মরু অঞ্চলের প্রসারণ প্রতিরোধের পন্থা (Methods of controlling desertification)

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 07/29/2021 - 20:13

মরু অঞ্চলের প্রসারণ প্রতিরোধের পন্থা (Methods of controlling desertification) : জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) অনুসারে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া অঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া এমন পর্যায়ে গেছে যে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মরুভূমির কবল থেকে রক্ষা করা অসম্ভব । কিন্তু কয়েকটি অঞ্চলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মরুভূমির কবল থেকে ভূমির পুনরুদ্ধার করা সম্ভব । যেমন—

(১) মরু জলবায়ুর উপযুক্ত অর্থাৎ খরা সহনশীল বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ,

(২) পুনর্বনসৃজন,

(৩) বনসৃজনের সাহায্যে অসংবদ্ধ বালিকে সুস্থিত করা,

(৪) সম্ভাব্য এলাকায় নদীতে বাঁধ দিয়ে সেচ ব্যবস্থা চালু করা,

(৫) মাত্রাহীন পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ ও জনবসতিকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সামাজিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ,

(৬) সুপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে জমির অতি ব্যবহার ও অপব্যবহার রোধ করা,

(৭) খরা প্রতিরোধী উদ্ভিদ সৃজন ও ফসলের চাষ প্রভৃতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভূমির পুনরুদ্ধার করে মরু অঞ্চলের প্রসারণ রোধ করা যেতে পারে ।

সাহেল অঞ্চলে মরুকরণ প্রতিরোধে সাহারা মরুভূমির পার্শ্ববর্তী ১১টি দেশ বৃহৎ সবুজের দেওয়াল (Great Green Wall) গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । এই প্রকল্পে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে পশ্চিম-পূর্বে ৭,৭৭৫ কিমি. দীর্ঘ এবং ১.১৭ লক্ষ বর্গ কিমি. অঞ্চল জুড়ে সবুজ গাছের দেওয়াল গড়ে তোলা হয়েছে । ভারতেও থর মরুভূমির প্রসার রোধে আরাবল্লি ছাড়িয়ে দিল্লি পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে সবুজ গাছের দেওয়াল গড়ে তোলা হচ্ছে ।

****

Comments

Related Items

সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ (Causes of Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ (Causes of Ocean Currents) : সমুদ্রস্রোত বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে । এই কারণগুলি হল— (১) পৃথিবীর আবর্তন, (২) নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, (৩) সমুদ্রজলের উষ্ণতা, (৪) সমুদ্রজলের ও লবণত্ব ও ঘনত্বের তারতম্য, (৫) বরফের গলন , (৬) উপকূলের আ

সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents) : সমুদ্রের জলরাশি নিয়মিতভাবে, নির্দিষ্ট দিকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয় । সমুদ্রজলের এই প্রবাহকে সমুদ্রস্রোত বলে । সমুদ্রস্রোত সাধারণত একমুখী হয় । বায়ুপ্রবাহ দ্বারা তাড়িত হয়ে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয় বলে এর গতিব

বারিমন্ডল (Hydrosphere)

বারিমন্ডল (Hydrosphere) : সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত জ্বলন্ত মণ্ডল । ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে তরল অবস্থায় আসে এবং অবিরাম তাপ বিকিরণ করে পৃথিবী ক্রমশ শীতল ও সংকুচিত হয় । আর সংকোচনের ফলে ভূপৃষ্ঠের গায়ে উঁচুনীচু আবরণের সৃষ্টি হয় । এই সম

পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চল (Major climatic regions of the world)

পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চল (Major climatic regions of the world) : পৃথিবীর যে সকল অঞ্চলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মোটামুটি একই ধরনের বা সমধর্মী জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেই সকল অঞ্চলকে এক-একটি জলবায়ু অঞ্চল বলা হয় । পৃথিবীর মুখ্য জলবায়ু অঞ্চলগুলি হল —

বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত (Types of Rainfall)

বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত (Types of Rainfall) : উৎপত্তির কারণ ও বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য অনুসারে বৃষ্টিপাতকে সাধারণত তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা:- (১) পরিচলন বৃষ্টিপাত, (২) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত এবং (৩) ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত ।