মরু অঞ্চল ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজের কারণ

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 07/28/2021 - 07:51

মরু অঞ্চল ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজের কারণ :

(i) যান্ত্রিক আবহবিকারের আধিক্য : মরুভূমি অঞ্চলে দিন ও রাত্রির উষ্ণতার পার্থক্যে এবং উপকূল অঞ্চলে সমুদ্রতরঙ্গের আঘাতের শিলা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে সূক্ষ্ম বালুকণায় পরিণত হয় । বালুকণাসমূহ প্রবল বায়ুপ্রবাহ দ্বারা বাহিত হয়ে শিলাকে ক্ষয় করে ।

(ii) আলগা ভূপৃষ্ঠ : মরু অঞ্চল এবং উপকূল অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ সূক্ষ্ম আলগা বালিরাশি দিয়ে গঠিত । প্রবল বায়ুপ্রবাহে এই বালিরাশি সহজেই এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবাহিত হয় ।

(iii) উন্মুক্ত অঞ্চল : মরু অঞ্চল ও উপকূল অঞ্চলে প্রাকৃতিক বাধাহীনতার কারণে বায়ু অবাধে তীব্র বেগে প্রবাহিত হয় ।

(iv) বৃষ্টিপাতের অভাব : মরু অঞ্চলে বৃষ্টিহীনতার কারণে গাছপালা জন্মাতে পারে না বলে ভূমির আবরণ আলগা হয় । ফলে বায়ু আলগা বালুকণাকে উড়িয়ে নিয়ে বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হয়ে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় । 

****

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।