ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ

Submitted by arpita pramanik on Tue, 03/20/2018 - 21:58

ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ

clockঘড়ি (Clock) : ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ করা হয় । প্রাচীনকালে সূর্য ঘড়ি, বালি ঘড়ি, জল ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা হত । বর্তমানে সময় পরিমাপের জন্য দেয়াল ঘড়ি (wall clock), পকেট ঘড়ি (pocket watch), হাত ঘড়ি (wrist watch), ডিজিটাল ঘড়ি (digital clock), টেবিল ঘড়ি (table clock) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় । ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান পরিমাপে স্টপ ক্লক (stop clock), স্টপ ওয়াচ  (stop watch) এবং খুব ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান পরিমাপে ক্রোনোমিটার (chronometer) ও মেট্রোনাম (metronome) ঘড়ি ব্যবহার করা হয় ।

স্টপ ওয়াচ ( Stop Watch): এই ঘড়ির সাহায্যে ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান ( [tex] \frac {1}{5} [/tex] বা [tex] \frac {1}{{10}} [/tex] সেকেন্ড ) সঠিক ভাবে পরিমাপ করা যায় । এতে একটি সেকেন্ডের কাঁটা এবং একটি মিনিটের কাঁটা থাকে । ঘড়ির চাবিকে প্রথমবার টিপলে ঘড়ি চলতে শুরু করে । দ্বিতীয় বার টিপলে কাঁটা থেমে যায় এবং সময় নির্দেশিত হয় । চাবি তৃতীয় বার টিপলে কাঁটা শূন্য দাগে ফিরে আসে । এই ঘড়ি সাধারণত খেলার মাঠে কোনো প্রতিযোগীর দৌড়ের সময় নির্দেশ করতে এবং পরীক্ষাগারে ব্যবহার করা হয় ।

একটি আয়তন মাপক চোঙ ও স্টপ ওয়াচের সাহায্যে কল থেকে জল পড়ার হার নির্ণয় : একটি আয়তন মাপক চোঙ ও স্টপ ওয়াচের সাহায্যে কল থেকে জল পড়ার হার নির্ণয় করা যায় । একটি খালি ও শুষ্ক আয়তন মাপক চোঙ নিয়ে কলের নীচে ধরা হল এবং নির্দিষ্ট সময় ধরে কল থেকে জল চোঙে সংগ্রহ করা হল । সংগ্রহের সময় স্টপ ওয়াচে দেখে নেওয়া হল । সংগৃহীত জলের আয়তন চোঙের স্কেল থেকে দেখে নেওয়া হল । প্রাপ্ত জলের আয়তনকে দেখে নেওয়া সময় দিয়ে ভাগ করলেই জলপ্রবাহের হার জানা যায় । যদি এক্ষেত্রে t1 সময়ে সংগৃহীত জলের আয়তন = V1 হয়, তবে কল থেকে জল পড়ার হার = [tex] \frac{{{V_1}}}{{{t_1}}} [/tex] ।

এই ভাবে বেশ কয়েকবার পাঠ নিয়ে তার গড় করলে জল পড়ার হারের কম ত্রুটিযুক্ত মন পাওয়া যাবে । জলের আয়তন cm3 এককে ও সময় s এককে নিলে জল পড়ার হারের একক হবে cm3/s ।

*****

Comments

Related Items

ক্ষারক ও ক্ষারকের ধর্ম

ক্ষারকের গুলি হল---ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ নির্দেশকের (Indicators) বর্ণ পরিবর্তন করে । যেমন ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে । ক্ষারকের সঙ্গে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন হয় ।

অ্যাসিড ও অ্যাসিডের ধর্ম

সব অ্যাসিড কমবেশি অম্ল স্বাদ যুক্ত । লেবু, আমলকি, তেতুল, টক দই প্রভৃতিতে অ্যাসিড আছে । সেই জন্য এদের স্বাদ অম্ল যুক্ত । অ্যাসিড নির্দেশকের (Indicators) বর্ন পরিবর্তন করে । অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে এবং মিথাইল অরেঞ্জ এর রং কমলা থেকে লাল বর্ণে পরিণত করে । এর দ্বারা অ্যাসিডকে সনাক্ত করা হয় ।

বল এবং বলের পরিমাপ

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলের সংজ্ঞা পাই । এই সূত্র থেকে বোঝা যায় কোন বস্তুর উপর বাইরে থেকে কিছু প্রয়োগ করলে তবেই বস্তুটির অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন হয় । কোন জড় বস্তু জাড্য ধর্মের জন্য নিজে থেকে নিজের অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না ।

পদার্থের জাড্য ধর্ম (Inertia of Matter)

জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজের স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তনে বাধা দেয় বা জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজে যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় থাকতে চায় সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা (Inertia) বলে । এজন্য নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে জাড্যের সূত্র ( Law of Inertia) বলে।

নিউটনের গতিসূত্র

বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । দার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা