পরিমাপ (Measurements)

Submitted by arpita pramanik on Wed, 12/13/2017 - 01:59

ভৌত রাশি বা প্রাকৃতিক রাশি (Physical Quantity)

যার পরিমাপ সম্ভব তাকে রাশি বলে । একটি মোবাইল ফোনের যে ওজন আছে তা ওজন করার যন্ত্রের মাধ্যমে মাপা যায় । আমরা যখন এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় যাই তখন সেই জায়গায় যেতে আমাদের কিছু সময় লাগে কিন্তু সেই জায়গায় যেতে কত সময় লাগে সেটা আমরা ঘড়ি দেখে বুঝতে পারি । মেজারিং টেপ দিয়ে কোন একটি ঘরের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা আমরা মাপতে পারি । দেহের উষ্ণতা মাপার জন্য থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয় । সুতরাং ওজন, সময়, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, উষ্ণতা ইত্যাদি কে কোন কিছুর সাহায্যে মাপা যায় । তাই এগুলিকে একেকটি রাশি বলা হয় ।

পরিমাপ যোগ্য যেকোনো প্রাকৃতিক বিষয় কে ভৌত রাশি বা প্রাকৃতিক রাশি (Physical Quantity) বলে । যেমন সময়, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, ত্বরণ, ভর, আয়তন, উষ্ণতার, ঘনত্ব ইত্যাদি পরিমাপ করা যায় তাই এগুলির প্রত্যেকেই এক একটি ভৌত রাশি ।  মোটর বাইকে কত পেট্রল লাগবে  তার আয়তন বা ওজন নির্ণয় করা যায় তাই আয়তন বা ওজন ভৌত রাশি কিন্তু পেট্রল নিজে ভৌত রাশি নয় ।

 

1.1 পরিমাপ ও একক

1.2 বিভিন্ন মাপের একক

1.3 এককের বিভিন্ন পদ্ধতি (Different systems of Units)

1.4 মাত্রা

1.5 পরিমাপ

1.6 ভৌতরাশির দৈর্ঘ্য পরিমাপে সাধারণ রৈখিক স্কেলের ব্যবহার

1.7 গ্রাফ পেপারের সাহায্যে অসম আকৃতির পাত বা ফলকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়

1.8 আয়তন মাপক চোঙ (Measuring cylinder)

1.9 সাধারণ তুলা যন্ত্র (Common Balance)

1.10 ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ

*****

Comments

Related Items

প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

প্রেসার কুকার যন্ত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C এর বেশি উষ্ণতায় জলকে ফোটানো হয় । ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্পসময়ের মধ্যে সুসিদ্ধ হয় । অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি শক্ত একটি পাত্র প্রেসার কুকার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে 2 বায়ুমন্ডল চাপের

অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ

সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)

দ্রবণ (Solution)

যে পদার্থ দ্রবীভূত হয় তাকে দ্রাব বলে এবং যার মধ্যে দ্রাব দ্রবীভূত হয় তাকে বলা হয় দ্রাবক । দ্রাব এবং দ্রাবক এর সমসত্ব মিশ্রণ হল দ্রবণ । দ্রবণের দুটি অংশে থাকে --- দ্রাব (Solute) এবং দ্রাবক (Solvent) । অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাব + দ্রাবক

শব্দ বিস্তারের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়

শব্দের উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ বায়ু মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছলে মস্তিষ্কে এক রকম অনুভূতি সৃষ্টি করে । তখন আমরা শব্দ শুনতে পাই । বায়ু মাধ্যম না থাকলে শব্দ আমাদের কানে পৌঁছতে পারত না । ফলে আমরা শব্দ শুনতে পেতাম না । কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে শব্দের বিস্তার ...

পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন

পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় এই তিন অবস্থায় থাকতে পারে । তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় । তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় আবার তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় ।