Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 07/28/2021 - 09:16

বায়ুর বিভিন্ন প্রকারের কাজ (Work of Wind) : বায়ু প্রধানত (ক) ক্ষয়সাধন (Erosion), (খ) অপসারণ বা বহন (Transportation) ও (গ) সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ (Deposition) — এই তিন প্রকারে কাজ করে থাকে ।

(ক) ক্ষয়সাধন (Erosion) : বায়ু (i) অবনমন (Deflation), (ii) অবঘর্ষ (Abrasion) ও (iii) ঘর্ষণ (Attrition) পদ্ধতির দ্বারা ক্ষয়সাধন কাজ করে । বায়ুপ্রবাহ আলগা বালুরাশিকে উড়িয়ে নিয়ে অবনমন প্রক্রিয়ায় গর্তের সৃষ্টি করে । বায়ুবাহিত সূক্ষ্ম বালিকণা শিলার গায়ে আছড়ে পড়ে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় এবং বায়ু বাহিত হওয়ার সময় বালিকণার মধ্যে ঘর্ষণ প্রক্রিয়ায় নানা রকম ভূমিরূপ গঠিত হয় । বায়ুর ক্ষয়সাধন কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তা হল— (i) অপসারণ সৃষ্ট গর্ত (Blow-outs) (ii) গৌর (Gour), (iii) জিউগেন (Zeugen), (iv) ইয়ারদাঙ (Yardang), (v) ইনসেলবার্জ (Inselberg) প্রভৃতি ।

(খ) অপসারণ বা বহন (Transportation) : (i) ভাসমান প্রক্রিয়া, (ii) লম্ফদান প্রক্রিয়া ও (iii) গড়ানে প্রক্রিয়া দ্বারা অপসারণ বা বহন কাজ করে থাকে । প্রবল বায়ুপ্রবাহে বালুকণাসমূহ ভাসতে ভাসতে বা ভূমির ওপর ঠোক্কর খেতে খেতে অথবা গড়াতে গড়াতে অপসারিত বা বাহিত হয়ে থাকে । অপসারণ বা বহন কার্যের ফলে সৃষ্ট ভুলিরূপ হল— অবনমিত ভূমি ।

(গ) সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ (Deposition) : (i) থিতানো প্রক্রিয়া, (ii) উপলেপন প্রক্রিয়া ও (iii) অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ কাজ করে থাকে । বায়ুবাহিত বালিকণা কোনো স্থানে থিতিয়ে পড়ে বা গড়াতে গড়াতে সঞ্চিত হয়ে অথবা অসমতল ভূপৃষ্ঠে আটকে পড়ে সঞ্চিত হয় ও নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি করে । যেমন— (i) বালিয়াড়ি (Sand Dunes, (ii) লোয়েশ (Loess) ।

****

Comments

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত