ভরা কোটাল ও মরা কোটালের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর ।

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 01/05/2022 - 11:07

প্রশ্ন:- ভরা কোটাল ও মরা কোটালের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর

  বৈশিষ্ট্য তেজী কোটাল বা ভরা কোটাল মরা জোয়ার বা মরা কোটাল
(১) তিথি অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে ভরা জোয়ার বা ভরা কোটালের ঘটনা ঘটে । কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে মরা জোয়ার বা মরা কোটালের ঘটনা ঘটে ।
(২)

চন্দ্র ও সূর্যের অবস্থান ।

অমাবস্যা তিথিতে, পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চন্দ্র ও সূর্য অবস্থান করে । পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে । কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে পরস্পর লম্বভাবে অবস্থান করে ।
(৩)

চন্দ্র ও সূর্যের অবস্থানের ফলাফল

অমাবস্যা ও পূর্নিমা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্রের মিলিত আকর্ষণ বলের টানে জোয়ারের স্থানে খুব বেশি মাত্রায় জলস্ফীতি ঘটে এবং ভাটার স্থানে জল স্তর খুব বেশি মাত্রায় নেমে যায় । ফলে এই সময় জোয়ার ও ভাটার মধ্যে জলতলের পার্থক্য খুব বেশি মাত্রায় থাকে । অষ্টমী তিথিতে (কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষ) চন্দ্রের প্রভাবে পৃথিবীর যেখানে জোয়ার হয়, তার প্রায় সমকোণী স্থানে সূর্যের প্রভাবেও জোয়ার হয় । এর ফলে চন্দ্রের আকর্ষণে যে দুই স্থানের জল ফুলে উঠতে চেষ্টা করে, সূর্যের আকর্ষণ সেই দুই স্থানে জলের উচ্চতা কমাতে চেষ্টা করে । এর ফলে জোয়ার ও ভাটা এই দুটিরই তীব্রতা কম থাকে ।

***

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।