পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন

Submitted by arpita pramanik on Thu, 09/03/2020 - 17:52

পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন (Change of State of Matter)

পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় এই তিন অবস্থায় থাকতে পারে । তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় । তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় আবার তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় । যেমন বরফে তাপ দিলে বরফ গলে জলে পরিণত হয় আবার জলে তাপ প্রয়োগ করলে জল বাষ্পে পরিণত হয় । পদার্থের যেকোনো অবস্থার পরিবর্তনের সময় তাপ প্রয়োগ  বা তাপ নিষ্কাশন করতে হয় ।

কোন পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে অবস্থার পরিবর্তন বা অবস্থান্তর  (Change of State) বলে ।

পদার্থের অবস্থান্তর দুই প্রকারের হয় ---

  1. উচ্চ অবস্থান্তর (Higher Change of State)
  2. নিম্ন অবস্থান্তর (Lower Change of State)

উচ্চ অবস্থান্তর (Higher Change of State):  যে অবস্থান্তরের সময় পদার্থের উপর তাপ প্রয়োগ করতে হয় সেই অবস্থান্তর কে উচ্চ অবস্থান্তর বলে । উচ্চ অবস্থান্তরের সময় কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তরের ঘটনাকে গলন বলে ।  তরল অবস্থা থেকে গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরের ঘটনাকে বাষ্পীভবন বলে ।

নিম্ন অবস্থান্তর (Lower Change of State): যে অবস্থান্তরের সময় পদার্থ থেকে তাপ নিষ্কাশন করতে হয় সেই অবস্থান্তর কে নিম্ন অবস্থান্তর বলে ।  নিম্ন অবস্থান্তরের সময় গ্যাসীয় অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তরের ঘটনাকে ঘনীভবন বলে ।  তরল অবস্থা থেকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরের ঘটনাকে কঠিনীভবন বলে ।

ব্যাতিক্রম (Exceptions):

কয়েকটি কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে অবস্থান্তর এর সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায় যেমন ন্যাপথালিন, ,আয়োডিন, কর্পূর, নিশাদল প্রভৃতি কঠিন পদার্থের উপর তাপ প্রয়োগ করলে ওই গুলি তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় পরিণত হয় আবার ঠান্ডা করলে ওই গুলি গ্যাসীয় অবস্থা থেকে সরাসরি কঠিন অবস্থায় আসে । পদার্থের এই ধরনের পরিবর্তনকে উর্ধ্বপাতন (Sublimation) বলে ।

আবার কয়লা, কাঠ, কাগজ প্রভৃতি কঠিন পদার্থের উপর তাপ প্রয়োগ করলে ওদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে না । ওইসব পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে ফলে নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় ।

বর্তমানে বিজ্ঞানীরা পদার্থের আরেকটি চতুর্থ অবস্থা প্লাজমা (Plasma) অবস্থা কথা বলেন । সূর্য, নক্ষত্র তে উষ্ণতা অত্যন্ত বেশি হওয়ার জন্য পদার্থ আর গ্যাসীয় অবস্থায় থাকতে পারে না প্লাজমা (Plasma) অবস্থায় থাকে ।

গলন এবং কঠিনীভবন

পদার্থের গলনাঙ্ক এবং হিমাঙ্ক

গলন এবং কঠিনীভবন আয়তনের পরিবর্তন

গলনাঙ্ক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে

দ্রবণের হিমাঙ্ক

পদার্থের গলনাঙ্ক এবং হিমাঙ্ক নির্ণয়

বাষ্প এবং গ্যাস

বাষ্পীভবন

স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়

বাষ্পায়ন এবং স্ফুটনের মধ্যে পার্থক্য

স্ফুটনাঙ্কের উপর বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব

স্ফুটনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব

প্রেসার কুকার

ঘনীভবন

বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন

লীন তাপ

বাষ্পায়নে বস্তুর উষ্ণতা কমে যায় কেন

*****

Comments

Related Items

ক্ষারক ও ক্ষারকের ধর্ম

ক্ষারকের গুলি হল---ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ নির্দেশকের (Indicators) বর্ণ পরিবর্তন করে । যেমন ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে । ক্ষারকের সঙ্গে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন হয় ।

অ্যাসিড ও অ্যাসিডের ধর্ম

সব অ্যাসিড কমবেশি অম্ল স্বাদ যুক্ত । লেবু, আমলকি, তেতুল, টক দই প্রভৃতিতে অ্যাসিড আছে । সেই জন্য এদের স্বাদ অম্ল যুক্ত । অ্যাসিড নির্দেশকের (Indicators) বর্ন পরিবর্তন করে । অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে এবং মিথাইল অরেঞ্জ এর রং কমলা থেকে লাল বর্ণে পরিণত করে । এর দ্বারা অ্যাসিডকে সনাক্ত করা হয় ।

বল এবং বলের পরিমাপ

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলের সংজ্ঞা পাই । এই সূত্র থেকে বোঝা যায় কোন বস্তুর উপর বাইরে থেকে কিছু প্রয়োগ করলে তবেই বস্তুটির অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন হয় । কোন জড় বস্তু জাড্য ধর্মের জন্য নিজে থেকে নিজের অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না ।

পদার্থের জাড্য ধর্ম (Inertia of Matter)

জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজের স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তনে বাধা দেয় বা জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজে যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় থাকতে চায় সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা (Inertia) বলে । এজন্য নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে জাড্যের সূত্র ( Law of Inertia) বলে।

নিউটনের গতিসূত্র

বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । দার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা