Submitted by arpita pramanik on Fri, 04/05/2013 - 08:58

ইউরিয়া বা কার্বাইড, CO(NH2)2 :

Urea : ইউরিয়া নাইট্রোজেন ঘটিত একটি সার । 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট (NH4CNO) -কে উত্তপ্ত করে ইউরিয়া প্রস্তুত করেন । ইউরিয়ার রাসায়নিক সংকেত CO(NH2)2

প্রকৃতি :-

[i] ইউরিয়া সাদা, গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী, কেলাসাকার কঠিন জৈব পদার্থ  । 

[ii] এটি জলে দ্রাব্য ।

উৎস :-

[i] মানবদেহের এবং প্রাণীদেহের প্রোটিন বিশ্লিষ্ট হয়ে ইউরিয়া উৎপন্ন হয় এবং প্রাণীর মূত্রে এই যৌগটি পাওয়া যায় । পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুত্রের সঙ্গে প্রতিদিন প্রায় 30 গ্রাম ইউরিয়া বের হয়ে যায় । এটি হল প্রথম জৈব যৌগ যা ভোলার (Wohler) পরীক্ষাগারে অজৈব যৌগ থেকে তৈরি করেন ।

[ii] শুষ্ক এবং তরল অ্যামোনিয়া ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণে চাপ (100 বায়ুমন্ডল) প্রয়োগ করে এবং 200°C উষ্ণতায় উত্তপ্ত করে ইউরিয়া প্রস্তুত করা হয় ।

    2NH3 + CO2 = CO(NH2)2 + H2O  ।

ব্যবহার :-

[i] এই জৈব যৌগটি সার রূপে ব্যবহৃত হয় ।

[ii] ফর্মালডিহাইড, রেজিন প্রস্তুতিতে এবং প্লাস্টিক উৎপাদনে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয় । 

[iii] সেলোফেন, রেয়ন, নাইট্রোসেলুলোজ প্রভৃতি পণ্য উৎপাদনে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয় ।

[iv] নানারকম ওষুধ প্রস্তুতিতে যেমন- কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া-স্টিবামিন ও ঘুমের ওষুধ বারবিটিউরেট প্রস্তুতিতে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয় ।

*****

Related Items

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...