Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 07/29/2021 - 15:43

প্লায়া (Playa) : মরু অঞ্চলে পর্বত পর্বতবেষ্টিত এলাকার মধ্যভাগে বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত একটি ভূমিরূপ হল প্লায়া । মরু অঞ্চলে পর্বতবেষ্টিত এলাকার মধ্যভাগে গড়ে ওঠা লবণাক্ত জলের হ্রদকে প্লায়া বলে । মরুভূমির চারদিকে পর্বত বা উচ্চভূমি দ্বারা বেষ্টিত অঞ্চলের মধ্যভাগে প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে মরুভূমির বালি অপসারিত হয়ে বিশাল গামলার মতো গর্তের সৃষ্টি হয় । এই গর্তগুলো কখনো কখনো খুব গভীর হয়ে ভূগর্ভের জলস্তরকে স্পর্শ করে । তারপর ভূগর্ভস্থ জল ও বৃষ্টির জল জমা হয়ে সেখানে হ্রদের সৃষ্ঠি হয় । মরুভূমির প্রখর তাপে অত্যধিক বাষ্পীভবনের জন্য সাধারণত এই সব হ্রদের জল লবণাক্ত হয়ে থাকে । আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমভাগে এবং মেক্সিকোতে মরু অঞ্চলে এই প্লায়া হ্রদকে 'বোলসন' বলা হয় । দক্ষিণ আমেরিকায় এই লবণাক্ত জলের হ্রদগুলিকে স্যালিনা বলে । আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির প্লায়া হ্রদগুলি শটস নামে পরিচিত । এই লবণাক্ত জলের হ্রদগুলি অস্ট্রেলিয়ায় 'প্যান' সৌদি আরবে 'সবখা' নামে পরিচিত ।

রাজস্থানের সম্বর বা পুষ্কর হ্রদ হল প্লায়া হ্রদের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ । আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের 'লা-প্লায়া' পৃথিবীর বৃহত্তম প্লায়া হ্রদ ।     

****

Comments

Related Items

দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চল

দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চল : এশিয়ার মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চলের দক্ষিণে এবং এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অংশের তিনটি উপদ্বীপে তিনটি ক্ষয়প্রাপ্ত ও অতি প্রাচীন নীচু মালভূমি অবস্থান করছে — (১) আরব মালভূমি, (২) দাক্ষিণাত্য মালভূমি এবং (৩) ইন্দোচীন মালভূমি । এই তি

মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চল

মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চল : এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগে আছে পৃথিবীর দীর্ঘতম, বৃহত্তম ও উচ্চ পার্বত্যভূমি । পশ্চিমদিকে ভূমধ্যসাগরের তীর থেকে পূর্বদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত এই পার্বত্য অঞ্চলে অনেক সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি বিভিন্ন দিকে প

উত্তরের বিস্তীর্ণ নিম্নসমভূমি অঞ্চল

উত্তরের বিস্তীর্ণ নিম্ন সমভূমি অঞ্চল : এই বিস্তীর্ণ নিম্ন সমভূমি অঞ্চলকে দুটি প্রধান ভুপ্রাকৃতিক উপবিভাগে ভাগ করা যায়— (ক) সাইবেরিয়ার নিম্ন সমভূমি এবং (খ) তুরাণের নিম্ন সমভূমি ।

ভারতের পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প

পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প : যে শিল্প অশোধিত খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য থেকে প্লাস্টিক, পলিথিন, কৃত্রিম সুতো, কৃত্রিম রবার, রং প্রভৃতি নানা ধরনের জিনিস উৎপাদন করা হয় তাকে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প বলে ।

ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প

ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বলতে বিদ্যুৎ, কৃষি ও শিল্পে ব্যবহৃত ছোট-বড়ো ও হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে পরিবহণের যানবাহনসহ সমস্ত শিল্পকে বোঝায় । বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম ও ভারী যন্ত্রপাতি, রেল ইঞ্জিন ও ওয়াগন, জাহাজ, মোটরগাড়ি, মোটর সাইকেল ও স্কুটার, সাইকেল, ঘড়ি,