বায়ুপ্রবাহের অপসারণ বা বহন কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 07/28/2021 - 17:46

বায়ুপ্রবাহের অপসারণ বা বহন কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ (Landform produced by Wind Transportation):-  বায়ুপ্রবাহ (i) ভাসমান প্রক্রিয়া, (ii) লম্ফদান প্রক্রিয়া ও (iii) গড়ানে প্রক্রিয়া দ্বারা অপসারণ বা বহনকার্য করে থাকে ।

(i) ভাসমান প্রক্রিয়া :- সুক্ষ্ম বালুকণা হালকা বলে প্রবহমান বায়ুতে ভাসমান অবস্থায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে বহুদূরে উড়ে যায় ।

(ii) লম্ফদান প্রক্রিয়া :- কিছুটা বড়ো বা মাঝারি আয়তনের পাথর ভারী বলে বার বার ভূমিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে এগিয়ে চলে ।

(iii) গড়ানে প্রক্রিয়া :- বড়ো আয়তনের পাথর ভারী বলে ভূমির ওপর দিয়ে প্রবলবেগে প্রবাহিত বায়ুর সঙ্গে গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে চলে ।

প্রবল বায়ুপ্রবাহে বালুকণাসমূহ ভাসতে ভাসতে বা ভূমির ওপর ঠোক্কর খেতে খেতে অথবা গড়াতে গড়াতে অপসারিত বা বাহিত হয়ে যে ভুমিরূপের সৃষ্টি করে তা হল— অবনমিত ভূমি (Deflation Basins) ।

****

Comments

Related Items

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature)

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature) : বায়ুর উষ্ণতা বলতে বায়ুর তাপমাত্রাকে বোঝায় । বায়ুর উষ্ণ এবং শীতল অবস্থার তুলনামূলক পরিমাপকেই বায়ুর উষ্ণতা বলা হয় । সূর্যকিরণ হল বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যের তাপ গ্রহণ বা তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বায়ু উষ্ণ বা শ

ওজোন স্তর (Ozone Layer)

ওজোন স্তর (Ozone Layer) : বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে ২০ - ৩৫ কিমি.

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere)

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) : এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বেষ্টনকারী চৌম্বকক্ষেত্রটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর । এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর । এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপর ১,৫০০ কিমি.

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere)

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) : এক্সোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর । এই স্তরটি আয়নোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত ।

আয়োনোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার (Ionosphere or Thermosphere)

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি.