2S]
(iii) অ্যালুমিনিয়াম [Al] (iii) হাইড্রোআয়োডিক অ্যাসিড [HI] (iii) অ্যামোনিয়া [NH3]
(iv) স্ট্যানাস ক্লোরাইড [SnCl2] (iv) হাইড্রোজেন পারক্সাইড [H2O2] (iv) সালফার ডাইঅক্সাইড [SO2]

কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ :

বিজারক পদার্থ বিজারণের উদাহরণ কোন পদার্থকে বিজারিত করে
H2 CuO + H2 = Cu + H2O CuO -কে বিজারিত করে,  CuO → Cu
NH3 3CuO + 2NH3 = 3Cu + N2 + 3H2O CuO -কে বিজারিত করে,  CuO → Cu
C FeO + C = Fe + CO FeO -কে বিজারিত করে,  FeO → Fe
H2S H2S + Cl2 = 2HCl + S Cl2 -কে বিজারিত করে,   Cl2  → HCl
CO CuO + CO = Cu + CO2 CuO -কে বিজারিত করে,  CuO → Cu

একই পদার্থ কখনো জারক আবার কখনো বিজারক হতে পারে না :  কোনো একটি বিক্রিয়ায় একটি জারক দ্রব্য অপর একটি বিক্রিয়ায় বিজারক রূপে ব্যবহার করতে পারে ।

যেমন, SO2 -এর সঙ্গে Br2-এর বিক্রিয়ার সময় SO2,  Br2 -কে বিজারিত করে HBr -এ পরিণত করে । এই বিক্রিয়ায় SO2 বিজারক দ্রব্য ।

আবার H2S -এর সঙ্গে SO2 -এর বিক্রিয়ায় SO2,   H2S -কে জারিত করে সালফারে পরিণত করে । এখানে SO2 জারক রূপে কাজ করে ।

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের জারণ ক্রিয়া :-  H2O2, সালফিউরাস অ্যাসিডকে জারিত করে সালফিউরিক অ্যাসিডে পরিণত করে । 

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের বিজারণ ক্রিয়া :-  ক্লোরিনকে H2O2 বিজারিত করে HCl -এ পরিণত করে ।

অনুরূপে নাইট্রাস অ্যাসিড [HNO2], আয়োডিন [I2] প্রভৃতির জারণ এবং বিজারণ ক্ষমতা আছে ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --